কলম আঁকড়ে পড়ে থাকা’ -র কয়েকটি নিদর্শন প্রবন্ধ অনুসারে লেখো ।

১২. ‘সুতরাং, যখন দেখি এত পরিবর্তনের মধ্যে কেউ কলম আঁকড়ে পড়ে আছেন তখন বেশ ভালো লাগে । – কোন্ পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে ? ‘কলম আঁকড়ে পড়ে থাকা’ -র কয়েকটি নিদর্শন প্রবন্ধ অনুসারে লেখো ।




উত্তরঃ  প্রাবন্ধিক শ্রীপান্থ উদ্ধৃত অংশে কলমের প্রাচীন থেকে আধুনিক যুগে বিবর্তনের কথা বলেছেন এই বিবর্তন আসলে কালি-কলম ছেড়ে কম্পিউটারের কি-বোর্ড আঁকড়ে ধরার বিবর্তন ।

      আধুনিক যুগে কম্পিউটারের ব্যবহার অপ্রতিরোধ্য হওয়া সত্ত্বেও এই যুগের সাহিত্যিকদের অধিকাংশই কলম ব্যবহারেই স্বচ্ছন্দ । অন্নদাশঙ্কর রায় ও সুভাষ মুখোপাধ্যায় টাইপরাইটার ব্যবহার করলেও , অন্যেরা প্রায় সকলেই কলমে লিখতেন ।

   সত্যজিৎ রায় নিবের কলম ব্যবহার করেছেন সারাজীবন । লিপিশিল্প ছিল তাঁর শখ । স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও যে চিত্রশিল্পী হিসেবে সম্মান লাভ করেছিলেন তারও সূত্রপাত তাঁর পাণ্ডুলিপিতে । তিনি অক্ষর কাটাকুটি করতে গিয়ে সৃষ্টি করেছিলেন ছন্দবন্ধ সাদা-কালো চিত্রের ।

    কম্পিউটারের আঁকা ছবি কতটা মানবিক, এই প্রশ্ন তোলেন প্রাবন্ধিক ! এই যন্ত্রসভ্যতার যুগেও কলমের সঙ্গে লেখকের মানবিক বন্ধনটুকু সযত্নে রক্ষা করে চলেছেন যাঁরা, প্রাবন্ধিক তাঁদের দেখে আনন্দিত হন এবং আশ্বস্ত বোধ করেন ।

  এই বিবর্তমান সভ্যতার মাঝে লেখকের সঙ্গে কলমের চিরকালীন অপরিবর্তনীয় ধ্রুব সম্পর্ক -কে আঁকড়ে ধরেই তিনি বেঁচে থাকতে চান ।












Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.