☀ ক্রান্তীয় ও নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাত এর মধ্যে পার্থক্য লেখো ।
👉
ক্রান্তীয় অঞ্ছলের ঘূর্ণবাত | Net work | |
---|---|---|
অবস্থান | উভয় গোলার্ধে ক্রান্তীয় অঞ্চলে 5 ° - 30 ° অক্ষাংশের মধ্যে উষ্ণ সমুদ্রে সৃষ্টি হয় । | উভয় গোলার্ধে নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে 30 ° -65 ° অক্ষাংশের মধ্যে সাধারণত স্থলভাগে সৃষ্টি হয় । |
সময় | প্রধানত গ্রীষ্মকাল ও শরৎকালে সৃষ্টি হয় । | বছরের যে কোন সময় জন্ম লাভ করলেও সাধারনত শীতকালে সৃষ্টি হয় । |
স্থায়িত্ব | স্বল্পস্থায়ী , মাত্র কয়েক ঘণ্টা । | দীর্ঘস্থায়ী , কয়েকদিন । |
আয়তন | খুব অল্প স্থান জুড়ে অবস্থান করে । | সুবিশাল অঞ্চল জুড়ে অবস্থান করে । |
আকৃতি অনুসারে | সমচাপ রেখা গুলি সাধারণত বৃত্তাকার হয় । | সমচাপ রেখা গুলি সাধারণত ' V ' আকৃতির হয় । |
সীমান্ত | একক বায়ুপুঞ্জ থাকায় সীমান্ত অনুপস্থিত | দুটি ভিন্ন বায়ুপুঞ্জের জন্য সীমান্ত সৃষ্টি হয় । |
শক্তির উৎস | জলীয় বাষ্পের ঘনীভবনের ফলে উৎপন্ন লীন তাপ । | উষ্ণ ও শীতল বায়ুপুঞ্জের তাপের পার্থক্য । |
বায়ুর চাপ | উষ্ণতার পার্থক্য বেশি হওয়ায় বায়ুচাপের পার্থক্য বেশি । | উষ্ণতার পার্থক্য কম হওয়ায় বায়ুচাপের পার্থক্য কম । |
গতিবেগ | ঝড়ের গতিবেগ ঘন্টায় 40-400 কিমি পর্যন্ত হয় । | ঝড়ের গতিবেগ ঘন্টায় 30-35 কিমি পর্যন্ত হয় । |
প্রবাহের দিক | আয়ন বায়ুর দ্বারা প্রভাবিত বলে পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয় । | পশ্চিমা বায়ু দ্বারা প্রভাবিত বলে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে অগ্রসর হয় । |
কেন্দ্রের অবস্তা | কেন্দ্র শান্ত ও আকাশ নির্মল থেকে । | কেন্দ্রে বায়ু ঊর্ধ্বগামী ও অশান্ত হয় । |
বৃষ্টিপাত | বজ্রবিদ্যুৎ সহ ক্ষণস্থায়ী ভারী বৃষ্টিপাত হয় । | দীর্ঘস্থায়ী হালকা বৃষ্টিপাত হয় । |
☀ চিত্রসহ মৃত্তিকা পরিলেখের বর্ণনা দাও ।
👉 মাটি গঠনের নিয়ন্ত্রক ও প্রক্রায়া সমূহের প্রভাবে সৃষ্ঠ এবং ভূপৃষ্ট্রের সাথে অনুভূমিক ভাবে বিস্তৃত বিভিন্ন বৈশিষ্ট যুক্ত এক-একটি পাতলা অথচ সুষ্পষ্ট স্তর, যা মাটির উপরের স্তর থেকে নীচের আদীশীলার স্তর পর্যন্ত বিস্তৃত, সুগঠিত স্তরকে মৃত্তিকা স্তর বা হরাইজন বলে । মাটির উপরের স্তর থেকে নীচের আদীশীলা স্তর পর্যন্ত বীস্তৃত মোট তিনটি স্তর রয়েছে । যথা - 'A' , 'B' , 'C'
মাটির উপরের স্তর থেকে নীচের আদীশীলা স্তর পর্যন্ত সুগঠিত মাটির লম্বচ্ছেদকে মাটির স্তরায়ধ বা স্তর বিন্যাস বা মাটির প্রোফাইল বা মৃত্তিকা পরিলেখ বলে ।
রুশ -মৃত্তিকা বিজ্ঞানী ডকুচায়েভ সর্বপ্রথম মাটির পরিলেখের ধারনা দেন । মৃত্তিকা পরিলেখ সাধারনত দুই ধরনের । যথা - ১. আদর্শ মৃত্তিকা পরিলেখ, ২. সম্পূর্ন বা কর্তিত পরিলেখ ।
☀ বায়ুপুঞ্জ কি ?
