রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমতা ও কার্যাবলি আলোচনা করো || class12

☀ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমতা ও কার্যাবলি আলোচনা করো ।

👉 ভূমিকা :-
        সংশোধনীয় শাসন ব্যবস্থার আর এক নিয়ম হল মন্ত্রী পরিষদ শাষিত শাসন ব্যবস্থা । এই শাসন ব্যবস্থা মন্ত্রী পরিষদে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে । সংবিধান অনুসারে রাজ্যের শাসন বিভাগের প্রধান হলেন – রাজ্যপাল । ১৫১ নং, ধারায় বলা হয়েছে - রাজ্যের শাসন সংকরান্ত সমস্ত কাজ রাজ্যের হাতে থাকবে । যার প্রকৃত শাসক হল - রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী । কেন্দ্রে যেমন রাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতা ও পদমর্যাদা ভোগ করেন, ঠিক তেমনি মুখ্যমন্ত্রীও ক্ষমতা ও পদমর্যাদা ভোগ করেন ।

নিয়োগ ও কার্যাবলি :-
       সাধারনত সংখ্যা গঢ়িষ্ঠ দলের নেতাকে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করেন । মুখ্যমন্ত্রীর কার্যকাল পাঁচ বছর ।

ক্ষমতা ও কার্যাবলি :-
        রাজ্যের প্রকৃতি হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী ব্যাপক ক্ষমতার অধিকারী । সেই ক্ষমতা গুলিকে নিম্নলিখিত ভাবে ভাগ করা যায় ।
   ❶ মন্ত্রী পরিষদের নেতা :-
           মন্ত্রী সভার পরামর্শে রাজ্যপাল অন্যান্য মন্ত্রীদের নিয়োগ করেন । এবং মুখ্যমন্ত্রী মন্ত্রীদের মধ্যে দপ্তর ভাগ করে দেন । তিনি মন্ত্রী সভার বৈঠক রাখেন, বৈঠকে সভাপতিত্ত করেন, মন্ত্রীদের থাকা বা নাথাকা তাঁর উপর নির্ভর করে ।
   ❷ শাসন বিভাগ ও আইন বিভাগের মধ্যে সমন্বয় :-
               মুখ্যমন্ত্রী মন্ত্রী সভায় শাসন ও আইন বিভাগের মধ্যে সমন্বয় সাধনের কাজ করেন । রাষ্ট্রের প্রধান কার্যশক্তি হিসাবে ক্যাবিনেট -শাসন ও আইন বিভাগ এবং বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে একই নীতি পরীচালিত করেন ।
   ❸ নীতি নির্ধারন :-
               ভারত সরকারের নীতি নির্ধারনের দ্বায়িত্ব থাকে ক্যাবিনেটের উপর । সরাষ্ঠ, পররাষ্ঠ, প্রতিরক্ষা প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ন বিষয়ে সরকার নীতি নির্ধারক হয় । এবং সেই গুলিকে বাস্তব রূপ দেওয়ার পক্ষে ক্যবিনেটের সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হয় ।
   ❹ আইন সভার নেতা :-
                মুখ্যমন্ত্রীর সাথে আইন সভার সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ট । তিনি সংখ্যা গঢ়িষ্ট দলের নেতা । বিধান সভার আহ্ববান করা, স্থগিত রাখা, প্রয়োজনে তা ভেঙে দেওয়া, আবার অধিকাংশ আইনের খসড়া ক্যাবিনেটে মন্ত্রীদের নির্দেশ অনুসারে প্রস্তুত হয় । মুখ্যমন্ত্রী - রাজ্যপালকে পরামর্শ দেয় । আবার, বিরোধীদের সমিলোচনার জবাবও দেন ।
   ❺ দলোনেতা :-
           মুখ্যমন্ত্রী নেতা হিসেবে নির্ভর করে । যেমন, জ্যোতি বসু -এ বিষয়ের একটি উল্লেখ যোগ্য উদাহরন ।
   ❻ জনগনের নেতা :-
            মুখ্যমন্ত্রী হলেন রাজ্যের প্রকৃত শাসক প্রধান । এবং সেই দিক থেকে জনগনের নেতাও । রাজ্যের সরকার বলতে তাঁকেই বোঝায় । তাই মুখ্যমন্ত্রীকে জনগনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হয় ।

 উপসংহার :-
       শুধু সাংবিধানিক দিক থেকে বিচার করলে মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমতা ছাড়া আইন সভার কোনো উপায় থাকে না । যদিও মুখ্যমন্ত্রীর চরিত্র হবে - সৎ-চরিত্রবান এবং গুণসম্পন্ন ব্যক্তি, যিনি জনগনের প্রকৃত শাসক হয়ে উঠতে পারবে । এছাড়া দরকার পড়লে সমস্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করে উপস্থিত বুদ্ধির পরিচয় দিতে পারে ।


Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.