৮. ‘দোয়াত যে কত রকমের হতে পারে, না দেখলে বিশ্বাস করা শক্ত ।’ – ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধে লেখক শ্রীপান্থ কালির দোয়াতের যে - বৈচিত্র্যের কথা লিখেছেন, তা আলোচনা করো ।
উত্তরঃ ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধে
প্রাবন্ধিক শ্রীপান্থ কালির দোয়াতের নানা বৈচিত্র্যের কথা
জানিয়েছেন ।
দোয়াত নানারকমের হয় – কাচের, কাটগ্লাসের, পোর্সেলিনের,
শ্বেতপাথরের, জেডের, পিতলের, ব্রোঞ্জের, ভেড়ার শিংয়ের, এমনকি সোনারও । একসময়ে
মেধাবী ছেলেমেয়েরা পরীক্ষায় ভালোভাবে পাস করলে, গুরুজনরা ‘সোনার দোয়াত কলম
হোক’ বলে আশীর্বাদ করতেন ।
সোনার দোয়াত - কলম যে সত্যিই হত, প্রাবন্ধিক তা প্রত্যক্ষ
করেছিলেন স্বনামধন্য সুভো ঠাকুরের ব্যক্তিগত দোয়াত সংগ্ৰহ দেখতে গিয়ে । তাঁর
সংগ্রহের কোনো কোনো দোয়াতের সঙ্গে সাহিত্য ও ইতিহাসের নানা চরিত্রের যোগ পর্যন্ত
ছিল ।
এই সমস্ত দোয়াত দেখে বিস্মিত প্রাবন্ধিকের মনে
হয়েছিল শেকসপিয়র, দান্তে, মিলটন, কালিদাস, ভবভূতি, কাশীরাম দাস, কৃত্তিবাস,
রবীন্দ্রনাথ, বঙ্কিমচন্দ্র, শরৎচন্দ্র প্রমুখ দিক্পাল ব্যক্তি তাঁদের অমর
সৃষ্টি রচনা করেছেন এমনই কোনো-না-কোনো দোয়াতের কালি দিয়ে । পৃথিবীর বিখ্যাত
সমস্ত নাটকের জন্ম এ হেন সব দোয়াতের কালি থেকে ভেবে প্রাবন্ধিক রোমাঞ্চিত
হয়েছেন ।