জয় করেছিল তরুণ আলেকজান্ডার" - 'একলাই না কি ?' – আলেকজান্ডার কে ছিলেন ? ‘ একলাই না কি ’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন ?

অনধিক ১৫০ টি শব্দে প্রশ্নের উত্তর দাও ঃ

 ৫.১) ' আমাদের মনে হয় এর নাম হওয়া উচিত' – বক্তা কী নাম হওয়া উচিত মনে করেন ? সেই নামের সার্থকতা ‘ বিভাব ’ নাটকে কীভাবে প্রকাশ পেয়েছে লেখো ।

 👉 উত্তর : বহুরূপী নাট্যদলের এক কালোত্তীর্ণ প্রযোজনা হল ‘ বিভাব ’ । শম্ভু মিত্রের মতে , এক ভদ্রলোক পুরোনো নাট্যশাস্ত্র ঘেঁটে নাটকটির এরকম নামকরণ করেছিলেন ।

      সংস্কৃত মতে , ‘ বিভাব ’ হল মানুষের মনে রসনিষ্পত্তির কারণ । কিন্তু নাটককার জীবনের বাস্তবতায় দেখেছেন এই নামের বিপরীত ছবি । সেখানে তাদের নিত্যসঙ্গী হল অভাব । তাই শম্ভু মিত্রের মনে হয়েছে এর নাম ‘ অভাব নাটক ’ হওয়াই উচিত ছিল । কারণ ‘ বিভাব ’ - এর জন্মই হয়েছে দুরস্ত অভাব থেকে । তাদের ভালো মঞ্চ , সিনসিনারি , আলো , ঝালর- এসব কিছুই নেই । আর্থিক সংগতি নেই । তা সত্ত্বেও জোগাড় - যন্ত্র করে যদি অভিনয়ের বন্দোবস্ত করা হয় , তাহলে সরকারি পেয়াদা খাজনা আদায় করতে এসে হাজির হয় । সরকারের চূড়ান্ত অসহযোগিতা এবং সবধরনের প্রতিকূলতার বিচিত্র সাঁড়াশি চাপে জেরবার হয়েও তাদের মন থেকে যায় না ভালো নাটক করার অদম্য ইচ্ছা ।

       তাই প্রথাগত নাটকের ব্যাকরণ ভেঙে শুধু অভিনয়কে পুঁজি করেই প্রয়োগ ও ভঙ্গিনির্ভর বিভাব ' - এর জন্ম হয় । তাঁরা সব রকমের অভাবকে অতিক্রম করে যান ভাবনা - দৃষ্টিভঙ্গি আর আঙ্গিকের সৌকর্যে । এভাবেই সমকালীন পরিস্থিতির প্রতি তীব্র ব্যঙ্গ এবং তা থেকে মুক্তির অভিনব দিগন্ত উদ্ভাসিত হয়েছে শম্ভু মিত্রের বক্তব্যে ।


 ৫.২) 'সেই রাত্রেই জীবনে প্রথম মোক্ষম বুঝলুম ’ - বক্তা কোন্ রাত্রের কথা বলেছেন ? কী কারণে বক্তা কী উপলব্ধি করেছিলেন , তা নিজের ভাষায় লেখো ।

 👉 অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ' নানা রঙের দিন ’ নাটকের প্রধান চরিত্র বৃদ্ধ অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় । মধ্যরাতে দর্শকশূন্য প্রেক্ষাগৃহে দাঁড়িয়ে নেশাগ্রস্ত রজনীকান্ত নিজের যৌবনের সোনালি অতীতে ফিরে যান । একে একে তাঁর মনে পড়তে থাকে পরিবার - চাকরি - অভিনয় প্রতিভা খ্যাতি ও প্রতিপত্তির কথা । এ প্রসঙ্গেই স্মৃতিতে উজ্জ্বল হয়ে ফুটে ওঠে তার একমাত্র প্রেমের ঘটনার কিছু অবিস্মরণীয় মুহূর্ত ।

