class 12 geography suggestion 2022

 



 ☀ পরিব্রাজন কাকে বলে ?

 👉 বসবাস, জীবিকা, খাদ্য সংগ্রহের জন্য বা বাধ্যতামূলকভাবে স্থায়ী বা আস্থায়ীরূপে মানুষের স্থান থেকে স্থানান্তরে বিচরণ প্রক্রিয়াকে পরিব্রাজন বলে ।


 ☀ বেঙ্গালুরুকে সিলিকন সিটি বলার কারণ কি ?

 👉 ভারত সরকারের টেলিকমিউনিকেশন সরঞ্জাম কোম্পানি C-DOT. এবং বৈদ্যুতিক ভোট যন্ত্র EVM, বিমান, জাহাজ, র‍্যাডার, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরীর সংস্থা BEL ও BHEL বেঙ্গালুরুতে রয়েছে। এই সাদৃশ্যের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইলেকট্রনিক্স শিল্পকেন্দ্র সিলিকন ভ্যালির সঙ্গে তুলনা করে বেঙ্গালুরুকে ভারতের সিলিকন ভ্যালি বলা হয়।


 ☀ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার কাজ কি ?

 👉 বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ইংরেজি World Trade Organization ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন) একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা, যা বিশ্বের বাণিজ্য সংক্রান্ত নীতি প্রবর্তন এবং সদস্য রাষ্ট্র বা পক্ষ সমূহের মধ্যকার মতপার্থক্য দূর করতে সাহায্য করে থাকে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে অবস্থিত

 ☀ শ্রীলঙ্কায় চায়ের বাগিচা গড়ে ওঠার কারণ গুলি লেখো ।

 👉 'চা' হলো শ্রীলঙ্কার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরী ফসল।পৃথিবীর মোট চা উৎপাদনের প্রায় 12 শতাংশ উৎপাদন করে এই দেশ চা উৎপাদনে বর্তমানে পৃথিবীতে চতুর্থ এবং পৃথিবীর মোট চা রপ্তানির প্রায় 33 শতাংশ রপ্তানি করে এই দেশ চা রপ্তানিতে বর্তমানে পৃথিবীতে প্রথম স্থান অধিকার করেছে । 1867 সালে এদেশের ক্যান্ডিতে প্রথম চা বাগিচা স্থাপনের মধ্য দিয়ে চা চাষের সূচনা হয় এবং তারপর বিভিন্ন অনুকূল প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থাকে কাজে লাগিয়ে এদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অসংখ্য চা বাগিচা গড়ে উঠেছে ।

     এদেশের চা চাষের এই অভাবনীয় উন্নতির কারণগুলি হল -

 ১ ) অনুকূল জলবায়ুচা চাষের জন্য বছরে গড়ে 150-250সেমি বৃষ্টিপাত এবং 15 ° C - 35 ° C উষ্ণতার প্রয়োজন হয় । শ্রীলঙ্কায় দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ও প্রত্যাবর্তনকারী মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে সারা বছর বৃষ্টিপাত হয় এবং সামুদ্রিক প্রভাব থাকা সত্বেও এদেশের অভ্যন্তরের উচ্চভূমিগুলিতে বার্ষিক গড় উষ্ণতা থাকে 15 ° C - 20 ° C । চা চাষের উপযোগী এই ধরনের জলবায়ু বিদ্যমান থাকায় শ্রীলঙ্কায় চা চাষের উন্নতি ঘটেছে ।

 ২ ) ভূপ্রকৃতি গাছের গোড়ায় জল জমে থাকলে চা গাছের ক্ষতি হয় বলে চা চাষের জন্য উত্তম জলনিকাশি ব্যবস্থা যুক্ত পাহাড়ি ঢালু জমি আদর্শ । শ্রীলঙ্কার মধ্য ও দক্ষিণ পশ্চিমের উচ্চভূমিগুলি 500-1000 মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট এবং মাঝারি যুক্ত হওয়ায় উক্ত উচ্চভূমিগুলিতে চা চাষে উন্নতি লাভ করেছে ।

 ৩ ) মৃত্তিকা মৃদু অম্ল জৈব পদার্থ এবং লৌহ মিশ্রিত উর্বর দোঁয়াশ মৃত্তিকা চাষের পক্ষে বিশেষ উপযোগী । শ্রীলঙ্কার মধ্য ও দক্ষিণ পশ্চিমের উচ্চভূমিগুলিতে এই ধরনের মৃত্তিকার উপস্থিতি হেতু এদেশে চা চাষের উন্নতি ঘটেছে ।

 ৪ ) সুলভ ও দক্ষ শ্রমিক চা চাষের জন্য প্রচুর সুলভ ও দক্ষ শ্রমিকের প্রয়োজন হয় । শ্রীলঙ্কা জনবহুল রাষ্ট্র হওয়ায় এদেশে চা চাষের জন্য প্রয়োজনীয় শ্রমিকের অভাব হয় না । এছাড়া পার্শ্ববর্তী প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত থেকে চা চাষে দক্ষ প্রচুর তামিল শ্রমিককে জাহাজে চাপিয়ে শ্রীলঙ্কার চা বাগিচাগুলিতে নিয়ে যাওয়া হয় ।

