
নবম পাঠঃ তৃতীয় শ্রেণির বাংলা প্রশ্ন উত্তর অধ্যায়ঃ ‘আগমনী’
☞ আরো পড়ুন : পাতাবাহার তৃতীয় শ্রেণি সূচিপত্র সমাধান
🖋হাতে কলমে :
☞ ১. একটি বাক্যে উত্তর দাওঃ
১.১ শরৎ ঋতুর আগে কোন ঋতু আসে?
উত্তরঃ শরৎ ঋতুর আগে বর্ষা ঋতু আসে।
১.২ শরৎকালে বাঙালিদের কী কী উৎসব হয়?
উত্তরঃ শরৎকালে বাঙালিদের দুর্গাপূজা, লক্ষ্মীপূজা কালীপূজা ইত্যাদি
হয়।
☞ ২. দু-তিনটি বাক্যে উত্তর দাও :
২.১ শরৎকালে প্রকৃতির রূপ কেমন থাকে?
উত্তরঃ শরৎকালে আকাশে-বাতাসে সূর্যের উত্তাপ কমে আসে। প্রকৃতি বিভিন্ন
ফুলে-ফলে ভরে ওঠে। চারদিকে একটা স্নিগ্ধতা বিরাজ করে।
২.২ শরৎকালের মেঘ দেখতে কেমন হয়?
উত্তরঃ শরৎকালের মেঘ দেখতে সাদা পেঁজা তুলাের মতাে। এলােমেলাে ভাবে ওই মেঘ
আকাশে এখানে-ওখানে ভেসে বেড়ায়।
২.৩ শরৎকাল প্রসঙ্গে মনে পড়ে এমন দুটো সাদা জিনিসের নাম করাে (একটা থাকে
আকাশে, আর একটা মাঠে।)
উত্তরঃ শরৎকালে আকাশে থাকে সাদা মেঘ আর মাঠে থাকে কাশফুল।
☞ ৩. বুঝতে-খুঁজতে, আকাশ-বাতাস এই জোড়া শব্দগুলাের মধ্যে যেমন ছন্দের মিল
আছে, তেমনভাবে ছন্দ মিলিয়ে নীচের তালিকাটি সাজাও? উত্তরঃ
রোদ্দুর | সমুদ্দুর |
---|---|
প্রাচীন | অচীন |
ধ্বনি | আগমনী |
বর্ষা | ভরসা |
হাঁক | ডাক |
☞ ৪. যে শব্দটি বেমানান তাতে গোল দাগ দাও।
৪.১ শীত, বসন্ত, হেমন্ত, বৈশাখ, গ্রীষ্ম।
উত্তরঃ বৈশাখ।
৪.২ মেঘ, আগুন, বৃষ্টি, জল, বজ্রপাত।
উত্তর : আগুন।
৪.৩ দুর্গা, কাশ, বরফ, শরৎ, নীল আকাশ।
উত্তরঃ বরফ।
☞ ৫. পাশের শব্দঝুড়ি : থেকে ঠিক শব্দ বেছে নিয়ে শূন্যসথান পূরণ করাে?
উত্তরঃ শরৎ আমাদের সকলেরই খুব প্রিয় ঋতু। ভাদ্র আশ্বিন এই দুই মাস শরৎকাল। এই সময় আকাশ থেকে বর্ষার কালাে মেঘ সরে যায় এবং নীল আকাশে ছড়িয়ে থাকে সাদা রঙের পেঁজা তুলাের মতাে মেঘ। মাঠ ভরে থাকে কাশ ফুলে। বাতাসে ভাসে ঢাকের শব্দ। বাঙালির প্রাণের উৎসব ইদ এবং দুর্গাপুজো এই শরৎকালেই হয়। জাতি-ধর্ম-বর্ণ- নির্বিশেষে সবাই মেতে ওঠে উৎসবের আনন্দে।
☞ ৬. নীচের সূত্রগুলি ব্যবহার করে শরৎকাল সম্পর্কে কয়েকটি বাক্য লেখাে।
(নীল আকাশ—সাদা মেঘের ভেলা—কাশফুল—
উৎসব—বেড়ানাে—ছুটি—মজা)
উত্তরঃ শরৎকালে নীল আকাশ দেখা যায়। সেই আকাশে সাদা মেঘের ভেলার দেখা মেলে। এই সময় মাঠ-ঘাট সব কাশফুলে ভরে ওঠে। শরৎকালে দুই জাতির মহাউৎসব দুর্গাপূজা ও ইদ পালিত হয়। এই সময় ছুটিতে সবাই ভ্রমণের জন্য বেড়িয়ে পড়ে দূর-দূরান্তে। শরৎকাল জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমস্ত মানুষজনের মধ্যে খুশি, আনন্দ ও মজা এনে দেয়, যার প্রভাব মনের মধ্যে সারাবছরই থেকে যায়।