👉 A.N. Strahler & A.H.Strahler এর মতে – একটি বায়ু স্তর যার মধ্যবর্তী উদ্ধগামী বায়ুর উষ্ণতা ও আদ্রতার ঢাল একটি বিস্তৃর্ন অঞ্চল জুড়ে প্রায় সর্বত্র সমান, তাকে বায়ুপুঞ্জ বলে।
☀ পেডিপ্লেন ও পেনিপ্লেন এর মধ্যে পার্থক্য লেখো ।
👉 ১ ) সংজ্ঞা - স্বাভাবিক ক্ষয়চক্রের বার্ধক্য পর্যায়ে নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে যে প্রায় সমতল ভূমিরূপের সৃষ্টি হয় , তিকে পেনিপ্লেন বলে।অন্যদিকে মরু ক্ষয়চক্রের বার্ধক্য পর্যায়ে বায়ু ও জলধারার সম্মিলিত কার্যের ফলে যে প্রায় সমতল ভূমিরূপের সৃষ্টি হয় , তাকে পেডিপ্লেন বলে । "
২ ) প্রবক্তা -1899 খ্রীঃ উইলিয়াম মরিস ডেভিস পেনিপ্লেনের ধারণা দেন।অন্যদিকে , 1948 খ্ৰীঃ এল.সি. কিং পেডিপ্লেনের ধারণা দেন ।
৩ ) পরিলক্ষিত অঞ্চল - পেনিপ্লেন আর্দ্র ও বৃষ্টি বহুল জলবায়ু অঞ্চলে দেখা যায়।অন্যদিকে , পেডিপ্লেন মরু ও মরুপ্রায় জলবায়ু অঞ্চলে দেখা যায় ।
৪ ) নিয়ন্ত্রক সমূহ - পেনিপ্লেন সৃষ্টির প্রধান নিয়ন্ত্রক হলো নদী বা প্রবহমান জলধারা।অন্যদিকে , পেডিপ্লেন সৃষ্টির প্রধান নিয়ন্ত্রক হলো বায়ুপ্রবাহ ও জলধারার ।
৫ ) উচ্চতা পরিমাপ - সমুদ্র সমতল থেকে পেনিপ্লেনের উচ্চতা পরিমাপ করা হয়।কারণ নদীর নিম্নক্ষয় সীমা সমুদ্র সমতল দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।অন্যদিকে , পেডিপ্লেনের উচ্চতা স্থানীয় ভৌমজলস্তর থেকে করা হয়।কারণ বায়ুর ক্ষয়কার্যের শেষ সীমা স্থানীয় ভৌমজলস্তর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় ।
৬ ) ঢালের প্রকৃতি - পেনিপ্লেন উত্তল ঢাল বিশিষ্ট হয়।অন্যদিকে পেডিপ্লন অবতল ঢাল বিশিষ্ট হয় ।
৭ ) বিস্তার - পেনিপ্লেন অপেক্ষাকৃত স্বল্প পরিসর স্থান জুড়ে বিস্তার লাভ করে।অন্যদিকে পেডিপ্লেন বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে অবস্থান করে ।
৮ ) অবশিষ্ট পাহাড় - পেনিপ্লেনের ওপর অবশিষ্ট পাহাড় রূপে কঠিন শিলায় গঠিত মোনাডনক অবস্থান করে।অন্যদিকে , পেডিপ্লেনের ওপর অবশিষ্ট পাহাড় রূপে কঠিন শিলায় গঠিত ইনসেলবার্জ অবস্থান করে ।
☀ ডুরিকাস্ট বলতে কী বোঝো ?
