কোথাও জীবনের খোরাক, হাসির খোরাক নেই” – বক্তা কে ? বক্তার এমন মনে হওয়ার কারন কী ?

“কোথাও জীবনের খোরাক, হাসির খোরাক নেই” – বক্তা কে ? বক্তার এমন মনে হওয়ার কারন কী ?

 👉🏼 কবি শম্ভু মিত্রের লেখা “বিভাব” নাটকের উক্ত লাইনটির বক্তা হলেন শম্ভু মিত্র নিজেই ।

 
    নায়ক শম্ভু আমরের সাথে হাসির প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অনুভব করে, ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যে বসে বসে জীবনকে অনুভব করা যাবে না । ঘরের বদ্ধ জীবনে হাসির খোরাক নেই । রাস্তায় অসংখ্য মানুষের মধ্যে রয়েছে প্রকৃত হাসির উপাদান ।

     একটু খুঁটিয়ে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে - এই কথার মধ্যে রয়েছে, একশ্রেণীর মানুষ দেশের সাধারণ জনগণের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন । আত্মকেন্দ্রিক এই মানুষগুলো কোন ভাবেই দেশের সাধারণ মানুষের দুঃখ কষ্ট অনুভব করতে পারে না । এই মানুষগুলোর প্রতি তীব্র একটা ব্যঙ্গ আছে ।


     বিভাব নাটকটি প্রথম অভিনীত ১৯৫১ সালে । সেই সময় দেশভাগ, খাদ্যসঙ্কট -কে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গ সহ সারাদেশে গভীর সংকট দেখা দেয় । সাধারণ মানুষ এক মুঠো ভাত-কাপড়ের জন্য রাস্তায় রাস্তায় কুকুরের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে । এই বিষয়ে তৎকালীন সরকারও উদাসীন ছিল । রাস্তায়, ফুটপাতে, পথে-ঘাটে তখন দেখা যেত – ভুখা-নাঙ্গা, উলঙ্গ নর-নারী । এই বিষয়টিকে তাৎপর্যপূর্ণ করে তোলার জন্য উক্ত কথাগুলি বলেছেন নাটকার । এখানে উত্ত চিত্র ও অর্থ কেন্দ্রিক মানুষগুলির প্রতি নাট্যকারের ব্যঙ্গ প্রকাশিত হয়েছে ।




Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.