বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ


বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ


১. প্রাকৃতিক ভূ-দৃশ্য কাকে বলে?

উঃ সমভূমি, মালভূমি, পাহাড়, পর্বত প্রভৃতিকে প্রাকৃতিক ভূ-দৃশ্য বলে।

২. ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া কী?

উঃ সে সকল প্রক্রিয়া ভূমিরূপ সৃষ্টি করতে সাহায্য করে তাদের ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া বলে।

৩. ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া কয় প্রকার ও কী কী?

উঃ দুই প্রকার। যথা- পার্থিব প্রক্রিয়া ও মহাজাগতিক প্রক্রিয়া।

৪. পার্থিব প্রক্রিয়া কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

উঃ ভূ-অভ্যন্তরে ও ভূ-পৃষ্ঠের উপরিভাগে যেসকল প্রক্রিয়া ভূমিরূপ গঠনে সক্রিয় তাদের পার্থিব প্রক্রিয়া বলে। যথা- ভূমিকম্প, নদীর কার্য ইত্যাদি।

৫. মহাজাগতিক প্রক্রিয়া বলতে কী বোঝ?

উঃ উল্কা পতন, জ্যোতিষ্কের টুকরো প্রভৃতি মহাজাগতিক বস্তু দ্বারা ভূমিরূপের পরিবর্তন ঘটলে তাকে মহাজাগতিক প্রক্রিয়া বলে।

৬. বহির্জাত প্রক্রিয়া কাকে বলে?

উঃ যে সকল প্রক্রিয়া ভূ-পৃষ্ঠের উপরিভাগের প্রাথমিক ভূমিরূপের পরিবর্তন ও বিবর্তন ঘটায় তাদের বহির্জাত প্রক্রিয়া বলে।

৭. বহির্জাত প্রক্রিয়ার শক্তি বলতে কী বোঝ?

উঃ বহির্জাত প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী প্রাকৃতিক শক্তিগুলিকে বহির্জাত প্রক্রিয়ার শক্তি বলে।

৮. বহির্জাত প্রক্রিয়ার বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।

উঃ বহির্জাত প্রক্রিয়ার বৈশিষ্ট্যগুলি হল-

১) ভূ-পৃষ্ঠ এবং উপপৃষ্ঠীয় অংশে এই প্রক্রিয়া কাজ করে।

২) এটি একটি ধীর প্রক্রিয়া।

৩) জলবায়ু ও শিলার গঠনের তারতম্যের জন্য পৃথিবীর এক এক অঞ্চলে এক একটি শক্তি বেশি সক্রিয় থাকে, যেমন মরু অঞ্চলে বায়ুশক্তি ও মেরু অঞ্চলে হিমবাহ শক্তি প্রধান ভূমিকা পালন করে।

৪) আর্দ্র অঞ্চলে বহির্জাত প্রক্রিয়ায় সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে নদী শক্তি।

৫) অধিকাংশ ক্ষেত্রে একাধিক শক্তি ভূমিরূপ গঠনে সক্রিয় থাকে।

৯. অবরোহণ প্রক্রিয়া কাকে বলে?

উঃ যে সকল প্রক্রিয়া নগ্নীভবন এবং ক্ষয়ীভবনের দ্বারা ভূমির উচ্চতা হ্রাস করে তাকে অবরোহণ বলে।

Clicks and Buy now


১০. পুঞ্জিত স্থলন কী ?

উঃ আবহবিকারের দ্বারা সৃষ্ট শিলাখণ্ড ও আলগা মাটি পাহাড়ের ঢাল বেয়ে নীচের দিকে নামে। অভিকর্ষটানের ফলে এটা ঘটে। একে পুঞ্জিত স্খলন বলে।

১১. ক্ষয়ীভবন কাকে বলে?

উঃ চূর্ণ-বিচূর্ণ শিলা ও মাটি অন্যত্র অপসারিত হলে তাকে ক্ষয়ীভবন বলে।

১২. নগ্নীভবন কাকে বলে?

উঃ পুঞ্জিত স্খলন ও ক্ষয়ীভবন এই দুই প্রক্রিয়ার ফলে নীচের মূল শিলা নগ্ন বা উন্মুক্ত হলে তাকে নগ্নীভবন বলে।

১৩. অবরোহণ প্রক্রিয়ার নিয়ন্ত্রকগুলি কী কী?