    একটি মেয়ে রজনীকান্তের অভিনয় দেখে তার প্রেমে পড়েছিল । যদিও সে রজনীকান্তকে শুধু আলমগিরের পার্ট করতেই দেখেছিল । তবে সেই আলাপ থেকে ঘনিষ্ঠতা ক্রমে প্রেমে পরিণত হলে রজনীকান্ত মেয়েটিকে বিয়ের প্রস্তাব দেন । কিন্তু মেয়েটি বিয়ের আগে তাঁর কাছে থিয়েটার ছেড়ে দেওয়ার শর্ত আরোপ করে । নাটক - অন্ত প্রাণ রজনীকান্ত প্রেমিকার সঙ্গে চিরবিচ্ছেদের সেই রাতেই উপলব্ধি করেন অভিনেতা আসলে একটা ভাঁড় । সে সার্কাসের ক্লাউন বা জোকারের মতো দর্শকের মনোরঞ্জন করে মাত্র । এই মেডেল - করতালি - সার্টিফিকেট শুধু মঞ্চে অভিনয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ । বাস্তব জীবনে অভিনেতার কোনো সামাজিক স্বীকৃতি বা প্রতিষ্ঠা নেই ।

    নাট্যাভিনয়ের পবিত্রতার নামাবলির পর্দাটা সেদিনই রজনীকান্তের কাছে ফাঁস হয়ে যায় । নিজের খ্যাতি , প্রতিপত্তি ও দর্পের কাচের স্বর্গটা চুরমার হয়ে ভেঙে পড়ে । এখানে আক্ষেপ ও যন্ত্রণার এই আত্মোপলব্ধিকে ফুটিয়ে তুলতেই তিনি প্রশ্নোধৃত মন্তব্যটি করেছেন ।


 ৬. অনধিক ১৫০ টি শব্দে প্রশ্নের উত্তর দাও ঃ

 ৬.১) “ভারত জয় করেছিল তরুণ আলেকজান্ডার" - 'একলাই না কি ?'  –  আলেকজান্ডার কে ছিলেন ? ‘ একলাই না কি ’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন ?

 👉  গ্রিক সম্রাট আলেকজান্ডার ম্যাসিডোনিয়ার রাজা ছিলেন । তার পিতার নাম ফিলিপ । ৩২৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে তিনি সিন্ধু নদ অতিক্রম করে ভারত আক্রমণ করেন ।

     কবি ব্রেখ্ট বিভিন্ন ঐতিহাসিক কীর্তিকাহিনির আড়ালে সাধারণ মানুষের অতুলনীয় অবদানের দিকটিকেই ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন । সমরকুশলী গ্রিক বীর আলেকজান্ডারের নাম ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে । তাঁর পারদর্শিতায় রাজা দারায়ুস থেকে পুরু সকলে পর্যুদস্ত হয়েছিল । ছোটো ছোটো রাজ্যের রাজারা বিনা যুদ্ধেই বশ্যতা স্বীকার করেছিল । কিন্তু আলেকজান্ডারের এই সাফল্যের মূল কারণ ছিল , তার সুদক্ষ ও সাহসী বিপুল সৈন্যদল ।

     কারণ একলা তার পক্ষে ইতিহাসের নায়ক হওয়া সম্ভব ছিল না । ঠিক যেমন যুদ্ধবিদ্যায় পারদর্শী গলজাতিকে পরাজিত করা এক জুলিয়াস সিজারের পক্ষে অসম্ভব ছিল । “ নিদেন একটা রাঁধুনি ছিল ' — বলার মধ্য দিয়ে সিজারের যুদ্ধজয়ে অসংখ্য মানুষের কৃতিত্বের এই বিষয়টিকেই কবি স্পষ্ট করেন । অথচ প্রথাগত ইতিহাস সবসময় ক্ষমতাবান ব্যক্তির শ্রেষ্ঠত্বকেই স্বীকৃতি দেয় । কিন্তু যে - কোনো সাফল্যের মুলে লুকিয়ে থাকা সমষ্টিগত মানুষের দুঃখ কান্না শ্রম ও সাধনার দিকটি চির - উপেক্ষিতই থেকে যায় । প্রশ্নোদ্ধৃত অংশটি মজুরের জিজ্ঞাসার মাধ্যমে ইতিহাসের এই অন্ধকার দিকটিতেই আলোকপাত করে ।


 ৬.২) গল্পটা আমাদের স্কুলে শোনানো হল । ’ - গল্পটা কী ? স্কুলে শোনার পর লেখকের কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল ?