    ৫ ) চাহিদা মৃদু উত্তেজক পানীয় হিসাবে চায়ের গুরুত্ব অপরিসীম । শ্রীলঙ্কায় উৎপাদিত চায়ের বিশেষত রুপালি ডগাযুক্ত শ্বেত চায়ের দেশে - বিদেশে প্রচুর চাহিদা আছে , যা এদেশের চা বাগিচার মালিকদের চা চাষে উৎসাহিত করেছে । ফল স্বরূপ এদেশে । চা চাষের উন্নতি ঘটেছে ।


 ☀ আদ্র কৃষি ও শুষ্ক কৃষির মধ্যে পার্থক্য লেখো ।

 👉 


আদ্র কৃষি শুষ্ক কৃষি
সংজ্ঞা পৃথিবীর যেসব অঞ্চলে কেবল নিয়মিত ও পর্যাপ্ত বৃষ্টিরজলের উপর নির্ভর করে কৃষিব্যবস্থা গড়ে ওঠে , তাকে আর্দ্র কৃষি বলে । বছরে 50 সেমির কম বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চলে সামান্য বৃষ্টিপাতের ওপর নির্ভর করে খরাসহনশীল শস্য উৎপাদন ব্যবস্থাকে শুষ্ক কৃষি বলে ।
শস্যের সংখ্যা এই ধরনের কৃষিতে বার্ষিক বৃষ্টি অনুযায়ী এক ফসলি বা দ্বিফসলি চাষ হয় । এই ধরনের কৃষিতে সামান্য বৃষ্টিতে কেবল এক ফসলি চাষ হয় ।
প্রধান ফসল এই প্রকার কৃষির প্রধান ফসল হলো ধান । এছাড়াও পাট , আখ , চা , রাবার প্রভৃতি চাষ করা হয় । এই প্রকার কৃষির প্রধান ফসল হলো মিলেট । এছাড়াও ভুট্টা , পশুখাদ্য চাষ হয় ।
আধুনিক পদ্ধতি আর্দ্র কৃষিতে যথাসম্ভব আধুনিক কৃষিপদ্ধিতে চাষাবাদ করা হয় । শুষ্ক কৃষিতে আধুনিক কৃষিপদ্ধতি মেনে যত্নসহকারে তেমন চাষ হয় না ।


 ☀ পঞ্ছম স্তরের কার্যাবলীর বৈশিষ্ট্য লেখো ।

 👉 গবেষণা ও উন্নয়ন ভিত্তিক কর্মকাণ্ডের ওপরেও বিশেষ ধরনের কিছু কাজ আছে , যেমন — বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা , শাসন প্রণালী বা উদ্যোগের নীতি নির্ধারণ , পেশাদারি উপদেশ দান , চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রভৃতির ওপর ভিত্তি করে যেসব কর্মকাণ্ড গড়ে ওঠে সেগুলিকে পঞ্চম পর্যায়ের অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ ' ( Quinary economic activities ) বলে ।

 বৈশিষ্ট :

পরিসেবা ক্ষেত্রের একেবারে শিখরে অবস্থানকারী কুইনারি ক্রিয়াকলাপের নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলি পরিলক্ষিত হয়— 

 ১. অতি উন্নত পরিসেবা : পরিসেবা ক্ষেত্রের মধ্যে যে তিন ধরনের অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ লক্ষ করা যায় তা একেবারে শীর্ষে অবস্থান করছে কুইনারি ক্রিয়াকলাপ । তাই এর মাধ্যমে অতি উন্নত অত্যাধুনিক পরিসেবা প্রদান করা হয় ।

 ২ গুরুত্বহীন দৈহিক শ্রম : মানুষের দৈহিক শ্রম এই পেশায় নিযুক্ত কর্মীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় না । দৈহিক শ্রম অপেক্ষা বুদ্ধিদীপ্ত মানুষের মেধা ও উদ্ভাবনী শক্তি বেশি গুরুত্ব পায় । তাই এই ক্রিয়াকলাপে যুক্ত মানুষেরা প্রখর বুদ্ধিমান , জ্ঞানী ও অভিজ্ঞ হয় ।

 ৩. নব্য ধারণার উদ্ভাবন : কুইনারি ক্রিয়াকলাপের মধ্য দিয়ে নতুন নতুন ধারণার উদ্ভব হয় । নতুন উদ্ভব হয় , যার মধ্যে ব্যবহার করা হয় বর্তমান বা সমকালীন চিন্তাধার , তথ্য এবং প্রযুরিকৌশল ।

  গুরুত্ব : 