👉 ডুরিক্রাস্ট হলো খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ একটা বিশেষ আবরণ শিলাস্তরের উপর যা প্রধানত সেমি রিলিজিয়ান অর্থাৎ অপেক্ষাকৃত কম শুষ্ক এলাকায় দেখা যায় এই শুষ্ক ভীষণ রকমের রকমের এলাকার থেকে কথা যেখানে অল্প স্বল্প বৃষ্টিপাত হয় এই সমস্ত অঞ্চলে ডুরিক্রাস্ট ফর্মেশন বাধাপ্রাপ্ত হয় যেটা ভৌম জল এর ইভাপোরেশন বা বাষ্পায়নের জন্য এই ধরনের শিলা স্তর তৈরি হয় এটা টপ মোস্ট পার্ট অফ শিলাস্তর অর্থাৎ শিলাস্তরের সবথেকে উপরের অংশ এবং একটি খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ থাকে ।
☀ সামুদ্রিক সঞ্চয়ের এর ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ গুলির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও ।
👉 সমুদ্র উপকূলে তরঙ্গ বাহিত ক্ষয়জাত পদার্থের সঞ্চয় ঘটে , ফলে নানা রকম সঞ্চয়জাত ভূমিরূপ গঠিত হয় । স্থলভাগ ও জলভাগ উভয়ক্ষেত্র থেকে সমুদ্র সৈকতে পদার্থের সঞ্চয় ঘটে । ব্যাকওয়াস অপেক্ষা সোয়াস তরঙ্গের দ্বারা সঞ্চয় কাজ বেশি হয় । সমুদ্র তরঙ্গের সঞ্চয় কার্যের ফলে সমুদ্র সৈকতে গঠিত ভূমিরূপ গুলি হল -
১. সমুদ্র সৈকত বা বেলাভূমি – তটভূমির উপর তরঙ্গবাহিত নানা আকৃতির শিলাখন্ড নুড়ি , কাঁকর , বালি ইত্যাদি সঞ্চিত হয়ে সমুদ্রের দিকে যে ঈষৎ ঢালু প্রায় সমতলভূমি গড়ে ওঠে , তাকে বলা হয় সমুদ্র সৈকত বা বেলাভূমি । ভূবিজ্ঞানী মঙ্কহাউসের মতে , জোয়ারের নিম্ন জলতল থেকে ঝটিকা তরঙ্গের তরঙ্গের দ্বারা প্রভাবিত সর্বোচ্চ সিমারেখা পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলে সঞ্চিত বস্তুভারকে সৈকত বা বেলাভূমি বলে ।
২. সামুদ্রিক বাঁধ - তরঙ্গের সঞ্চয় কার্যের ফলে অগভীর সমুদ্রের বুকে উপকূলের সমান্তরালে বা অর্ধাচন্দ্রাকারে বালি , কাঁকর জমা হয়ে নতুন ভূভাগ গড়ে ওঠে , এরুপ বাঁধের আকারে গঠিত ভূভাগ সামুদ্রিক বাঁধ নামে পরিচিত ।
সাধারণত উপকূলের মুখে বা নদী মোহনার সন্নিকটে সামুদ্রিক বাঁধ গুলি আড়াআড়ি ভাবে গড়ে ওঠে । প্রকৃতি ও গঠন অনুসারে সামুদ্রিক বাঁধকে চারভাগে ভাগ করা যায় –