 👉 কর্তার সিং দুগগালের 'অলৌকিক' গল্পের কথকের মা তাঁকে গুরু নানকের একটি গল্প শুনিয়েছিলেন । পরে এই গল্পটি তিনি স্কুলেও শুনেছিলেন ।

     গল্পটি হল – একদিন হাসান আব্দালের জঙ্গলে রোদে - গরমে ও পথশ্রমে ক্লান্ত মর্দানার খুব জলতেষ্টা পায় । শিষ্যের করুণ অবস্থা দেখে নানক ধ্যানে বসে জানতে পারেন পাহাড়চুড়োয় দরবেশ বলী কাদ্ধারীর কুয়োয় জল আছে । নানকের নির্দেশে মর্দানা বলী কান্ধারীর কাছে গেলে নানকের শিষ্য হওয়ায় তাকে বলী জল না দিয়ে তাড়িয়ে দেয় । এইভাবে তিন বার প্রত্যাখ্যাত হয়ে ক্লান্ত মর্দানা প্রায় অচৈতন্য হয়ে পড়ে । তখন নানক তাকে সাহস জুগিয়ে সামনের পাথরটা সরাতে বলেন । পাথর সরাতেই তলা থেকে জলের ঝরনা বেরিয়ে আসে । এদিকে বলী কান্ধারী দেখেন কুয়োয় জল নেই । ওদিকে নীচে জলস্রোত বইছে আর বাবলাতলায় নানক শিষ্যসহ বসে আছেন । এই দৃশ্য দেখে ক্ষিপ্ত বলী নানককে লক্ষ করে একটি পাথরের চাঙড় গড়িয়ে দেন । পাথরটা কাছে আসতেই নানক হাত দিয়ে সেটিকে থামিয়ে দিয়েছিলেন ।

      পাথরের তলা থেকে জল বেরিয়ে আসার বিষয়টির বৈজ্ঞানিক লেখকের প্রতিক্রিয়া ব্যাখ্যা সম্ভব হলেও হাত দিয়ে গড়িয়ে আসা পাথর থামানোর ঘটনাটিকে লেখকের অযৌত্তিক মনে হওয়ায় গল্পটা মনে পড়লেই তার হাসি পেত ।


 ৭. অনধিক ১৫০ টি শব্দে প্রশ্নের উত্তর দাও ঃ

 ৭.১) ‘ কিন্তু হাতি বেগার আর চলল না । ’ - ‘ হাতি - বেগার ’ কী ? তা আর চলল না কেন ?

 👉  'গারো পাহাড়ের নীচে' রচনাংশে সুভাষ মুখোপাধ্যায় জমিদারি পীড়নের এক বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন । গারো পাহাড়ের নীচের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে একসময় ‘ হাতি - বেগার ’ আইনের প্রচলন ছিল । সেসময় জমিদারদের শখ ছিল হাতি ধরার । তার জন্য পাহাড়ে মাচা বেঁধে সেপাইমন্ত্রী নিয়ে জমিদার নিরিবিলিতে বসে থাকতেন ; যাতে কোনো বিপদ না ঘটে । জমিদারের বিলাসব্যসনের জন্য আয়োজনের কোনো ত্রুটিও ছিল না । অন্যদিকে প্রতিটি গ্রাম থেকে নিজেদের খাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় চাল - চিড়ে বেঁধে ছেলে - বুড়ো নির্বিশেষে প্রজাদের আসতে বাধ্য করা হত । তারা সকলে যে - জঙ্গলে হাতি আছে ,সেখানে বেড় দিয়ে দাঁড়াত । এভাবে ঘন জঙ্গলে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকার ফলে অনেককেই সাপ কিংবা বাঘের মুখে পড়ে প্রাণ হারাতে হত ।

   এই অন্যায় আইন পাহাড়ের মানুষেরা বেশিদিন সহ্য করতে পারেনি । তারা ক্রমে বিদ্রোহী হয়ে ওঠে । জনৈক গোরাচাঁদ মাস্টারের নেতৃত্বে নির্যাতিত মানুষেরা একত্রিত হয় । পাহাড়ের পাদদেশসংলগ্ন সমস্ত চাকলায় মিটিং বসে । এলাকার প্রতিটি কামারশালায় মারাত্মক সব অস্ত্রশস্ত্র তৈরি হতে শুরু করে । যদিও শেষপর্যন্ত জমিদারের পল্টনের হাতে প্রজারা পরাজিত হয় । প্রজাদের এই বিদ্রোহ প্রশমিত হলেও তখন থেকেই হাতি - বেগার আইন পাহাড় থেকে চিরতরে বিদায় নেয় ।


 ৭.২) ‘ চেংমান বুঝতে পারে এবার সে ইঁদুরকলে পড়েছে ।’- চেংমান কে ? তার এমন উপলব্ধির কারণ কী ?