উঃ নদী, বায়ু, হিমবাহ।

১৪. অবরোহণ প্রক্রিয়ার প্রভাবগুলি উল্লেখ করো।

উঃ অবরোহণ প্রক্রিয়ার প্রভাবগুলি হল-

১) নানা ধরণের ক্ষয়জাত ভূমিরূপ সৃষ্টি হয়।

২) পাহাড়ের ক্ষয়িষ্ণু ঢাল ক্রমশ পিছনদিকে সরে যায়। একে ঢালের পশ্চাৎ-অপসারণ বলে।

৩) উত্তল এবং অবতল ঢাল সৃষ্টি হয়।

১৫. আরোহণ প্রক্রিয়া কাকে বলে?

উঃ যে প্রক্রিয়ায় ক্ষয়জাত পদার্থ ভূ-পৃষ্ঠের অবনমিত অংশে সঞ্চিত হয়ে উচ্চতা বৃদ্ধি করে তাকে আরোহণ বলে।

১৬. আরোহণ প্রক্রিয়ার নিয়ন্ত্রকগুলি কী কী?

উঃ নদী, হিমবাহ ও বায়ু।

১৭. আরোহণ প্রক্রিয়ার প্রভাবগুলি লেখো।
উঃ আরোহণ প্রক্রিয়ার প্রভাবগুলি হল-

১) ভূ-পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পায়।

২) ভূমির ঢালের সমতা বৃদ্ধি পায়।

৩) নদী মোহনায় ব-দ্বীপ সৃষ্টি হয়।

৪) বায়ুর দ্বারা বালিয়াড়ি সৃষ্টি হয়।

১৮. পর্যায়ন প্রক্রিয়া কাকে বলে?

উঃ অবরোহণ ও আরোহণ প্রক্রিয়া দুটিকে একত্রে পর্যায়ন বলে।

১৯. জলচক্র কাকে বলে?

উঃ নদী-সাগর থেকে জল বাষ্পীভূত হয়ে ঊর্ধ্বাকাশে যায়। সেখআনে ঘনীভবন প্রক্রিয়ায় মেঘ সৃষ্টি হয়। মেঘ থেকে বৃষ্টি হয়। বৃষ্টির জল ভুপৃষ্ঠের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে নদী-নালা হয়ে পুনরায় সাগরে মিলিত হয়। জলের এই চক্রাকার আবর্তনকে জলচক্র বলে।

২০. জলচক্র কয়টি পর্যায়ে ঘটে? কী কী?

উঃ চারটি পর্যায়ে ঘটে। যথা-

১) বাষ্পীভবন

২) ঘনীভবন

৩) অধঃক্ষেপণ

৪) পৃষ্ঠপ্রবাহ

২১. নদী অববাহিকা কাকে বলে?

উঃ যে বিস্তৃত অঞ্চলের জল একটি নদীখাতে প্রবাহিত হয় সেই অঞ্চলকে নদী অববাহিকা বলে।


২২. নদীর জলচক্র কাকে বলে?

উঃ একটি নির্দিষ্ট নদী অববাহিকা অঞ্চলে যে জলচক্র সক্রিয় থাকে তাকে নদীর জলচক্র বলে।

২৩. জলবিভাজিকা কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

উঃ দুটি নদীর অববাহিকার মধ্যবর্তী উঁচুভূমিকে জলবিভাজিকা বলে। নর্মদা ও শোন জলবিভাজিকা জল অমরকণ্টক।

২৪. জলবিভাজিকার বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।

উঃ জলবিভাজিকার বৈশিষ্ট্যগুলি হল –

১) উঁচু পাহাড় বা শৈলশিরা জলবিভাজিকার কাজ করে।

২) নদীর উচ্চগতিতে এটা দেখা যায়।

৩) জলবিভাজিকা অঙচলে নদী উপত্যকা সঙ্কীর্ণ হয়।

৪) অধিকাংশ ক্ষেত্রে জলবিভাজিকা অঞ্চলে প্রথম পর্যায়ে ছোটো ছোটো নদী সৃষ্টি হয়।

২৫. আদর্শ নদী কাকে বলে?

উঃ যে নদীর প্রবাহে উচ্চগতি, মধ্যগতি ও নিম্নগতি এই তিনটি গতিই দেখা যায় তাকে আদর্শ নদী বলে। যেমন – গঙ্গা নদী।

২৬. আদর্শ নদীর কয়টি গতি? কী কী?

উঃ তিনটি গতি। যথা - উচ্চগতি, মধ্যগতি ও নিম্নগতি।

২৭. নদীর উচ্চগতি কাকে বলে?

