মনকেমনের গল্প | Class - III Bengali | অধ্যায়ঃ ভিত্তিক তৃতীয় শ্রেণির বাংলা প্রশ্ন উত্তর অষ্টম পাঠ


সপ্তম পাঠঃ তৃতীয় শ্রেণির বাংলা প্রশ্ন উত্তর অধ্যায়ঃ ‘হিংসুটি’


🖋হাতে কলমে :
☞ ১. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষেপে উত্তর দাও।
১.১ বৃষ্টির দিনগুলাে রুবাইয়ের এত ভালাে লাগে কেন?
উত্তরঃ বৃষ্টির দিনগুলাে বুবাইয়ের ভালাে লাগত কারণ ওই দিনগুলােতে প্রকৃতি যেন রূপময়ী হয়ে ওঠে আর চারদিক থেকে বৃষ্টিভেজা মৃদু-মন্দ ঠান্ডা বাতাস এসে মনকে ভরিয়ে তুলতাে।

১.২ আমাদের জাতীয় সংগীত কোনটি?
উত্তরঃ আমাদের জাতীয় সংগীত হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘জনগণমন'।

১.৩ ১৫ আগস্ট দেশ জুড়ে জাতীয় পতাকা তােলা হয় কেন?
উত্তরঃ ১৫ আগস্ট ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। তাই ১৫ আগস্ট দেশ জুড়ে জাতীয় পতাকা তােলা হয়।

১.৪ ইসকুল রুবাইয়ের কেমন লাগে?
উত্তরঃ ইসকুল রুবাইয়ের তেমন ভালাে লাগত না। তার শুধু খেলা করতে মন যেত।

১.৫ 'বলাকা’ বলতে কী বােঝাে?
উত্তরঃ সাদা পাখির ঝাঁককে ‘বলাকা' বলা হয়।

১.৬ শক্ত শব্দের মানে বুবাইকে কে বলে দিতেন?
উত্তরঃ শক্ত শব্দের মানে রুবাইকে তার দিম্মা (দিদিমা) বলে দিতেন।

১.৭ রুবাইয়ের লেখার খাতা কে দিয়েছিলেন? খাতাটি কেমন?
উত্তরঃ  রুবাইয়ের লেখার খাতা তার ছােটো মামা দিয়েছিলেন। খাতাটি ছিল সুন্দর বাঁধানাে।

১.৮ লেখার খাতায় রুবাই কোন দিনের কথা লিখেছিল?
উত্তরঃ লেখার খাতায় রুবাই ১৫ আগস্ট ছুটির দিনের কথা লিখেছিল।

১.৯ আমাদের দেশের জাতীয় পতাকায় কটি রং আছে? সেগুলি কী কী?
উত্তরঃ আমাদের দেশের জাতীয় পতাকায় তিনটি রং আছে। সেগুলি হল গেরুয়া, সাদা এবং সবুজ।

১.১০ রুবাই খাতায় যা লিখেছিল, তা তুমি নিজের ভাষায় লেখাে।
উত্তরঃ ১৫ আগস্ট আমাদের সকলের কাছে একটা ছুটির দিন হিসেবে পরিচিত। ওই দিনটিতে সকালবেলায় স্কুলে পতাকা তােলা হয়। আমরা সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা মিলে 'জনগণমন’ গান গাই। ঠিক তেমনই রুবাই স্কুলে গিয়ে পতাকা তুলেছিল তারপর জাতীয় সংগীত গেয়েছিল। আর সে প্রত্যক্ষ করেছিল যে বিরাট একঝাক ধবধবে সাদা পাখি ছায়া ভরা আকাশে পতাকার মাথার ওপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছিল। এই দৃশ্যটিকে দেখতে অতি মনােরম লেগেছিল রুবাইয়ের। আর তাদের কিচির-মিচির আওয়াজ যেন বহু দূর থেকেও শােনা যাচ্ছিল।


☞ ২. নির্দেশ অনুসারে লেখো :

রুবাই বৃষ্টির দিনে
যা যা করতে চায়
তুমি বৃষ্টির দিনে যা যা করতে চাও
১. ক্লাসরুমের জানলা দিয়ে চোখ ডানা মেলে আকাশে উড়ে যেতে চায় ১. ঘরে বসে আঁকতে চাই
২. স্কুলে গিয়ে খেলার মাঠে গিয়ে ছুটে বেড়াতে চায় ২. ফুটবল খেলতে চাই
৩. মায়ের শেখানাে নাচ ও গান করতে চায়। ৩. গান শুনতে চাই
৪ .পথ হারিয়ে অজানা জায়গায় চলে যেতে ইচ্ছা করে। ৪. খিচুরি খেতে চাই
৫. সারাক্ষণ ছাদে দৌড়াদৌড়ি করতে চায় ৫. বৃষ্টিতে ভিজতে চাই
৬. রাস্তা, আকাশ দেখতে চায় বারান্দায় দাঁড়িয়ে ৬. সময় পেলে স্কুলের পড়াটা শেষ করতে চাই


☞৩. এলোমেলাে বর্ণগুলি সাজিয়ে শব্দ তৈরি করো : 
রচিমিচিকির, কনকুলিকাজ, লােধাআঁরিআ,
রলমগকা, দবৃবাষ্টিলা

⊚ রচিমিচিকির → কিচিরমিচির
⊚ কনকুলিকাজ → কাকলিকূজন 
⊚ লােধাআঁরিআ → আলোআঁধারি 
⊚ রলমগকা → গরমকাল
⊚ দবৃবাষ্টিলা  → বৃষ্টিবাদলা