  বর্তমানের আধুনিক সমাজব্যবস্থায় ও ব্যস্ত জীবনযাত্রায় অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ হিসাবে পঞ্চম স্তরের ক্রিয়াকলাপের গুরুত্ব অপরিসীম ।

   1. কর্মসংস্থান এর মাধ্যমে উচ্চ মেধাসম্পন্ন দক্ষ মানুষের কর্মসংস্থানের অনেক বেশি সুযোগ ঘটে ।

  2. অধিক আয়ের সুযোগ নিজের বুদ্ধি বা মেধা কাজে লাগিয়ে সঠিক পরামর্শ দিয়ে প্রচুর আয় করা সম্ভব ।

  3. স্বাধীন কাজের নিয়ন্ত্রণ পঞ্চম স্তরের ক্রিয়াকলাপের সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা অনেক বেশি স্বাধীন । কোনো স্থানে এবং কীভাবে কাজ করবে তা পুরোটাই নিজের নিয়ন্ত্রণে থাকে ।


 ☀ ব্রেন ড্রেন কী ?

 👉  মেধা প্রবাহ বা ব্রেনড্রেন বলতে সাধারণত উচ্চ মেধা সম্পন্ন ও উচ্চ শিক্ষিত জ্ঞানী ব্যক্তি উচ্চ জীবনযাত্রা লাভের উদ্দেশ্যে নিজ দেশ ত্যাগ করে অন্যত্র চলে যাওয়া কে বোঝানো হয় । যে সব দেশ থেকে এই মেধা প্রবাহ ঘটে সেই সব দেশের ক্ষেত্রে এটি ব্রেনড্রেন ।


 ☀ ভারতের শ্বেত বিপ্লবের গুরুত্ব লেখো ।

 👉 

( ১ ) দুধের উৎপাদন বৃদ্ধি : শ্বেত বিপ্লবের ফলে ভারতে দুধ উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে । বর্তমানে দুধ উৎপাদনে ভারত পৃথিবীতে প্রথম স্থানাধিকারী । বিগত 40 বছরে দুধের উৎপাদন 2 কোটি টন থেকে প্রায় 13 কোটি টনে পৌঁছেছে । আগে যেখানে মাথাপিছু দৈনিক দুধের জোগান ছিল মাত্র 100 গ্রামের কাছাকাছি 2011-12 খ্রিস্টাব্দে তা হয় 290 গ্রাম ।

 ( ২ ) কর্মসংস্থান বৃদ্ধি : শ্বেত বিপ্লবের প্রসারের ফলে গ্রামীণ মানুষের কর্মসংস্থানের সুেেযাগ বৃদ্ধি পেয়েছে ।

 ( ৩ ) আর্থিক সচ্ছলতা বৃদ্ধি : উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে পশুপালনের কাজে নিযুক্ত মানুষদের আর্থিক সচ্ছলতা অনেক বেড়েছে । তা ছাড়া গ্রামের বহু পুরুষ ও মহিলা নিজেদেরকে দুধ উৎপাদনের সাথে যুক্ত করে জীবিকা অর্জন করছে ।

 ( ৪ ) দোহ শিল্পের উন্নতি : দোহ শিল্প বা ডেয়ারি শিল্প পুরোপুরি দুধের জোগানের ওপর নির্ভরশীল । শ্বেত বিপ্লবের ফলে দুধের উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় দোহ শিল্পেরও উন্নতি দ্রুত ঘটে এবং এর সাথে দোহ শিল্পভিত্তিক গবেষণা কাজ , সহযোগী শিল্পের বিকাশ ও ত্বরান্বিত হয়েছে ।

 ( ৫ ) পরিকাঠামোর উন্নতি : দুধের উৎপাদন বৃদ্ধির সাথে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন পরিকাঠামোর ( যেমন কৃত্তিম প্রজনন কেন্দ্র স্থাপন ও গবাদি পশু বিমা প্রকল্প ) উন্নতি ঘটে ।

 ( ৬ ) বাণিজ্য বৃদ্ধি : শ্বেত বিপ্লবের ফলে দোেহ শিল্পজাত উপাদানগুলির বাণিজ্যে অংশগ্রহণ অনেক বেড়ে গেছে ।

  মূল্যায়ন :

      গুজরাতের আনন্দ - এ সমবায়ভিত্তিক দোেহ শিল্পকেন্দ্রটি ' আমুল ' ( Amul ) নামে পরিচিত । 1946 খ্রিস্টাব্দে এই শিল্পকেন্দ্রটি গঠিত হয় । বর্তমানে গুজরাত তথা সারা ভারতের প্রায় 28 লক্ষ দুধ উৎপাদনকারী শ্রমিক আমুল - এর সাথে যুক্ত । দুধ উৎপাদনে আমুল মডেলই সারা ভারতে শ্বেত বিপ্লব ঘটাতে সাহায্য করেছে । বর্তমানে ভারতের প্রায় বেশিরভাগ এলাকাকে আমুল মডেলের অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা চলছে ।


   » Click Next Page «


Label Name

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.