ক ) পুরোদেশীয় বাঁধ – উপকূলের প্রায় সমান্তরালে কোন নদী মোহনার সাথে আড়াআড়ি ভাবে দীর্ঘ বাঁধের সৃষ্টি হলে , তাকে পুরোদেশীয় বাঁধ বলে । এরুপ বাঁধের পেছনে অর্থাৎ স্থলভাগের দিকে সমুদ্রের জলরাশি আবদ্ধ হয়েজলাভূমি ও উপহ্রদের সৃষ্টি করে । উদাহরণ – ভারতের চিল্কা হ্রদের সন্নিকটে গঞ্জাম থেকে রসিকুল্য পর্যন্ত একটি পুরোদেশীয় বাঁধের অবস্থান - রয়েছে ।
খ ) বেরিয়ার বীচ – উপকূলে অবস্থিত উপহ্রদের অপর দিকে অনেক সময় সামুদ্রিক বাঁধ সৃষ্টি হতে দেখা যায় , এরুপ উপহ্রদ দ্বারা উপকূল থেকে বিচ্ছিন্ন বাঁধকে বেরিয়ার বীচ বলে । উদাহরণ – আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের নিঊ জার্সি থেকে ফ্লোরিডা পর্যন্ত বিস্তৃত আটলান্টিক উপকূলে বেরিয়ার বীচ দেখতে পাওয়া যায় ।
গ ) টম্বোলো – উপকূলের সন্নিকটে অবস্থিত কোন দ্বীপকে অনেক সময় বাঁধ দ্বারা উপকূলের সাথে যুক্ত হতে দেখা যায় , এরুপ দ্বীপ সংযোগকারী বাঁধকে বলা হয় টম্বোলো । উদাহরণ – গ্রেট ব্রিটেনের সন্নিকটে অবস্থিত পোর্টল্যান্ড দ্বীপটি চেলসি সৈকতের সঙ্গে একটি টম্বোলো দ্বারা যুক্ত ।
ঘ ) স্পিট – অনেক সময় অগভীর সমুদ্রের বুকে নুড়ি , কাঁকর ইত্যাদি জমে একটি নতুন ভূভাগ গড়ে ওঠে । রেখার আকারে উপকূল থেকে সমুদ্রের দিকে প্রসারিত বা অভিক্ষিপ্ত হয় । এরুপ উপকূল ভাগ থেকে সমুদ্রের দিকে বিস্তৃত রেখা আকৃতির স্থলভাগকে স্পিট বলে ।
প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী স্পিট আবার দুভাগে বিভক্ত । যথা —
অ ) হুক স্পিট – সমুদ্রের মধ্যে অভিক্ষিপ্ত কোন স্পিটের আকৃতি সাঁড়াশির মতো বা বাঁকানো হুকের মতো হলে তাকে হুক বা কার্ভড স্পিট বলে ।
আ ) তীক্ষাগ্র পুরোভূমি বা ক্যাস্পেট ফোরল্যান্ড - একাধিক কার্ভড স্পিট সমুদ্রের মধ্যে পরস্পর মিলিত হয়ে সেখানকার তটভূমি ক্রমশ সমুদ্রের দিকে প্রসারিত হতে থাকে । এর ফলে সেখানে একটি ত্রিকোনাকৃতি ভূখন্ড বা অন্তরীপ গড়ে ওঠে । একেই বলে তীক্ষাগ্র পুরোভূমি বা ক্যাস্পেট ফোরল্যান্ড ।
☀ নিক পয়েন্ট কিভাবে সষ্টি হয় ?
👉 তখন নদী তার ঢালের সামঞ্জস্য ফিরিয়ে আনার জন্য পুনর্যৌবন লাভ করে নদী নতুন করে মস্তক ক্ষয় দ্বারা খাত কেটে এক নতুন ঢালের সৃষ্টি করে পুরাতন ঢালের সাথে মিলিত হয়। যে স্থানে নতুন ঢাল টি পুরনো ঢালের সাথে মিলিত হয়,, সেই স্থান অপেক্ষাকৃত উচ্চ হয় এবং একে নিক পয়েন্ট বলে। সাধারনত নিক পয়েন্টে জলপ্রপাতের সৃষ্টি হয়।
☀ গ্রীন হাউস গ্যাস নিয়ন্ত্রণের উপায় গুলি কি কি ?
