☀ মাটির ভৌত ও রাসায়নিক বিশিষ্ট লেখো বা আলোচনা করো ।
👉 মৃত্তিকার বৈশিষ্ট ও ধর্ম অনুযায়ী মৃত্তিকাকে দু-টি ভাগে ভাগ করা যায় । যথা - ক. ভৌত ধর্ম, খ. রাসায়নিক ধর্ম ।
ক. ভৌত ধর্ম :-
মৃত্তিকার ভৌত ধর্ম ও তার বৈশিষ্টের মধ্যে রয়েছে - ১. মাটির গ্রথন বা বুনন, ২. মাটির গঠন বা কাঠামো, ৩. মাটির স্বছিদ্রতা, ৪. মাটির গভীরতা, ৫. মাটির বর্ণ বা রং, ৬. মাটির আদ্রতা, ৭. মাটির ঢাল ।
১. মাটির গ্রথন বা বুনন :-
মৃত্তিকার মধ্যে বিভিন্ন আয়তনের কনাগুলি ( পলি, বালি, কাদা ) অবস্থান করে । এগুলির আনুপাতিক হারের ভিত্তিতে গ্রথন বা বুনন বিভিন্ন আকৃতির হয়ে থাকে । উদাড়রন - বেলে মাটি, এঁটেল মাটিতে কাদার পরিমান বেশি থাকে ।
২. মাটির গঠন বা কাঠামো :-
মাটি মধ্যস্ত কিদা কনা, হিউমাস প্রভৃতির আকৃতি অনুযায়ী মৃত্তিকার গঠনকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে ।
৩. মাটির স্বছিদ্রতা :-
স্বছিদ্রতা মাটির একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় । মাটির স্বছিদ্রতার ওপর মাটির জলধারন ক্ষমতা এবং বায়ু চলাচলের ক্ষমতা নির্ভর করে । এর ফলে মাটির উর্বরতার শক্তি প্রভাবিত হয়, কারন মাটি স্বছিদ্র হলে উদ্ভিদের শিকড় ওই পথদিয়ে মাটির গভিরে প্রবেশ করে । এই স্বছিদ্র পথ দ্বারা ভৌমজল ওঠানামা করতে পারে এবং মাটি মধ্যস্ত জীবানু ও কীট গুলিও চলাচল করতে পারে ।
৪. মাটির গভীরতা :-
মাটির উর্বরতার সৃষ্টিতে গভীরতাও গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে থাকে । পার্বত্য অঞ্ছলের ঢালু জমিতে মাটির গভীরতা বেশি না হওয়ায়, এখানকার মাটির উর্বরতা যথেষ্ট কম । সমভূমি অঞ্ছলে নদী উপত্যকায় মিটির গভীরতা বেশি হওয়ায় এই মাটি যথেষ্ট উর্বর ।
৫. মাটির বর্ণ বা রং :-
মাটি মধ্যস্থ জৈব পদার্থ, খনিজ পদার্থ প্রভৃতির তারতম্যের ফলে মাটির রং -এর পরিবর্তন ঘটে থাকে । মাটি জৈব পদার্থের পরিমান বেশি থাকলে মকটির রং কালো এবং মাটিতে লোহার পরিমান বেশি থাকলে লাল রং -এর ন্যায় হয় এবং খনিজ পদার্থের পরিমান বেশি থাকলে ধূসর বর্নের হয় । মাটির মধ্যস্থ জলের অবস্থানকে মাটির আদ্রতা বলে । মাটির জলের প্রধান উৎস হল বৃষ্টিপাত ।
৬. মাটির ঢাল :-
মাটির ঢাল বেশি হলে, মাটির গঠন প্রক্রিয়া সম্পূর্ন হওয়ার আগে ওই মাটি অন্যত্র অপসারিত হয় । অন্যদিকে, কম ঢাল বা সমতলভূমি অঞ্ছলে মাটির ঢাল কম হওয়ায় ওই স্বানে মাটির গঠন প্রক্রিয়া সম্পূর্ন হয় ।
খ. রাসায়নিক ধর্ম :-
মৃত্তিকার রাসায়নিক বৈশিষ্ট অনুযায়ী মৃত্তিকাকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায় । যথা - ১. ক্ষারকিয় মৃত্তিকা, ২. অম্লিক মৃত্তিকা, ৩. প্রশমিত মৃত্তিকা ।
১. ক্ষারকিয় মৃত্তিকা :-
এই মাটিতে PH -এর মান 7 এর বেশি হয় ও হাইড্রোফিল আয়নের পরিমান বেশি থাকায় এই মাটিতে চূর্ন জাতীয় পদার্থের পরিমান বেশি ।
২. অম্লিক মৃত্তিকা :-
এই মাটিতে PH -এর মান 7 এবং হাইড্রোজেন আয়নের পরিমান বেশি হওয়ার ফলে এই মাটি অম্লিক প্রকৃতির ।বেশী বৃষ্টিপাতের ফলে মাটির উপরিস্তরে দ্রবীভূত ক্যালশিয়াম, মাটির নীচের স্তরে নেমে যায় তাই এই মাটি অম্লিক ।
৩. প্রশমিত মৃত্তিকা :-
এই মাটিতে অম্ফত্ত বা ক্ষরীঢ়তার পরিমান সমান সমান হওয়ায় এই মাটি কৃষি কাজের পক্ষে উপযুক্ষ ।