উঃ উৎস থেকে পার্বত্য অঞ্চলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নদীর গতিপথকে উচ্চগতি বলে।

২৮. গঙ্গা নদীর উচ্চগতি কোথা থেকে কোথা পর্যন্ত বিস্তৃত?

উঃ গোমুখ থেকে হরিদ্বার পর্যন্ত (২৩০ কিমি) পর্যন্ত বিস্তৃত।

২৯. উচ্চগতির বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।

উঃ উচ্চগতির বৈশিষ্ট্যগুলি হল –

১) উচ্চগতি পার্বত্য অঞ্চলে সীমাবদ্ধ।

২) এখানে নদী উপত্যকার বিস্তার কম হয় কিন্তু পার্শ্বদেশ খাড়া ও ইংরাজি ‘V’ আকৃতির হয়।

৩) গভীর গিরিখাত ও জলপ্রপাত সৃষ্টি হয়।

৪) নদীর জলের উৎস হল বৃষ্টির জল ও বরফগলা জল।

৫) প্রধান কাজ হল ক্ষয়।

৩০. নদীর মধ্যগতি কাকে বলে?

উঃ পর্বতের পাদদেশ থেকে সমভূমির উপর দিয়ে প্রবাহিত গতিপথকে মধ্যগতি বলে।

৩১. গঙ্গা নদীর মধ্যগতি কোথা থেকে কোথা পর্যন্ত বিস্তৃত?

উঃ হরিদ্বার থেকে পশ্চিমবঙ্গের ধূলিয়ান (১৭০০ কিমি) পর্যন্ত বিস্তৃত।

৩২. নদীর মধ্যগতির বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।

উঃ নদীর মধ্যগতির বৈশিষ্ট্যগুলি হল –

১) এই গতিপথে ক্ষয় ও বহন কার্য সক্রিয়।

২) নদী উপত্যকা ক্রমশ প্রশস্ত হয়।

৩) মিয়েণ্ডার ও অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদের সৃষ্টি হয়।

৪) নদী উপত্যকা কিছুটা ‘U’ আকৃতির হয়।

৩৩. নিম্নগতির অপর নাম কী?

উঃ বদ্বীপ প্রবাহ।

৩৪. গঙ্গা নদীর নিম্নগতি তোথা থেকে কোথা পর্যন্ত বিস্তৃত?

উঃ ধূলিয়ান থেকে বঙ্গোপসাগরের মোহানা (৬০০ কিমি) পর্যন্ত বিস্তৃত।

৩৫. নদীর কয়টি কাজ ও কী কী?

উঃ তিনটি কাজ। যথা – ক্ষয়কার্য, বহন কার্য ও সঞ্চয়কার্য।

৩৬. নদীর ক্ষয়কার্য কোন গতিতে সম্পন্ন হয়?

উঃ উচ্চগতিতে।

৩৭. নদীর ক্ষয়কার্য কয়টি প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয়?

উঃ ৪টি প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয়।

৩৮. অবঘর্ষ কাকে বলে?

উঃ নদীর জলের সাথে বহমান শিলাখণ্ড সমূহ নদীগর্ভে ও পার্শ্বদেশের সাথে ঘর্ষণজনিত ক্রিয়ায় ক্ষয় করে। এই প্রক্রিয়ায় নাম অবঘর্ষ।

৩৯. দ্রবণ ক্ষয় কাকে বলে?

উঃ নদীর জল দ্রবণযোগ্য শিলার (চুনাপাথর) উপর দিয়ে প্রবাহিত হবার সময় রাসায়নিক বিক্রিয়ায় শিলার দ্রুত ক্ষয় সাধন করে। একে দ্রবণ ক্ষয় বলে।

৪০. ঘর্ষণ ক্ষয় বা সংঘাত ক্ষয় কাকে বলে?

উঃ নদীর জলপ্রবাহের সাথে চলমান বড়ো বড়ো শিলাখণ্ড বা বোল্ডার পরস্পরের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রস্তরখণ্ড ও বালুকণায় পরিণত হয়। একে ঘর্ষণ ক্ষয় বা সংঘাত ক্ষয় বলে।

৪১. ষষ্ঠ ঘাতের সূত্র কী?

উঃ কোনো কারণে নদীর গতিবেগ দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেলে, নদীর বহন ক্ষমতা ৬৪ গুণ বৃদ্ধি পায়, একে ষষ্ঠঘাতের সূত্র বলে।

৪২. নদীর মধ্যগতির প্রধান কাজ কী?

