১. ‘নতুন মেসোকে দেখে জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল তপনের ।’ — নতুন মেসোর পরিচয় দাও । নতুন মেসোকে দেখে তপনের জ্ঞানচক্ষু খুলে যাওয়ার কারণ কী ?
উত্তরঃ- “জ্ঞানচক্ষু”
গল্পে তপনের নতুন মেসো তার ছোটোমাসির স্বামী তিনি একজন লেখক, বই লেখেন । ইতিমধ্যে
তাঁর অনেক বই ছাপাও হয়েছে । সর্বোপরি তিনি একজন প্রফেসর ।
তপনের ছোটোমাসির বিয়ের পর নতুন মেসো যে লেখক, এ কথা শুনে
তার কৌতূহলের অন্ত ছিল না । তার কাছে লেখক মানে ভিন গ্রহের কোনো মানুষ, যারা
সাধারণের ধরা-ছোঁয়ার বাইরে । একজন লেখককে যে এত কাছ থেকে দেখা যায় কিংবা লেখকরা
যে তপনের বাবা, ছোটোমামা বা মেজোকাকুদের মতো সাধারণ
মানুষ হতে পারে, এ বিষয়েও
তার যথেষ্ট সন্দেহ ছিল । কিন্তু তার সেই ধারণাগুলো ভেঙে গেল । যখন দেখল তার
ছোটোমেসোও তার বাবা, ছোটোমামা বা মেজোকাকুর মতোই দাড়ি কামান, সিগারেট খান, খেতে
বসে অর্ধেক খাবার তুলে দেন , সময়মতো স্নান করেন ও ঘুমোন । ছোটো মামাদের মতোই
খবরের কাগজের কথায় তর্ক ও শেষ পর্যন্ত দেশ সম্পর্কে একরাশ হতাশা ঝেড়ে ফেলে
সিনেমা দেখতে বা বেড়াতে চলে যান । এসব বিষয়ে অন্যদের সঙ্গে মেসোর মিল দেখে
তপনের জ্ঞানচক্ষু উন্মোচিত হয় । সে বুঝতে পারে লেখকরা আকাশ থেকে পড়া জীব নয়,
নিছকই মানুষ ।