👉 পৃথিবীর বায়ুমন্ডলীয় কিছু গ্যাস রয়েছে যাদের তাপমাত্রা শোষণ করার ক্ষমতা খুব বেশি । এই গ্যাস গুলি পার্থিব বিকিরনের বেশ কিছু অংশ শোষণ করে বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতাকে বৃদ্ধি করে গ্রীন হাউস প্রভাব ঘটায় । এই গ্যাসগুলিকে গ্রীনহাউস গ্যাস বলে । যেমন – কার্বন ডাই অক্সাইড , মিথেন , ক্লোরোফ্লোরোকার্বন , নাইট্রাস অক্সাইড , ওজোন ও জলীয় বাষ্প । গ্রিন হাউস গ্যাস নিয়ন্ত্রনের উপায় -
১. জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার হ্রাস - জীবাশ্ম জ্বালানী যেমন কয়লা , পেট্রোলিয়াম , প্রাকৃতিক গ্যাস যথাসম্ভব কম ব্যবহার করে বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমান হ্রাস করা সম্ভব । জ্বালানীর প্রয়োজনহীন যানবাহন ব্যবহারের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে ।
২. অপ্রচলিত শক্তির ব্যবহার - অচিরাচরিত শক্তি যেমন বায়ুশক্তি , সৌরশক্তি , ভূতাপীয় শক্তি ও জোয়ার ভাটার শক্তি ইত্যাদি ব্যবহারের প্রবনতা করতে হবে ।
৩. বনসৃজনে উৎসাহদান - অরন্যচ্ছেদন হ্রাস , বৃক্ষরোপণ ও বনসৃজনের দিকে নজর দিতে হবে । যাতে গাছপালা অতিরিক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে ।
৪. প্রযুক্তি গত উন্নয়ন – যানবাহন ও শিল্পক্ষেত্রে ইঞ্জিনের দক্ষতা বাড়িয়ে পেট্রোল ও ডিজেল ব্যবহার ও অপচয় কমিয়ে বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের সঞ্চয় কমাতে হবে ।
৫. আবর্জনার প্রক্রিয়াকরণ – মিথেন উৎপাদন কারী আবর্জনার সঠিক প্রক্রিয়াকরনের মাধ্যমে বায়ুমণ্ডলে মিথেনের সঞ্চয় কমাতে হবে ।
৬. CFC গ্যাসের উৎপাদন বন্ধ – এয়ার কন্ডিশনার , রেফ্রিজারেটর , স্প্রে ক্যান প্রভৃতি ক্ষেত্রে CFC ব্যবহারের পরিমান কমাতে হবে ।
৭. জনসচেতনতা বৃদ্ধি – জনগনকে গ্রিনহাউস গ্যাসের ক্ষতিকারক দিক গুলি সম্বন্ধে অবগত ও সচেতন করে তুলতে হবে ।
৮. সরকারী নীতি – গ্রীনহাউস গ্যাস কমানোর জন্য গবেষণার কাজে সরকারী সাহায্য ও উৎসাহ প্রধান এবং এই গ্যাসগুলি যাতে মাত্রা অতিরিক্ত ভাবে বৃদ্ধি না পায় তার জন্য কঠোর আইন প্রনয়ন একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন বিষয়
☀ভাদোস জল কি ?