☞ ৪. বর্ণ বিশ্লেষণ করাে : 
বৃষ্টি, ক্লোরােফিল, সারাক্ষণ,
আশ্চর্য, সুন্দর

⊚ বৃষ্টি → বৃ + ষ + ট + ই
⊚ ক্লোরােফিল → ক্ + অ + ল্ + ও + অ + ও + র্ + ফ্ + ই + ল্ + অ
⊚ সারাক্ষণ → স্ + আ + র্ + আ + ক + ষ + ণ
⊚ আশ্চর্য → আ + শ + চ + য় + য
⊚ সুন্দর → স্ + উ + ন + দ + র


☞ ৫. বাক্য রচনা করাে : 
অন্ধকার, রোদ্দুর , মেঘলা,
বনজঙ্গল, সাদা

⊚ অন্ধকার → শিক্ষাহীন মানুষের কাছে জীবনটা অন্ধকারের মতাে। 
⊚ রোদ্দুর → কয়েকদিন বৃষ্টির পর রোদ্দুর উঠে প্রকৃতিকে যেন ঝলমল করে তুলেছে। 
⊚ মেঘলা → গত কয়েকদিন ধরে আকাশটা মেঘলা করে আছে।
⊚ বনজঙ্গল → বনজঙ্গলে জীবজন্তুদের বাস।
⊚ সাদা → সাদা রং শান্তির প্রতীক।


☞ ৬.‘অল্প’—এই শব্দটিতে যেমন ‘ল্প’ আছে, এরকম তিনটি শব্দ লেখাে যেখানে ‘ল্প’ রয়েছে।
উত্তরঃ (১) গল্প, (২) আল্পনা, (৩) কল্পনা।


☞ ৭. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখাে :
৭.১ এই গল্পে ‘মেঘের কোলে রােদ হেসেছে’ গানটির নাচ রুবাই শিখেছে। গানটি কার লেখা?
উত্তরঃ মেঘের কোলে রােদ হেসেছে গানটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা।

৭.২ বৃষ্টির সময় চারদিকের পরিবেশ কেমন হয়ে যায় কয়েকটা বাক্যে লেখাে।
উত্তরঃ বৃষ্টির সময় চারদিকটা প্রায় অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায়। সেই সময় শুধু বৃষ্টি পড়ার শব্দ ছাড়া আর কিছুই শােনা যায় না। গাছপালাগুলাে থরাে থরাে দাঁড়িয়ে থাকে। আশেপাশের সমস্ত জায়গা বৃষ্টির জলে ভরে ওঠে।

৭.৩ তােমরা তােমাদের স্কুলে স্বাধীনতা দিবস কেমন করে পালন করাে? কী কী অনুষ্ঠান হয়? সকলে মিলে কোন গান গাও?
উত্তরঃ ১৫ আগস্টের দিন সকালে স্কুলে যাই। সেখানে প্রধান শিক্ষক মহাশয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর তিনি আমাদের স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে দু-চার কথা বলেন। এরপর বিভিন্ন দেশাত্মবােধক গান-নাচ হয়। ছাত্রছাত্রীরা আবৃত্তি করে, নাটক পরিবেশন করে। এরপর সকলে মিলে সমবেত সুরে আমরা আমাদের জাতীয় সংগীত ‘জনগণমন’ গান গাই।

৭.৪ বৃষ্টির দিনে রাস্তার গাছেদের খুশি খুশি দেখায় কেন?
উত্তরঃ বৃষ্টির দিনে রাস্তার গাছেদের খুশি খুশি দেখায় কারণ গ্রীষ্মের এবং সূর্যের প্রচণ্ড দাবদাহে গাছপালা নিজেদের যেন সঠিকভাবে মেলে ধরতে পারে না; সমস্ত কিছুই যেন শুকিয়ে আসে। মাটি থেকেও তারা প্রয়ােজন মতাে রস শােষণ করতে পারে না। বৃষ্টি হলে দাঁড়িয়ে স্নান করে খুশি হয়।

৭.৫ এমন একটা দিনের কথা লেখাে সেদিন খুব বৃষ্টির জন্য তােমার স্কুল ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
উত্তরঃ গত কয়েকদিন আগে স্কুল শুরু হওয়ার সময় মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। আর তাই প্রায় সকলেই অর্থাৎ শিক্ষক-শিক্ষিকারা, ছাত্রছাত্রীরা ভীষণভাবে ভিজে গিয়েছিল। তাই প্রধান শিক্ষক মহাশয় প্রথম পিরিয়ডের পর ছুটি ঘােষণা করে দেন। আর আমি আমার বন্ধুদের সঙ্গে স্কুলের মাঠে ফুটবল খেলে, ভিজতে ভিজতে বাড়ি ফিরেছিলাম।


☞ ৮ . বৃষ্টি নিয়ে লেখা তােমার জানা কোনাে ছাড়া বা কবিতা লেখাে ।

আষাঢ় সন্ধ্যা
    — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

আষাঢ় সন্ধ্যা ঘনিয়ে এল গেল রে দিন বয়ে
বাঁধন-হারা বৃষ্টিধারা ঝরছে রয়ে রয়ে।
একলা বসে ঘরের কোণে কী ভাবি যে আপন মনে
সজল হাওয়া যুথীর বনে কী কথা যায় কয়ে।।
হৃদয়ে আজ ঢেউ দিয়েছে, খুঁজে না পাই কূল
সৌরভে প্রাণ কাদিয়ে তুলে ভিজে বনের ফুল।
আঁধার রাতে প্রহরগুলি কোন্ সুরে আজ ভরিয়ে তুলি
কোন্ ভুলে আজ সকল ভুলি আছি আকুল হয়ে
বাঁধনহারা বৃষ্টিধারা ঝরছে রয়ে রয়ে।






Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.