আবহবিকার ও পুঞ্জিত ক্ষয় প্রক্রিয়ার মধ্যে পার্থক্য বা বৈশিষ্ট :



 1. সাধারন উদ্ভিদ ও লবণাম্বু উদ্ভিদ -এর মধ্যে পার্থক্য ।
 👉 

সাধারন উদ্ভিদ
লবণাম্বু উদ্ভিদ



পার্থক্যের বিষয় সাধারন উদ্ভিদ লবণাম্বু উদ্ভিদ
1. পরিবেশ  a.জলময় বা শুষ্ক পরিবেশ ব্যতীত স্বাভাবিক পরিবেশে জন্মায় ।  ( i ) নদী মোহানার সক্রিয় বদ্বীপ এবং উপকূলবর্তী নিম্নভূমি অঞ্চলের লবণাক্ত মাটিতে জন্মায় ।
2. মূল  b. মূলগুলি সুগঠিত হয় । প্রধান মূল খুবই দীর্ঘ ও মোটা এবং এর পাশে বহু অপ্রধান মুল থাকে । ( ii ) মূলগুলি মাটির গভীরে প্রবেশ করে না । প্রধান মূলের পাশে বহু ঠেসমূল এবং এগুলি থেকে আবার অনেক শ্বাসমূল বের হয় ।
3. কান্ড  c. মোটা ও সুদীর্ঘ হয় এবং শাখাপ্রশাখাযুক্ত হয় ।  ( iii ) কাণ্ড রসালো , নরম বা কাষ্ঠল প্রকৃতির হয় ।
4. পাতার আকৃতি ও প্রকৃতি  d. পাতাগুলি বিভিন্ন আকৃতির , সুগঠিত , চওড়া ও পাতলা হয় এবং মোমের মতো কোনো পদার্থ দ্বারা ঢাকা থাকে না ।  ( iv ) পাতাগুলি বিভিন্ন আকারের এবং খুবই পুরু হয় । পাতা মোমের মতো পদার্থ দিয়ে ঢাকা থাকে ।
5. পত্ররন্ধ্র  e. পাতার উভয়পৃষ্ঠে পত্ররন্ধ্র থাকে ।  ( v ) পাতার নিম্নতলে পত্ররন্ধ্র থাকে ।
6. গাছের প্রকৃতি  f. চিরসবুজ , পাতাঝরা বা মিশ্র প্রকৃতির হয়ে থাকে ৷  ( vi ) প্রধানত চিরসবুজ প্রকৃতির হয়ে থাকে ।
7. গাছের আকৃতি  g. খুবই দীর্ঘ এবং অসংখ্য শাখাপ্রশাখাযুক্ত হয় ।  ( vii ) মাঝারি উচ্চতার এবং অল্প শাখাপ্রশাখাযুক্ত হয় ।
8. ফ‌ল ও বীজ এবং অঙ্কুরোদ্গম  h. ফল ও বীজগুলি বিভিন্ন আকৃতি ও বিভিন্ন ওজনের হয় । বীজগুলি মাটিতে পড়ে স্বাভাবিক নিয়মে অঙ্কুরোদ্‌গম হয় ।  ( viii ) ফল ও বীজ বড়ো এবং ওজনে হালকা হয় । বীজগুলি মাটিতে পড়বার আগেই জরায়ুজ অঙ্কুরোদ্‌গম হয় ‍।



 2. জঙ্গল উদ্ভিদ ওলবণাম্বু উদ্ভিদ -এর মধ্যে পার্থক্য ।
 👉
    

           
পার্থক্যের বিষয় জঙ্গল উদ্ভিদ লবণাম্বু উদ্ভিদ
1. পরিবেশ  a. শুষ্ক এবং শুষ্কপ্রায় পরিবেশে জন্মায় । অত্যধিক উয়তায় জন্মায় । আর্দ্রতা খুবই কম থাকা প্রয়োজন । দীর্ঘ , শক্ত , সুগঠিত রোমযুক্ত এবং বহু শাখাপ্রশাখাযুক্ত হয় । শক্ত , কাষ্ঠল , শুষ্ক এবং মোটা ছালযুক্ত হয় ।  ( i ) নদী মোহানার সক্রিয় বদ্বীপ এবং উপকূলবর্তী নিম্নভূমি অঞ্চলের লবণাক্ত মাটিতে জন্মায় ৷
2. উষ্নতা  b. অত্যধিক উষ্নতায় জন্মায় ।  ( ii ) মাঝারি উন্নতায় জন্মায় ৷
3. আর্দ্রতা  c. আর্দ্রতা খুবই কম থাকা প্রয়োজন ।  ( iii ) অত্যধিক আর্দ্রতার প্রয়োজন হয় ।
4. মূল  d. দীর্ঘ , শক্ত , সুগঠিত রোমযুক্ত এবং বহু শাখাপ্রশাখাযুক্ত হয় ।  ( iv ) মূলগুলি মাটির গভীরে প্রবেশ করে না । প্রধান মূলের পাশে বহু ঠেসমূল এবং এগুলি থেকে আবার অনেক শ্বাসমূল বের হয় ।
5. কান্ড  e. শক্ত , কাষ্ঠল , শুষ্ক এবং মোটা ছালযুক্ত হয় ।  ( v ) কাণ্ড রসালো , নরম বা কাষ্ঠল প্রকৃতির হয় ।




