তার চেয়ে দুঃখের কিছু নেই, তার থেকে অপমানের !’ —উদ্দিষ্ট ব্যক্তির কাছে কোন্ ঘটনা কেন দুঃখের ও অপমানের ?

১৪. ‘তার চেয়ে দুঃখের কিছু নেই, তার থেকে অপমানের !’ —উদ্দিষ্ট ব্যক্তির কাছে কোন্ ঘটনা কেন দুঃখের ও অপমানের ?

অথবা,
 ‘তার চেয়ে দুঃখের কিছু নেই, তার থেকে অপমানের !’ — কার এ কথা মনে হয়েছে ? জীবনের কোন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে সে –এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে ?


উত্তরঃ– কথাশিল্পী আশাপূর্ণা দেবীর 'জ্ঞানচক্ষু' গল্পের নায়ক তপনের এ কথা মনে হয়েছিল ।

    শিশুমন কোমল, সামান্য আঘাত পেলেই তারা ভীষণভাবে মুষড়ে পড়ে । এক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে । ছোট্ট তপনের লেখক সম্পর্কে সব কৌতূহলের শেষ হয় নতুন মেসোকে দেখে । অনুপ্রাণিত তপন একটি গল্প লেখে । সেই গল্প মাসির পীড়াপীড়িতে মেসোর হাত ধরে 'সন্ধ্যাতারা' পত্রিকায় ছাপা হয় ।

    স্বাভাবিক কারণে তপন উৎফুল্ল হয়ে ওঠে । নানান বিরূপতা সত্ত্বেও সে গর্ব অনুভব করে । কিন্তু তার গর্ব মাটিতে মিশে যায় গল্পটি পড়ার সময় । সে দেখে প্রকাশিত গল্পে তার লেখার লেশমাত্র নেই । কারণ গল্পটা সামান্য কারেকশনের নামে পুরোটাই বদলে গিয়েছিল । এতে তপনের লেখকসত্তা অপমানিত হয় । তার চোখে জল এসে যায় । নিজের গল্প পড়তে বসে অন্যের লেখা লাইন পড়ার দুঃখ ও যন্ত্রণা তাকে কুরেকুরে খায় । লজ্জা, অনুশোচনা এবং আত্মসম্মান –হীনতার সংকোচ থেকে এভাবেই সে উপরি উক্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হয় ।











পূর্ববর্তী প্রশ্ন
































Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.