জ্ঞানচক্ষু গল্পে জ্ঞানচক্ষু বলতে কী বোঝানো হয়েছে ? গল্পটি পড়ে তুমি কী শিক্ষা পেলে লেখো ।

১৫. ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে জ্ঞানচক্ষু বলতে কী বোঝানো হয়েছে ? গল্পটি পড়ে তুমি কী শিক্ষা পেলে লেখো ।



উত্তরঃ–  'জ্ঞানচক্ষু' গল্পটির লেখিকা কথাশিল্পী আশাপূর্ণা দেবী । তিনি ‘জ্ঞানচক্ষু' বলতে মানুষের আত্ম - অনুভূতি এবং অশ্বদৃষ্টি লাভের বিষয়টিকে তুলে ধরতে চেয়েছেন ।

     ‘জ্ঞানচক্ষু' গল্পটির নায়ক তপন । ছোট্ট তপন তার সীমিত জীবন বৃত্তে কখনও কোনো লেখককে দেখেনি । তাই সত্যিকারের লেখক নতুন মেসোকে দেখে সাহিত্যিক সম্পর্কে তার সমস্ত ভুল ধারণার নিরসন হয় । মেসোকে হাতের কাছে পেয়ে অনুপ্রাণিত হয়ে সে নিজেই এবার একটা আস্ত গল্প লিখে ফেলে । এরপর মাসির প্রশ্রয়ে এবং লেখক মেসোর প্রভাবে সেই গল্পটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয় । সে মনে মনে বেশ গর্বও অনুভব করে । কিন্তু ছাপা লেখাটি পড়তে গিয়ে টের পায় সংশোধন করতে গিয়ে লেখক মেসো গল্পের আগাগোড়া বদলে দিয়েছেন ।

     নির্বিচারে কলম চালানোয় নিজের নামে ছাপানো গল্পে সে আর নিজেকেই কোথাও খুঁজে পায় না ফলে তপনের লেখকমন আহত হয় । সে দুঃখে, লজ্জায় ও অসম্মানে একলা ছাতে গিয়ে কেঁদে ফেলে । এমন গভীর খারাপ লাগার দিনে দাঁড়িয়ে সে সংকল্প করে; ভবিষ্যতে কারও মুখাপেক্ষী না - হয়ে নিজের লেখা নিজেই ছাপতে দেবে । আসলে কাউকে অবলম্বন করে কিছু পেতে গেলে যে আত্মসম্মান খুইয়ে নিজের মনের আয়নায় নিজেকেই ছোটো হয়ে যেতে হয় ।

     এই শিক্ষাই তপন লাভ করে আর আমরাও তার সঙ্গে টের পাই স্বকীয়তা এবং আত্মমর্যাদাবোধের সঙ্গে আগ করে কখনই জীবনে কিছু লাভ করা যায় না ।










পূর্ববর্তী প্রশ্ন


Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.