 3. জলজ উদ্ভিদ ও লবণাম্বু উদ্ভিদ -এর মধ্যে পার্থক্য লেখো ।
 👉 
        
পার্থক্যের বিষয় জলজ উদ্ভিদ লবণাম্বু উদ্ভিদ
1. পরিবেশ  a.সম্পূর্ণ জলময় পরিবেশে জন্মায় ।  ( i ) নদী মোহনায় সক্রিয় বদ্বীপ এবং উপকূলবর্তী নিমভূমি অঞ্ছলের লবনাম্বু মাটিতে জন্মায় ।
2. মূল  b. ছোটো , দুর্বল , নরম বায়ুপূর্ণ এবং গুচ্ছাকার হয়ে থাকে । ( ii ) মূলগুলি মাটির গভীরে প্রবেশ করে না । প্রধান মূলের পাশে বহু ঠেসমূল এবং এগুলি থেকে আবার অনেক শ্বাসমূল বের হয় । 
3. কান্ড  c. সরু ও নমনীয় হয় । বহুক্ষেত্রেই কিউটিকল থাকে না , বা থাকলেও তা পাতলা ও দুর্বল হয় ।   ( iii ) কাণ্ড রসালো এবং নরম অথবা শক্ত কাষ্ঠল প্রকৃতির হয় । 
4. পাতার আকৃতি ও প্রকৃতি  d. পাতাগুলি বিভিন্ন আকৃতি ও প্রকৃতির হয়ে থাকে । কোনো কোনো ক্ষেত্রে সরু , লম্বা , ফিতাকৃতি আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে বড়ো ও গোলাকার এবং কখনো খুবই ছোটো ছোটো হয় ।  ( iv ) পাতাগুলি বিভিন্ন আকারের এবং খুবই পুরু হয় । পাতা মোমের মতো পদার্থ দ্বারা ঢাকা থাকে ।
5. পত্ররন্ধ্র  e. বহুক্ষেত্রেই পত্ররন্ধ্র থাকে না ।  ( v ) পাতার নিম্নতলে পত্ররন্ধ্র থাকে ।
6. উদ্ভিদের আকৃতি ও প্রকৃতি  f. আকৃতিতে খুবই ছোটো হয় । প্রকৃতিগতভাবে কোনোগুলি জলজ ভাসমান , কোনোগুলি নিমজ্জিত ভাসমান , আবার নিমজ্জিত মূলযুক্ত হয় ।  ( vi ) মাঝারি উচ্চতার এবং অল্প শাখা - প্রশাখাযুক্ত হয় । উদ্ভিদগুলি প্রধানত চিরসবুজ প্রকৃতির হয় । 
7. বিস্তার  g. মূলত জলজ পরিবেশেই বিস্তারলাভ করে ।  ( vii ) নদী বদ্বীপ ও উপকূলের লবণাক্ত নিম্নভূমিতে বিস্তারলাভ করে ।



 4. আলোকপ্রিয় উদ্ভিদ ও ছায়াপ্রিয় উদ্ভিদ -এর মধ্যে পার্থক্য ।
👉 
       


পার্থক্যের বিষয় আলোকপ্রিয় উদ্ভিদ ছায়াপ্রিয় উদ্ভিদ
1.  জন্মস্থান a.এই প্রকৃতির উদ্ভিদ মূলত যেসব অঞ্চলে প্রচুর সূর্যালোক পাওয়া যায় , সেখানেই জন্মায় ।   ( i ) এই শ্রেণির উদ্ভিদ মূলত যেসব স্থানে সূর্যালোক কম থাকে বা ছায়া থাকে , সেসব স্থানে জন্মায় ।
2. সালোকসংশ্লেষ  b. এই শ্রেণির উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ার সঙ্গে অভিযোজনে সক্ষম ।   ( ii ) শ্রেণির উদ্ভিদ সরাসরি সূর্যালোক ছাড়াও সালোক সংশ্লেষে সক্ষম । 
3. পাতার আকৃতি  c.  পাতাগুলি আকৃতিতে ছোটো হয় এবং এগুলি সূর্যালোক প্রতিফলিত করতে পারে ।  ( iii ) পাতাগুলি আকৃতিতে বড়ো হয় এবং এগুলি সূর্যালোক প্রতিফলিত করতে পারে না ।
4. পাতার ফলক  d. পাতার ফলক বাঁকা ও কুঞ্চিত হয় ।  ( iv ) পাতার ফলক চ্যাপটা ও মসৃণ হয় ।
5. পাতার ত্বক  e. বহিঃত্বক পুরু ও একাধিক স্তরবিশিষ্ট ।   ( v )  বহিঃত্বক পাতলা ও একস্তরবিশিষ্ট ।
6. পত্ররন্ধ্র  f. পত্ররন্ধ্র পাতার নিম্নতলে অবস্থান করে ।   ( vi ) পত্ররন্ধ্র পাতার উভয়তলে অবস্থান করে ।
7. পর্বমধ্যের গঠন   gপর্বমধ্যগুলি আয়তনে ছোটো হয় ।  ( vii ) পর্বমধ্যগুলি আয়তনে বড়ো হয় ।



