২. ‘রত্নের মূল্য জহুরির কাছেই ।’ — ‘ রত্ন ’ ও ‘জহুরি’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে ? উদ্ধৃত উক্তিটির তাৎপর্য বুঝিয়ে দাও ।
উত্তরঃ- আশাপূর্ণা দেবীর
“জ্ঞানচক্ষু”
গল্পে উদ্ধৃত শব্দটির উল্লেখ পাওয়া গেছে । “রত্ন” বলতে মূল্যবান পাথর
বোঝায় । “জহুরি” বলতে বোঝায় জহর অর্থাৎ রত্ন বিশেষজ্ঞকে । যে - কোনো পাথরকে
রত্ন বলে চালালে তা জহুরির চোখ এড়ানো মুশকিল ।
“জ্ঞানচক্ষু” গল্পে “রত্ন” বলতে তপনের লেখা
গল্পকে আর “জহুরি” বলতে তার ছোটোমাসির স্বামী তথা নতুন মেসোমশাইকে
বোঝানো হয়েছে ।
সীমিত জীবনবৃত্তের পরিধিতে তপনের গল্পের বইয়ের সঙ্গে পরিচিতি থাকলেও লেখকদের
সম্পর্কে তার কিছুই অভিজ্ঞতা ছিল না । তপন তাদের গ্রহান্তরের কোনো জীব ভাবত ।
নতুন মাসির বিয়ের পর লেখক নতুন মেসোর সঙ্গে যখন পরিচিত হল তখনই তপনের লেখক
সম্পর্কে সমস্ত ধারণা বদলে গেল । তার জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল । তপন তার বাবা,
কাকা ও মামাদের সঙ্গে নতুন মেসোর কোনো তফাত পেল না । এসব কিছু মিলিয়েই তপন ভাবে
তারই বা লেখক হতে বাধা কোথায় ? তাই সে গল্প লিখতে গিয়ে আস্ত একটা গল্প লিখে
ফেলায় উত্তেজনায় ছোটোমাসিকে দেখায় । ছোটোমাসি তা মেসোকে ঘুম থেকে তুলে দেখায়
। ব্যাপারটায় তপনের মত না - থাকলেও সে মনে মনে পুলকিত হয় , কেনো-না জহুরির রত্ন
চেনার মতো আর লেখার কদর একমাত্র মেসোই অর্থাৎ, লেখই বুঝতে পারবে ।
পূর্ববর্তী প্রশ্ন