👉 ভূপৃষ্ঠ থাকে ভৌমজল স্তর পর্যন্ত শিলাস্তরের যে অংশে, কখনও জল ধরে রাখতে পারে না তাকে ভাদোস স্তর বলে । অভিকর্ষজ টানের ফলেএই স্তরের মধ্যদিয়ে জল প্রবাহিত হওয়াকে ভাদোস জল বলে ।
☀ অন্তর্জাত ও বহির্জাত প্রক্রিয়ার মধ্যে পার্থক্য লেখ ।
👉
অন্তর্জাত প্রক্রিয়া | বহির্জাত প্রক্রিয় |
---|---|
( ১ ) ভূ - অভ্যন্তরীণ শক্তিসমূহ প্রাথমিক ভূমিরূপ গঠনে যে যে
পদ্ধতিতে কাজ করে সেগুলিই অন্তৰ্জাত প্রক্রিয়া ।
( ২ ) ভূ - অভ্যন্তরে গুরমণ্ডলের অন্তর্গত স্থিতিস্থাপক পদার্থের
ভৌতধর্মের ও রাসায়নিক ধর্মের পরিবর্তনে সৃষ্ট অন্তর্জাত শক্তি এই
প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে । এই শক্তিকে ভূগাঠনিক শক্তি বলে ।
( ৩ ) এই প্রক্রিয়া ভূত্বকে যেমন আকস্মিকভাবে কাজ করে তেমনি দীর্ঘ
সময় ধরে ধীরে ধীরে কাজ করে ।
( ৪ ) এই প্রক্রিয়ায় ভূত্বকের আপেক্ষিক স্থানান্তর ঘটে এবং
প্রধান ভূপ্রকৃতি রূপে মহাদেশ ও মহাসাগর কিংবা পর্বত , মালভূমি ও সমভূমি
গঠিত হয় ।
|
( ১ ) ভূ - অভ্যন্তরীণ শক্তিসমূহ প্রাথমিক ভূমিরূপ গঠনে যে যে পদ্ধতিতে কাজ করে সেগুলিই অন্তৰ্জাত প্রক্রিয়া ।
( ২ ) ভূ - অভ্যন্তরে গুরমণ্ডলের অন্তর্গত স্থিতিস্থাপক পদার্থের
ভৌতধর্মের ও রাসায়নিক ধর্মের পরিবর্তনে সৃষ্ট অন্তর্জাত শক্তি এই
প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে । এই শক্তিকে ভূগাঠনিক শক্তি বলে ।
( ৩ ) এই প্রক্রিয়া ভূত্বকে যেমন আকস্মিকভাবে কাজ করে তেমনি দীর্ঘ
সময় ধরে ধীরে ধীরে কাজ করে ।
( ৪ ) এই প্রক্রিয়ায় ভূত্বকের আপেক্ষিক স্থানান্তর ঘটে এবং
প্রধান ভূপ্রকৃতি রূপে মহাদেশ ও মহাসাগর কিংবা পর্বত , মালভূমি ও সমভূমি
গঠিত হয় ।
|
☀ ভটভূমির শ্রেণীবিভাগ করো ।
👉 উপকূলের সম্মুখভাগ তটভূমি নামে পরিচিত । মরা কোটালে ভাটার সময় চিহ্নিত সমুদ্রজলের নিম্নসীমা থেকে ভৃগুতটের পাদদেশ বা ঝটিকা তরঙ্গের অভ্যন্তরীণ সীমা পর্যন্ত বিস্তৃত ভূভাগকে তটভূমি বলে ।
অবস্থান অনুসারে তটভূমি চারটি ভাগে বিভক্ত ১. সম্মুখ তটভূমি । ২ . পশ্চাৎ তটভূমি । ৩. পুরোদেশীয় তটভূমি ৪. পশ্চাৎদেশীয় তটভূমি ।
☀ নদী গ্রাস বলতে কী বোঝো ?
👉 নদীর নিম্নক্ষয় করার ক্ষমতা ফিরে পাওয়াকে নদীর পুর্নযৌবন লাভ বলে ।
☀ ভারতের কাগজ শিল্পের সমস্যা গুলি লেখো ।
👉 [ 1 ] অনুন্নত কাঁচামাল : ভারতে কাগজ শিল্পে ব্যবহৃত কাঁচামালের অধিকাংশই অনুন্নত শ্রেণির । এ ছাড়া হিমালয়ে নরম কাঠের বনভূমি থাকলেও পরিবহণের অসুবিধার জন্য তা ঠিক মতো কাজে লাগানো যায় না ।
[ 2 ] রাসায়নিক দ্রব্যের অভাব : চাহিদার তুলনায় রাসায়নিক দ্রব্যের জোগান যথেষ্ট নয় । কিছু রাসায়নিক দ্রব্য বেশি দামে বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয় ।
