৫. "এর প্রত্যেকটি লাইনই তো নতুন আনকোরা, তপনের অপরিচিত' — 'এর' বলতে কীসের কথা বলা হয়েছে ? বিষয়টি পরিস্ফুট করো ।
উত্তরঃ– উদ্ধৃত লাইনটি
আশাপূর্ণা দেবী রচিত 'জ্ঞানচক্ষু' গল্পের অংশবিশেষ । এখানে ‘এর’ বলতে গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র তপনের প্রথম ছেপে বেরোনো গল্প ‘প্রথম দিন' -এর
কথা বলা হয়েছে ।
গল্পের নায়ক তপন ছোটোবেলা থেকেই ভাবত লেখকরা বুঝি অন্য
জগতের মানুষ । কিন্তু ছোটোমাসির সঙ্গে বিয়ে হওয়া নতুন মেসোকে দেখে তার সেই
ভুল ভাঙে । তার নতুন মেসো বই লেখেন । সেসব বই ছাপাও হয় অথচ মেসোর আচার -
আচরণের সঙ্গে তার বাবা, ছোটোমামা বিস্তারিত আলোচনা বা মেজোকাকুর আচার - আচরণের
কোনো তফাতই সে খুঁজে পায় না । তপন বোঝে, লেখকরা আকাশ থেকে পড়া কোনো জীব নয় ।
অনুপ্রাণিত তপন একটা আস্ত গল্প লেখে যেটা তার মাসির হাত
ঘুরে মেসোর হাতে পড়ে । মাসির পীড়াপীড়িতে সামান্য কারেকশন করে সে গল্প
‘সন্ধ্যাতারা’ -য় ছাপিয়ে দেন নতুন মেসো । বাড়িতে সে নিয়ে আনন্দের শেষ নেই ।
কিন্তু ছোট্ট তপন সকলের অনুরোধে গল্প পড়তে শুরু করতেই সুর কেটে যায় । তপন
দেখে কারেকশনের নাম করে মেসো তার লেখাটা আগাগোড়াই বদলে দিয়েছেন । গল্পের
প্রত্যেকটি লাইনই তার কাছে নতুন লাগে । তার শিশুমন ব্যথায় ভরে ওঠে ।