জাদুঘর কাকে বলে ? অতীত পুর্নগঠনে জাদুঘরের ভূমিকা আলোচনা করো ।

 জাদুঘর কাকে বলে ? অতীত পুর্নগঠনে জাদুঘর বা Museum -এর ভূমিকা আলোচনা করো ।
অথবা,
জাদুঘর বা Museum কাকে বলে ? জাদুঘর বা Museum -এর উদ্দেশ্য, কার্যাবলি ও গুরুত্ব লেখো ।

 সংজ্ঞাঃ  Musesum বা জাদুঘর হল সেই প্রতিষ্ঠান যেখানে, ঐতিহাসিক, সংস্কৃতিক, বিজ্ঞান বিষয়ক, ইত্যাদি উপাদান সংই্রহ অরে রাখা হয়, জনসধারনের শিক্ষা, প্রদর্শন এবং আনন্দ উপভোগের জন্য, তাকে Musesum বা জাদুঘর বলা হয় ।
কলকাতা জাদুঘর

 ভূমিকাঃ - 
    বিশেষ বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে বিভিন্ন প্রকার মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে । মিউজিয়ামগুলি অন্যান্য সামাজিক প্রতিষ্ঠানের মতো বহু বিষয়ে উদ্দেশ্য সাধন করে বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে সঙ্গে মিউজিয়ামগুলি পরিবর্তিত ও পরিবর্ধিত হয়ে বিভিন্ন ভূমিকা পালন করে ।

      বিশ্বের প্রথম জাদুঘর তথা পাঠাগার এথেন্সে স্থাপন করেছিলেন গ্রিক দার্শনিক প্লেটো । এই সময়ে জাদুঘর শুধুমাত্র একটি সংগ্রহশালা ছিল না এগুলি ছিল এক - একটি শিক্ষা ও গবেষণার অন্যতম প্রধান কেন্দ্র ।


জাদুঘরের কার্যাবলি / উদ্দেশ্য / গুরুত্বঃ
 ① সংগ্রহঃ  জাদুঘরের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ও কাজ হল দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন দুর্লভ ঐতিহাসিক নিদর্শন খুঁজে বের করা এবং সেগুলি সংগ্রহ করা । হারিয়ে যাওয়া ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলি সংগ্রহ করে ইতিহাস রচনার দরজা খুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে মিউজিয়াম বা জাদুঘর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।

② প্রদর্শনঃ  জাদুঘরে সংরক্ষিত সামগ্রীগুলি জনসাধারণকে প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে প্রদর্শনযোগ্য কোনো আধার বা 'ডিসপ্লেকেস' - এ সাজিয়ে রাখা হয় । সেখানে তা স্থায়ী ও অস্থায়ীভাবে জনসাধারণের প্রদর্শনের সুযোগ থাকে ।

③ জনসচেতনতাঃ   ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলির মাধ্যমে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা জাদুঘরের অন্যতম উদ্দেশ্য ও কাজ । এই উদ্দেশ্যে জাদুঘর স্বাধীনতা উৎসব, বিজয় উৎসব, বিশ্ব মানবাধিকার দিবস, হিরোসিমা দিবস, চিত্রপ্রদর্শনী, বইমেলা প্রভৃতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে ।
জাদুঘরের ঐতিহাসিক উপাদানগুলিতে আছে অতীত ইতিহাসের বাস্তব অস্তিত্ব । জাদুঘর তার ঐতিহাসিক উপাদানগুলির সাহায্যে ইতিহাসকে প্রাণবন্ত করে তোলে । মূল্যায়নঃ সুতরাং, মিউজিয়াম বা জাদুঘর হল অতীত স্মৃতিচিহ্ন ও বর্তমানের যোগসূত্র । মিউজিয়ামে সংরক্ষিত তথ্য ব্যবহার, বিশ্লেষণ, ব্যাখ্যা গবেষণা করে নতুন তথ্য আবিষ্কার করা যায় । শুধু তাই নয় , ইতিহাস শিক্ষার্থীদের কল্পনা ও স্মরণ শক্তি তৈরি করতে মিউজিয়াম সাহায্য করে ।

④ গবেষণার কাজঃ  ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলির প্রকৃত ইতিহাস কী তা নিয়ে যথেষ্ট গবেষণার সুযোগ করে দেওয়া জাদুঘরের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য ও কাজ । গবেষকদের বৃত্তি প্রদান জাদুঘরগুলি গবেষকদের কাজে উৎসাহ দেয় ।

⑤ জ্ঞানের প্রসারঃ  জাদুঘরের একটি প্রধান উদ্দেশ্য ও কাজ হল সংগ্রহশালার বস্তু  সামগ্রীর মাধ্যমে মানুষের মধ্যে জ্ঞানের প্রসার ঘটানো । ঐতিহাসিক নিদর্শন জাদুঘরে চোখের সামনে দেখে পাঠকের মনে বিষয়টি সম্পর্কে আরও কৌতূহল ও আকর্ষণ বৃদ্ধি পায় ।

⑥ প্রাণবন্ত ইতিহাসঃ  জাদুঘরের ঐতিহাসিক উপাদানগুলিতে আছে অতীত ইতিহাসের বাস্তব অস্তিত্ব । জাদুঘর তার ঐতিহাসিক উপাদানগুলির সাহায্যে ইতিহাসকে প্রাণবন্ত করে তোলে ।

 মূল্যায়নঃ  সুতরাং, মিউজিয়াম বা জাদুঘর হল অতীত স্মৃতিচিহ্ন ও বর্তমানের যোগসূত্র । মিউজিয়ামে সংরক্ষিত তথ্য ব্যবহার, বিশ্লেষণ, ব্যাখ্যা গবেষণা করে নতুন তথ্য আবিষ্কার করা যায় । শুধু তাই নয় , ইতিহাস শিক্ষার্থীদের কল্পনা ও স্মরণ শক্তি তৈরি করতে মিউজিয়াম সাহায্য করে ।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.