 4. আবহবিকার ও ক্ষয়ীভবনের মধ্যে পার্থক্য বা বৈশিষ্ট :
ভিত্তি আবহবিকার ক্ষয়ীভবন
1. প্রাকৃতিক শক্তি  a. স্থিতিশীল প্রাকৃতিক শক্তি দ্বারা আবহবিকার সংঘটিত হয় ।  ( i ) গতিশীল প্রাকৃতিক শক্তি দ্বারা ক্ষয়ীভবন সংঘটিত হয় ।
2. স্থানচ্যুতি  b. আবহবিকারের দ্বারা উৎপন্ন শীলা চূর্ণ কোনো প্রকার অপসারন হয় না ।  ( ii ) ক্ষয়ীভবনের দ্বারা উৎপন্ন শীলা চূর্ণ ধীরে ধীরে অন্যত্র অপসারিত হয় ।
3. সময়কাল  c. এটি খুবই ধীর গতি সম্পন্ন প্রক্রিয়া । সম্পূর্ন হতে দীর্ঘ সময় লাগে ।  ( iii ) এটি খুবই দ্রুত গতি সম্পন্ন প্রক্রিয়া । সম্পূর্ন হতে কম সময় লাগে ।
4. প্রভাব  d. আবহবিকার ক্ষয়ীভবনকে প্রভাবিত করে ।  ( iv ) ক্ষয়ীভবন আবহবিকারকে প্রভাবিত করে না ।



 5. আরোহন ও অবরোহন প্রক্রিয়ার মধ্যে পার্থক্য বা বৈশিষ্ট :
ভিত্তি অরোহন অবরোহন
1. উচ্চতা   a. এই প্রক্রিয়ায় ভূভাগের উচ্চতা বৃদ্ধি করে । আবহবিকার পরে হয় ।  ( i ) এই প্রক্রিয়ায় ভূভাগের উচ্চতা হ্রাস পায় । আবহবিকার আগে হয় ।
2. কাজ  b. এই প্রক্রিয়ায় ক্ষয়জাত পদার্থ প্রচুর পরিমানে সঞ্ছিত হয় ।  ( ii ) এই প্রক্রিয়ায় ভূত্বকের শীলাস্তর ক্ষয় হয়ে নীচের শীলা নগ্ন হয়ে পড়ে ।
3. নিয়ন্ত্রক  c. ক্ষয়ীভবনের শক্তিসমূহ অর্থাৎ, নদী, বায়ু, হিমবাহ, সমুদ্রতরঙ্গ ।  ( iii ) আবহবিকার, পুঞ্জিত ক্ষয়, ক্ষয়ীভবনের শক্তি সমূহ ।
4. ফলাফল  d. এটি ভূমিভাগের ভাষ্কর্য সৃষ্টি করে না, নতুন ভূভাগ তৈরি করে ।  ( iv ) এটি ভূমিভাগের ভাষ্কর্য সৃষ্টি করে, নতুন ভূভাগ তৈরি করে না ।



 6. আবহবিকার ও পুঞ্জিত ক্ষয় প্রক্রিয়ার মধ্যে পার্থক্য বা বৈশিষ্ট :
ভিত্তি আবহবিকার পুঞ্জিত ক্ষয়
1. শক্তি  a. বায়ুর উষ্ণতা, আদ্রতা, বৃষ্টিপাত, বিভিন্নরকম গ্যাস দ্বারা আবহবিকার ঘটে ।  ( i ) মাধ্যাকর্ষন বলের টানে ঢালু পার্বত্য ও মালভূমি অঞ্ছলে পুঞ্জিত ক্ষয় হয় ।
2. স্থানচ্যুতি  b. আবহবিকারের দ্বারা উৎপন্ন শীলা চূর্ণ কোনো প্রকার অপসারন হয় না ।  ( ii ) পুঞ্জিত ক্ষয়ের দ্বারা উৎপন্ন শীলা চূর্ণ ধীরে ধীরে অন্যত্র পরীবাহিত হয় ।
3. প্রকৃতি  c. এটি খুবই গতি সম্পন্ন প্রক্রিয়া । হঠাৎ বিপর্যয় বা ক্ষয়ক্ষতি হয় না ।  ( iii ) এটি দ্রুত গতি সম্পন্ন প্রক্রিয়া । হঠাৎ বিপর্যয় বা ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে ।
4. প্রভাব  d. আবহবিকার ক্ষয়ীভবনকে প্রভাবিত করে ।  ( iv ) ক্ষয়ীভবন আবহবিকারকে প্রভাবিত করে না ।




Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.