👉🏼 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা "গুরু" নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র পত্রকের উক্তিটি ।
অচলায়তনের প্রথাবদ্ধ নিস্তরঙ্গ জীবনে কোন অদৃশ্য বার্তা বাহক এসে জানিয়েছে 'গুরু' আসছেন অচলায়তন । তার আগমনের প্রতীক্ষা করছে অচলায়তন বাসি ।
দাদা ঠাকুর বলেছেন — ‘কি বিপদ ! ভারি উত্পাত করবে তাহলে তো !' অচলায়তনের বাঁধা ধরা জীবনে গরুর আগমনের যে অচলায়তনের সৃষ্টি করবে সেটিকেই দাদা ঠাকুর বলেছেন ।
দাদা ঠাকুর মুক্ত প্রাণের প্রতীক । পঞ্চক ও শাস্ত্র কখনোই মানুষকে বাঁচাতে পারে না । অন্তঃসার শূন্যে শাস্ত্রের কোনো ভূমিকা নেই । তাই পঞ্চকের মনে হয়েছিল, এই শাস্ত্র সর্বোচ্চ শিক্ষা থেকে অচলায়তন মুক্ত থাকুক ।
হাজার বছর ধরে এভাবেই চলে আসছে সেই সংস্কার বদ্ধ জীবন । যে জীবন মানুষকে কোথায় পৌঁছে দেয় না । এই জীবন পঞ্চককে ক্লান্ত করে তোলে । সে নিয়ম ভাঙে প্রায়শ্চিত্ত করার লোভে ।
গুরু আসার খবর পঞ্চাকে আনন্দিত করেছে । সে জানে গুরু এলে অচলায়তনের আদিবাসীর নিস্তরঙ্গ জীবনে হয়তো একটু অন্য কিছু ঘটবে । সেই বৈচিত্র্যটুকুর লোভে প্রতীক্ষা করছে । সেই উৎপাত তার প্রানে মুক্তির স্পর্ষ এনে দেয় । তাই উৎপাত এখানে বেঁচে থাকার জন্য আনন্দের প্রতীক হয়ে উঠেছে ।