ভারতের সমাজ ও শিক্ষা সংস্কারে ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান ব্যাখ্যা করো ।

ভূমিকা :-
      বাংলায় তথা ভারতবর্ষে যিনি একক প্রচেষ্টায় সংস্কার আন্দোলনের ঝড় তুলেছিলেন তিনি হলেন ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর । তিনি ছিলেন উনিশ শতকের বাংলার অন্যতম পথিকৃত ।



 শিক্ষার সংস্কৃতি :-
          তিনি শিক্ষার প্রসারে যেসব উল্লেখ যোগ্য পদক্ষেপ গ্রহন করেছিলেন সেগুলি হল —
   ১. বিদ্যালয় স্থাপন :-
              বিদ্যাসাগর নিজ উদ্দোগে ২০টি মডেল স্কুলের স্থাপন করেন । ১৯৭২ সালে মেট্রোপলিটন ইন্সটিটিউশন স্থাপন করেন ।

   ২. নারী শিক্ষার প্রসার :-
                   তিনি ড্রিঙ্ক ওয়াটার বেথুনের সাহায্যে ১৯৪৯ সালে হিন্দু ফিমেল স্কুল স্থাপন করেন । এছাড়া তিনি বিভিন্ন জেলায় ৩৫ টি বালিকা বিদ্যালয়ের স্থাপন করেন ।

   ৩. মাতৃ ভাষায় শিক্ষাদান :-
                 শিক্ষা প্রসারের ক্ষেত্রে বিদ্যাসাগর সংস্কৃত ও মাতৃ ভাষায় শিক্ষা গ্রহনের ওপর জোর পদক্ষেপ গ্রহন করেন ।

   ৪. পাঠ্য পুস্তক রচনা :-
                বিদ্যাসাগর বাচ্ছাদের জন্য 'বর্ণপরিচয়', 'শিশুশিক্ষা',  'কথাবলা', 'বোধদ্বয়' প্রভৃতি পাঠ্য পুস্তকের রচনা করেন ।


সমাজ সংস্কার :-
   ক. বিধবা বিবাহ :-
              বিদ্যাসাগরের সব কীর্তির মধ্যে উল্লেখ যোগ্য ছিল বিধবা বিবাহ রোধ । ১৮৫৬ সালে তাঁর উদ্দোগে লর্ড ডালহৌসি এই আইন পাস করেন ।

  খ. বাল্য বিবাহের বিরোধীতা :-
                বিদ্যাসাগরের সব কীর্তির মধ্যে অন্যতম উল্লেখ যোগ্য ছিল "বাল্য বিবাহের বিরোধীতা" । তিনি বাল্য বিবাহের বিরোধীতা করে 'বল্য বিবাহের দোষ' নামে একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করেছিলেন ।

  গ. বহু বিবাহের বিরোধীতা :-
                 তিনি বহু বিবাহের বিরোধীতা করে ২ টি বই প্র্আশ করেন । তিনি প্রায় পঞ্চাশ হাজার ব্যক্তির সাক্ষর করে এই প্রতিবাদ পত্র ব্রিশ সরকিরের কাছে পেশ করেন ।

  আন্যান্য সংস্কার :-
            এছাড়া তিনি গঙ্গায় সন্তান বিসর্জন, অস্পৃশ্যতা, জাতিভেদ প্রথা, প্রভৃতি কু-প্রথার বীরোধীতা করেন ।

 মূল্যায়ন :-
        মাইকেল মধুসূদন দত্ত বলেছেন, বিদ্যাসাগরের মধ্যে মিশ্রিত হয়েছিল প্রচীন ঋষিয প্রজ্ঞি ও মাহাত্ব । ঐতিহাসিক আমলেশ ত্রিপাটি তাঁকে "ট্রেডিশানাল মডারেশন" নামে আখ্যা দিয়েছেন ।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.