আর সবাই তপনের গল্প শুনে হাসে ।’ — তপনের গল্প শুনে হাসার কারণ কী ? তার গল্পের যথাযথ মূল্যায়ন কে, কীভাবে করেছিলেন ?

৩. ‘আর সবাই তপনের গল্প শুনে হাসে ।’  — সকলের তপনের গল্প শুনে হাসার কারণ কী ? তার গল্পের যথাযথ মূল্যায়ন কে, কীভাবে করেছিলেন ?



উত্তরঃ-  ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্প থেকে গৃহীত অংশটিতে ‘সবাই’ বলতে তপনের বাড়ির লোকজনকে বোঝানো হয়েছে । বাড়ির বড়োদের চোখে সে ছিল নেহাতই ছোটো, তার গুরুত্ব কম । সে যে রাতারাতি একটা গল্প লিখে ফেলতে পারে, আর সে -গল্প যে ছাপানোর যোগ্য হতে পারে তা প্রথমে কেউই বিশ্বাস করতে পারেননি । তাই সকলে তপনের গল্প শুনে হেসেছিলেন ।

     বাড়ির সকলে তার লেখা গল্পকে গুরুত্ব না দিলেও, তার লেখক নতুন মেসো কিন্তু এই গল্পের যথাযোগ্য মর্যাদা দিয়েছিলেন । তপনের মাসি তার গল্পটি মেসোকে দেখালে, তিনি তা একটি পত্রিকায় প্রকাশ করে দেওয়ার আশ্বাস দেন । বিকেলে চায়ের টেবিলে সকলে তপনের লেখা গল্প নিয়ে হাসাহাসি করলেও, লেখক - মেসো কিন্তু তপনের প্রশংসা করেন । তিনি বলেন যে তপনের লেখার হাত ও দেখার চোখ দুই-ই আছে । কারণ তার বয়সি ছেলেমেয়েরা সাধারণত রাজারানি, খুন, জখম, অ্যাকসিডেন্ট, নয়তো না-খেতে পেয়ে মরে যাওয়া প্রভৃতি বিষয়ে গল্প লেখে । কিন্তু তপন সে সব না - লিখে তার ভরতি হওয়ার দিনের অভিজ্ঞতা আর অনুভূতি নিয়ে গল্প লিখেছে । তপনের লেখক - মেসোর মতে, এ খুব বিরল লক্ষণ ।

     এইভাবে তপনের মেসো তার লেখা গল্পের মূল্যায়ন করেছিলেন । তবে তপনের গল্পে আনাড়ি হাতের ছাপ থাকায় তিনি তা সংশোধন করে দিয়েছিলেন ।




পূর্ববর্তী প্রশ্ন




Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.