উত্তরঃ– প্রখ্যাত
শিশুসাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবীর গল্প ‘জ্ঞানচক্ষু' - র কেন্দ্রীয় চরিত্র
তপন । বিশাল পৃথিবীতে স্বল্প বাস্তবতাবোধ নিয়ে আর পাঁচটা শিশুর মতোই তারও পথ চলা
। লেখকদের সম্পর্কে তার ধারণা সে -কথাই বলে । সেই তপন তার লেখক মেসোমশাইয়ের
সান্নিধ্যে এসে তার প্রতিভাকে বিকশিত করে কাঁচা হাতে লিখে ফেলে একটা আস্ত গল্প ।
সেই গল্প মেসোর হাতে গেলে মেসো তপনের ও বাড়ির লোকেদের মন রাখার জন্য তা সামান্য
কারেকশন করে । ‘সন্ধ্যাতারা' পত্রিকায় ছাপিয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার করেন ও
সেটি নিয়ে যান । এর বেশ কিছু দিন পর ‘সন্ধ্যাতারা' পত্রিকায় গল্পটি ছেপে
বেরোয় । তপনের কাছে এই চমকপ্রদ ঘটনাটিই অলৌকিক বলে মনে হয়েছিল ।
‘অলৌকিক’ শব্দটির আভিধানিক অর্থ হল মানুষের পক্ষে যা
সম্ভব নয় বা যা পৃথিবীতে সচরাচর ঘটে না । এক্ষেত্রে ছোট্ট তপনের
লেখা গল্প
পরিবেশ ও পরিস্থিতির সমন্বয়ে যেভাবে ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হয়েছিল সেটাই অলৌকিক
।
আসলে তপনের লেখক সম্পর্কে ধারণার অবসান, গল্প লেখা, তা ছোটো
মেসোর হাত ধরে ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হওয়া প্রভৃতি ঘটনাগুলি তার কাছে এতটাই
অবিশ্বাস্য যে, তার মনে হয় সমস্ত ঘটনাটিই যেন অলৌকিক ।