উঃ বহনকার্য।

৪৩. নদী কী কী প্রক্রিয়ায় তার বহনকার্য সম্পন্ন করে?

উঃ নদী ৪ ভাবে তার বহনকার্য সম্পন্ন করে । যথা – দ্রবণ পরিবহন, ভাসমান প্রক্রিয়া, আকর্ষণ পক্রিয়া ও লম্ফদান পক্রিয়া।

৪৪. লম্ফদান প্রক্রিয়া কাকে বলে?

উঃ বড়ো বড়ো নুড়ি ও পাথর নদীর তলদেশে ধাক্কা খেয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে অন্যত্র পরিবাহিত হলে একে লম্ফদান প্রক্রিয়া বলে।

৪৫. নদীর কোন গতিতে সঞ্চয়কার্য সম্পন্ন হয়?

উঃ নিম্নগতিতে।

৪৬. নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট দুটি ভূমিরূপের নাম লেখো।

উঃ ইংরাজি ‘V’ ও ‘I’ আকৃতির উপত্যকা, গিরিখাত, শৃঙ্খলিত শৈলশিরা ইত্যাদি।

৪৭. গিরিখাত কাকে বলে?

উঃ নিম্নক্ষয় অত্যন্ত গভীর হলে নদী উপত্যকাও অতি গভীর হয়। এইরূপ উপত্যকার দুপাশে কখনও খাড়া প্রাচীরের মতো পাহাড় থাকে। অতি গভীর ও সংকীর্ণ এই উপত্যকাকে গিরিখাত বলে।

৪৮. ক্যানিয়ন কী?

উঃ শুষ্ক জলবায়ু অঞ্চলে বৃষ্টির অভাবে উপত্যকার পার্শ্বক্ষয় হয় না। অত্যধিক নিম্নক্ষয়ের ফলে উপত্যকা অত্যন্ত গভীর ও সংকীর্ণ হয়। শুষ্ক অঞ্চলের অতি গভীর ও সংকীর্ণ গিরিখাতকে ক্যানিয়ন বলে।

৪৯. পৃথিবীর বৃহত্তম গিরিখাত বা ক্যানিয়ন কোনটি? এর গভীরতা কত?

উঃ আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো নদীর গ্র্যাণ্ড ক্যানিয়ন। প্রায় ১৬০০ মিটার।

৫০. পৃথিবীর গভীরতম গিরিখাত কোনটি? এর গভীরতা কত?

উঃ পেরু দেশের এল-কানন-দ্য কলকা। এর গভীরতা ৩২২৩ মিটার।

৫১. শৃঙ্খলিত বা আবদ্ধ শৈলশিরা কাকে বলে?

উঃ পার্বত্য প্রবাহে নদীর পথে শৈলশিরা বা পাহাড় থাকলে বাধার সৃষ্টি করে। তখন নদী ওই কঠিন শিলার পাহাড়কে ক্ষয় করতে না পেরে এঁকে বেঁকে প্রবাহিত হয়। অনেকদূর থেকে দেখলে মনে হয় ওই শৈলশিরাগুলির প্রান্তদেশে একে অপরের সঙ্গে আবদ্ধ আছে।একে শৃঙ্খলিত বা আবদ্ধ শৈলশিরা বলে।

৫২. জলপ্রপাত কাকে বলে?

উঃ পার্বত্য গতিপথে ভূমির ঢাল অত্যন্ত খাড়া হলে নদীর জল উঁচু অংশ থেকে খাড়া ঢাল বরাবর অনেক নীচে পতিত হলে তাকে জলপ্রপাত বলে।

৫৩. পৃথিবীর উচ্চতম জলপ্রপাতের নাম কী?

উঃ ভেনিজুয়েলার কারাও নদীর শাখাপথে অবস্থিত সাল্টো অ্যাঞ্জেল জলপ্রপাত।

৫৪. ভারতের উচ্চতম জলপ্রপাত কোনটি?

উঃ কর্ণাটক রাজ্যের অন্তর্গত সরাবতী নদীর গেরসোপ্পা বা যোগ জলপ্রপাত।

৫৫. পৃথিবীর সবচেয়ে মনোরম জলপ্রপাত কোনটি? এটি কোথায় অবস্থিত?

উঃ নায়াগ্রা জলপ্রপাত। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত।



PAGE


Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.