[ 3 ] শক্তির অভাব : কয়লার অসম বণ্টন ও কম জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের ফলে কাগজকলগুলিতে শক্তি সরবরাহে যথেষ্ট সমস্যা দেখা দেয় ।
[ 4 ] পুরোনো যন্ত্রপাতি : অধিকাংশ কাগজকলগুলি এখনও পুরোনো যন্ত্রপাতির সাহায্যে উৎপাদন করে । ফলে উৎপাদনের পরিমাণ কম হওয়ায় উৎপাদন ব্যয়ও বেড়ে যায় ।
[ 5 ] অনুন্নত মানের কাগজ : কাঁচামাল ভালো না হওয়ায় উন্নতমানের কাগজ উৎপাদিত হয় না । ভারতকে চড়া দামে উন্নতমানের কাগজ আমদানি করে চাহিদা মেটাতে হয় ।
[ 6 ] অন্যান্য সমস্যা : এ ছাড়া , অনুন্নত প্রযুক্তি , শ্রমিক - মালিক সংঘর্ষ , অত্যধিক উৎপাদন ব্যয় , বর্জ্য নির্গমন সমস্যা , অভ্যন্তরীন ও আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতীয় কাগজের চাহিদা হ্রাস , অদক্ষ শ্রমিকগোষ্ঠী এবং সর্বোপরি মূলধনের অভাব কাগজ শিল্পের উন্নতিতে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে ।
☀ মধ্য ও পূর্ব ভারতের লৌহ ইস্পাত শিল্পের কেন্দ্রীকরণের কারণগুলি লেখো ।
👉 ভারতের বেশির ভাগ লৌহ ইস্পাত শিল্প কেন্দ্র গুলি প্রধানত পূর্ব ও মধ্য ভারতের ছোটনাগপুর মালভূমি অঞ্চলের অন্তর্গত ঝাড়খণ্ড , ছত্তিশগড় , ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গে গড়ে উঠেছে । ভারতে স্বাধীনতার পূর্বে যে তিনটি শিল্প কারখানা গড়ে ওঠে তার মধ্যে দুটিই ( TISCO ও IISCO ) পূর্ব ভারতেই গড়ে ওঠে এবং স্বাধীনতার পরবর্তী কালেও বেশ কিছু কারখানা এই অঞ্চলেই গড়ে উঠেছিল ।
মধ্য ও পূর্ব ভারতের প্রধান প্রধান লৌহ ইস্পাত শিল্প কেন্দ্র গুলি হল - বোকারো , ভিলাই , জামসেদপুর , দূর্গাপুর , বানপুর , রৌরকেল্লা , দ্বৈতারি প্রভৃতি ।
পূর্ব ও মধ্য ভারতে লৌহ ইস্পাত শিল্পের কেন্দ্রীভবনের কারণ গুলি হল -
কাঁচামালের জোগান - লৌহ ইস্পাত শিল্পের প্রয়োজনীয় কাঁচামাল যেমন- আকরিক লোহা , কয়লা , চুনাপাথর , মাঙ্গানিজ প্রভৃতি এই অঞ্চলে প্রচুর পরিমানে পাওয়া যায় ।
আকরিক লৌহ ক্ষেত্র - দেশের প্রায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ লৌহ আকরিক মধ্য ও পূর্ব ভারতের এই রাজ্য গুলিতে পাওয়া যায় । প্রধান প্রধান লৌহখনি গুলি হল- ওড়িশার বাদামপাহাড় , কিরিবুরু , গোরুমহিষানী , সুন্দর গড় ; ছত্তিসগড়ের দাল্লিরাজহারা , বায়লাডিলা ; ঝাড়খন্ডের ডালটনগঞ্জ , নোয়ামুন্ডী প্রভৃতি খনি অঞ্চলে প্রচুর পরিমানে হেমাটাইট ও ম্যাগনেটাইট শ্রেনির আকরিক লোহা পাওয়া যায় ।
কয়লা উৎপাদক অঞ্চল - ছোটনাগপুর অঞ্চলে গন্ডোয়ানা যুগের বিটুমিনাস শ্রেনির কয়লা প্রচুর পরিমানে সঞ্চিত আছে । এই বিটুমিনাস শ্রেনির কয়লা থেকে ভালো মানের কোক উৎপাদিত হয় । প্রধান প্রধান কয়লা খনি অঞ্চল গুলি হল - ঝাড়খন্ডের গিরিডি , ঝরিয়া ; ছত্তিশগড়ের কোরবা ; ওড়িশার তালচের এবং পশ্চিমবঙ্গের রানিগঞ্জ , আসানসোল প্রভৃতি অঞ্চল থেকে সংগৃহীত কয়লা লৌহ ইস্পাত শিল্প কেন্দ্র গুলিতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে ।
