১. জমিদার - তালুকদাররা বংশানুক্রমিকভাবে জমি ভোগদখল করতে পারবে ।
২. জমিদার ইচ্ছামত জমি দান , বিক্রি বা বন্ধক রাখতে পারবে ।
৩. ভূমিরাজস্বের পরমাণ ১৭৯৩ সালের হারেই নির্ধারিত হবে ।
৪. নির্ধারিত রাজস্বের শতকরা ৯০ ভাগ সরকার ও ১০ ভাগ জমিদার পাবেন ।
৫. সূর্যাস্ত আইন অনুসারে জমিদাররা সরকারের প্রাপ্য রাজস্ব নির্দিষ্ট দিনে সূর্যাস্তের মধ্যে পরিশোধ করতে বাধ্য থাকবে ।
৬. নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রাজস্ব মেটাতে ব্যর্থ হলে জমিদারি বাজেয়াপ্ত করা হবে ।
৭. ভবিষ্যতে খরা, বন্যা, মহামারি বা অন্য কোনো প্রকৃতিক বিপর্যয়েও রাজস্ব মকুব করা হবে না ।
চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের উদ্দেশ্যঃ
চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তনের প্রধান উদ্দেশ্যগুলি হল -
A. সমর্থক গোষ্ঠী তৈরি । এই বন্দোবস্তের মাধ্যমে ভারতে ইংরেজদের অনুগ্রহপুষ্ট একটি নতুন অভিজাত শ্রেণি তৈরি করা যারা তাদের সমর্থক হিসাবে কাজ করবে ।
B. আয় সুনিশ্চিত করা । কোম্পানি আশা করেছিল , চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তনের ফলে তারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিয়োমিতভাবে সঠিক হারে রাজস্ব পাবে । ফলে তাদের আয়ের অনিশ্চয়তা দূর হবে ।
C. বাজেট তৈরির সুবিধা । আয় সুনিশ্চিত হলে বার্ষিক আয়ব্যয়ের বাজেট তৈরির কাজ সহজ হবে ।
D. দেশের সমৃদ্ধি । জমিদার জমির ওপর স্থায়ী অধিকার পেলে কৃষির উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বিনিয়োগ করবেন । এতে দেশের সমৃদ্ধি বাড়বে এবং পরোক্ষে কোম্পানির লাভ হবে ।