১৬. ‘এত বছর পরে সেই কলম যখন হাতছাড়া হওয়ার উপক্রম, তখন মনে কষ্ট হয় বইকী !’ – লেখক যেসব কলমের কথা বলেছেন তার পরিচয় দাও । এই প্রসঙ্গে কালি তৈরির ঘরোয়া পদ্ধতিটি বর্ণনা করো ।
উত্তরঃ ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধ অনুসারে লেখক তাঁর ছোটোবেলায়
প্রথম লেখালেখি প্রসঙ্গে বাঁশের কঞ্চির কলমের কথা বলেন । সরু বাঁশের কঞ্চি কেটে
মুখটি ছুঁচোলো করে, সাবধানে চিরে দিতে হত । যাতে একসঙ্গে কালি গড়িয়ে না পড়ে
যায় । এ ছাড়াও তিনি খাগের কলম এবং পালকের কলম বা কুইলের কথাও বলেছেন ।
লেখকদের কালি তৈরির পদ্ধতিটি ছিল বেশ সহজ । বাড়িতে কাঠের
উনুনে যে - কড়াইয়ে রান্না হত তার তলায় কালি জমত; সেই কালি লাউপাতা দিয়ে ঘষে
তুলে নিয়ে পাথরের বাটিতে রাখা জলে গুলে নেওয়া হত । কেউ কেউ এর মধ্যে হরীতকী
ঘযতেন ও পোড়া আতপচাল গুঁড়িয়ে মেশাতেন । সবশেষে খুন্তিকে লাল করে পুড়িয়ে
সেই জলে ডোবালে জল ফুটে উঠত । ঠান্ডা হলে ন্যাকড়ায় হেঁকে দোয়াতে ভরে নেওয়া
হত ঘরে তৈরি এই কালি ।