অন্যান্য কাঁচামাল - লৌহ ইস্পাত শিল্পের প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাঁচামাল , যেমন- চুনাপাথর , ডলোমাইট , মাঙ্গানিজ প্রভৃতি এই অঞ্চলের খনি অঞ্চল থেকে অতি সহজেই পাওয়া যায় ।
উন্নত পরিবহন - এই শিল্পাঞ্চলট্রি সড়ক পথ ও রেল পথ ব্যবস্থা অনেক উন্নত । জালের মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা রেলপথ ও সড়ক পথের মাধ্যমে শিল্পের প্রয়োজনীয় কাঁচামাল যেমন সহজেই খনি অঞ্চল থেকে শিল্প কেন্দ্রে নিয়ে আসা সম্ভব হয় , তেমনি উৎপাদিত দ্রব্য দেশের বাজারে অনায়াসে পৌঁছে দেওয়া যায় ।
বন্দরের নৈকট্য- এই শিল্পাঞ্চলের পাশেই রয়েছে দুটি বিখ্যাত বন্দর- পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা ও ওড়িশার পৌরবন্দর । যার দ্বারা অস্ট্রেলিয়া , জাপান , আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে শিল্পের কাঁচামাল ও উন্নত যন্ত্রপাতি আমদানি এবং উৎপাদিত লৌহ ইস্পাত বিদেশে সহজেই রপ্তানী করা যায় ।
বিদ্যুতের জোগান - লৌহ ইস্পাত শিল্পে প্রচুর পরিমানে বিদ্যুতের দরকার পড়ে । যা এই অঞ্চলে প্রাপ্ত কয়লা থেকে উৎপাদিত বিপুল পরিমানে তাপবিদ্যুৎ থেকে সরবরাহ করা হয় । এছাড়া DVC তে উৎপাদিত জলবিদ্যুৎ এই অঞ্চলের লৌহ ইস্পাত কেন্দ্র গুলিতে ব্যবহার করা হয় বলে শিল্পের প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের অভাব হয় না ।
সুলভ স্বচ্ছ জলের জোগান- অন্যান্য শিল্পের মতো ইস্পাত শিল্পেও প্রচুর পরিমানে স্বচ্ছ জলের দরকার হয় । যা এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে প্রবাহিত দামোদর , সূবর্নরেখা , মহানদী ও তাদের অসংখ্য শাখানদী গুলি থেকে পাওয়া যায় বলে জলের কোন অভাব হয় না ।
চাহিদা ও বাজার - দেশের মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে , তাছাড়া দেশের পরিকাঠামো গত উন্নতি ঘটানোর প্রয়োজনেও প্রচুর পরিমানে ইস্পাতের দরকার পড়ছে । ভারত বিশ্বের জনবহুল দেশ হওয়ায় এই শিল্পের উৎপাদিত দ্রব্যের অভ্যন্তরীণ চাহিদা র সাথে সাথে প্রচুর বৈদেশিক চাহিদাও রয়েছে । যা এই শিল্পের বিকাশে সাহায্য করেছে ।
সুলভ ও দক্ষ শ্রমিক - এই অঞ্চলটি অন্যতম জনবহুল দেশ হওয়ায় শিল্পের প্রয়োজনীয় দক্ষ , অদক্ষ ও সুলভ শ্রমিকের অভাব হয় না ।
"এই সব সুযোগের উপস্থিতি ভারতের এই অঞ্চলে এই লৌহ ইস্পাত শিল্পের বিকাশে যথেষ্ট সাহায্য করে" ।
প্রশ্নোগুলির সঠিক উত্তরটি বেছে নাও ।
। ) পৃথিবীর ফুসফুস বলা হয় - a) সেলভা b ) তৈগা অরণ্য c ) আমাজন d ) ম্যানগ্রোভ অরণ্য
ii ) » click Next page «