৪. ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধে যে নানা ধরনের কলমের বর্ণনা রয়েছে, তা
সংক্ষেপে আলোচনা করো ।
উত্তরঃ ‘হারিয়ে যাওয়া কালি
কলম’ প্রবন্ধে লেখক শ্রীপান্থ নানা ধরনের কলমের কথা লিখেছেন ।
একসময় কলম তৈরি হত সরু বাঁশের কঞ্চি কেটে । তারও বহুকাল আগে,
জিশু খ্রিস্টের জন্মের আগে হাড় নলখাগড়া প্রভৃতি দিয়ে কলম বানানো হত ।
তারপরে এল স্টাইলাস বা ব্রোঞ্জের শলাকা দিয়ে তৈরি কলম । এ ছাড়া চিনারা
চিরকালই তুলিতে লেখে । আবার সরস্বতী পুজোয় দেখা যায় খাগের কলম ।
একসময় পাখির পালকের মুখ সরু করে তৈরি হত কলম, যার নাম ছিল
“কুইল” । আধুনিক যুগে সস্তা ও সহজলভ্য কলমকে বলে ডট -পেন বা বল -পেন ।
তবে কলমের দুনিয়ায় বিপ্লব এনেছিল ফাউন্টেন পেন বা ঝরনা কলম ।
একইসঙ্গে আভিজাত্য ও সাবলীলতাই ছিল এই ফাউন্টেন পেনের বিশেষত্ব ।
একসময় এই কলমের নাম ছিল রিজার্ভার পেন । এভাবে বিভিন্ন কলমের
বৈচিত্র্যপূর্ণ বর্ণনা প্রসঙ্গে প্রাবন্ধিক মুনশিয়ানার সঙ্গে কলমের উন্মেষ
বিকাশ ও বিবর্তনের যাত্রাপথটিকেও ফুটিয়ে তুলেছেন ।