চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত হল এক ধরণের ভূমি - রাজস্ব
ব্যবস্থা । লর্ড কর্ণওয়ালিস ১৭৯৩ সালে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যায় এই ব্যবস্থা
চালু করেন । পরবর্তীকালে বারাণসী , উত্তর - পশ্চিম প্রদেশ ও মাদ্রাস
প্রেসিডেন্সির কোনো কোনো অঞ্চলে চালু করা হয় ।
|
লর্ড কর্ণওয়ালিস |
চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পটভূমিঃ
কোম্পানির কর্মচারী ও ঐতিহাসিক আলেকজান্ডার ডাও প্রথম ১৭৭২ সালে চিরস্থায়ী
বন্দোবস্তের কথা বলেন । এরপর হেনরি পাত্তুলো , ড্যাক্রিস , টমাস ল প্রমুখ এই
বন্দোবস্তের সপক্ষে যুক্তি দেন । ১৭৮৬ সালে কর্ণওয়ালিশ গভর্নর জেনারেল হয়ে
ভারতে আসেন । তিন বছর ধরে বাংলার ভূমি - রাজস্ব ব্যবস্থা সম্পর্কে ব্যপক
অনুসন্ধান চালান ।
১৭৯০ সালে দেশীয় জমিদারদের সঙ্গে দশ বছরের জন্য একটি
বন্দোবস্ত করেন যা ‘দশসালা বন্দোবস্ত' নামে পরিচিত । সেই সঙ্গে জানিয়ে দেন , ইংল্যান্ডের কর্তপক্ষ অনুমোদন করলে এই
বন্দোবস্তই ' চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ’ - এ পরিণত হবে । এই প্রসঙ্গে কর্ণওয়ালিসের
সঙ্গে তাঁর পরিষদের সদস্য জন শোর - এর মতপার্থক্য দেখা দেয় । তিনি বলেন ,
এবিষয়ে আরও বিশদ তথ্য সংগ্রহ করা প্রয়োজন ।
‘দশসালা’ কে স্থায়ী বন্দোবস্তে পরিবর্তন না করে, ধীরে ধীরে একাজে এগোনো উচিত । কিন্তু
কর্ণওয়ালিস দাবি করেন, সরকারের হাতে যথেষ্ট তথ্য আছে । তিনি যুক্তি দেন,
চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চালু হলে জমিদাররা কৃষকদের স্বার্থের দিকে আরও বেশি নজর
দেবে । ইংল্যান্ডের কতৃপক্ষ কর্ণওয়ালিসের অভিমতকে সমর্থন করেন । ফলে ১৭৯৩ সালে
'দশসালা বন্দোবস্ত’ "চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত" হিসাবে ঘোষিত হয় ।