 👉 উত্তর : সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ' ছাতির বদলে হাতি ’ রচনাংশে বর্ণিত " চেংমান হল এক নিরীহ গারো চাষি ।

     এ কাহিনি গারো পাহাড়তলির এক নিরীহ ব্যবসায়ী চেংমানের । সে একদিন সওদার প্রয়োজনে হালুয়াঘাট বন্দরে গিয়েছিল । ফেরার সময় হঠাৎ মুশলধারে বৃষ্টি নামে । বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে চেংমান মনমোহন মহাজনের দোকানের ঝাপের নীচে আশ্রয় নেয় । বৃষ্টি কমবার কোনো লক্ষণ না দেখে হঠাৎ মনমোহন মহাজন কলকাতা থেকে সদ্য কিনে আনা নতুন ছাতাটি চেংমানকে ধার দিতে চায় । মহাজনের অতিরিক্ত দরদ দেখে আর ছাতার দামের কথা ভেবে চেংমান দ্বিধাগ্রস্ত হয় । কিন্তু মনমোহন ভরসা দিলে সে মহানন্দে ছাতাটি নিয়ে বাড়ির পথে রওনা দেয় । এরপর মহাজনকে দেখতে পেলেই চেংমান ছাতার দাম মিটিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করলেও মনমোহন নানা অছিলায় এড়িয়ে যায় । এমনি করে কয়েক বছর পেরিয়ে গেলে হঠাৎ একদিন মনমোহন তাকে পাওনার দাবিতে পাকড়াও করে । মহাজন বলে 'পাওনা মিটিয়ে দিয়ে যাও' । তখন চেংমানের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে । এবং সে বুঝতে পারে এবার সে ইঁদুরকলে পড়েছে ।


 ৮. অনধিক ১৫০ টি শব্দে প্রশ্নের উত্তর দাও ঃ

 ৮.১) ভাষাবিজ্ঞানের বহুল প্রচলিত শাখা ক’টি ও কী কী ? তাদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও ।

 👉 ভাষাবিজ্ঞানের বহুল প্রচলিত শাখা তিন-টি ।  ① তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান, ② ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান, ③ বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞান ।

  ① তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান :-  সমগোত্রজ ভাষাগুলির মধ্যে তুলনা করে এবং তাদের উৎস ভাষাকে বা মূল ভাষাকে পুনর্নির্মাণ করে, তাকে তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান বলে ।

 ② ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান :-  সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিবর্তনগত কারণে ভাষা সংগঠনে যে পরিবর্তন দেখা যায় তারই কালক্রমিক আলোচনাকে ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান বলে ।

 ③ বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞান :-  যে ভাষাবিজ্ঞান ভাষার ইতিহাস নিয়ে আলোচনা না করে ; সমকালীন প্রচলিত ভাষার গঠনরীতির বিশ্লেষণ করে , তাকে বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞান বলে ।


 ৮.২) গঠনগত দিক থেকে বাক্য কয় প্রকার ও কী কী ? প্রত্যেকটির সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও ।

 👉 গঠনগত দিক থেকে বাক্যকে তিন ভাগে ভাগ করা হয় ।  ① সরল বাক্য , ② জটিল বাক্য এবং ③ যৌগিক বাক্য ।

 ① সরল বাক্য :-  যে বাক্যে একটি মাত্র উদ্দেশ্য এবং একটি মাত্র বিধেয় থাকে , তাকে সরল বাক্য বলা হয় । সরল বাক্যে একটি মাত্র সমাপিকা ক্রিয়া থাকে । যেমন , ছেলেমেয়েরা পরীক্ষা দিচ্ছে ।

 ② জটিল বাক্য :-  যে বাক্যে প্রধান খণ্ডবাক্য এবং তার অধীন এক বা একাধিক অপ্রধান খণ্ডবাক্য থাকে, তাকে জটিল বাক্য বলে । জটিল বাক্যে কম করে দুটি অসমাপিকা ক্রিয়া থাকবে । যেমন – যখন তুমি আসবে তখন আমার দেখা পাবে ।

 ③ যৌগিক বাক্য :-  একাধিক সরল বা জটিল বাক্যের সংযোগে গঠিত বাক্যই হল যৌগিক বাক্য । যৌগিক বাক্যে অন্তত দুটি প্রধান খণ্ডবাক্য থাকবেই এবং খণ্ড বাক্যগুলি সমুচ্চয়ী অব্যয় দ্বারা যুক্ত থাকবে । যেমন – তুমি আসবে এবং আমার দেখা পাবে ।



বিশেষ দ্রষ্টব্য : এই প্রশ্নগুলির পূর্ববর্তী প্রশ্ন দেখার জন্য পূর্ববর্তী পৃষ্ঠার উপর ক্লিক করুন ।


পূর্ববর্তী পৃষ্ঠা 


Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.