৮. নতুন মেসোর চরিত্রটি আলোচনা করো ।
উত্তরঃ– কথাশিল্পী আশাপূর্ণা দেবী রচিত 'জ্ঞানচক্ষু' গল্পের মূল চরিত্র
তপনের আত্মোপলব্ধির পিছনে যে - চরিত্রটির প্রত্যক্ষ প্রভাব রয়েছে, তিনি । হলেন
তপনের নতুন মেসো । এই মেসো পেশায় অধ্যাপক এবং লেখক । তাঁর লেখক পরিচয় তপনের
মনের বহু ভুল ধারণা ভেঙে দেয় ।
অধ্যাপক ও লেখক হওয়া সত্ত্বেও মেসো ব্যক্তিটি বেশ মিশুকে,
ফুর্তিবাজ । তিনি শ্যালক - শ্যালিকাদের সঙ্গে গল্প করেন, তর্ক করেন, কবজি ডুবিয়ে
খাওয়াদাওয়া করেন, সিনেমায় যান ও বেড়াতেও যান ।
শ্বশুরবাড়ির সদস্য হিসেবে তপনের প্রথম লেখা গল্পের তিনি
প্রশংসা করেন ও তা ছাপার দায়িত্ব নিয়ে নেন ।
শুধু যে তপনকে উৎসাহ দিতে ছোটোমেসো তার গল্পটা ছাপিয়ে দেন,
এমনটা নয় । শ্বশুরবাড়িতে নিজের প্রতিপত্তি জাহির করতেও তিনি এ কাজ করেন ।
তপনের গল্প যাতে প্রসিদ্ধি পায় তাই সংশোধনের নামে গল্পের
খোলনলচে বদলে দেন ছোটো মেসো । তাঁর উদ্দেশ্য হয়তো মহৎ ছিল । কিন্তু তাঁর এই
উদ্যোগ তপনের লেখকসত্তাকে আঘাত করে । একদিকে চারিত্রিক উদারতায় ও মহত্ত্বে আবার
অন্যদিকে অসতর্কতায় তপনের নতুন মেসো এক পরিপূর্ণ রক্তমাংসের চরিত্র হয়ে ওঠেন ।
যদিও একজন লেখক হয়ে অন্য লেখকের এই আত্ম - সম্মান ও অহংবোধকে উপলব্ধি করা তাঁর
উচিত ছিল ।