কে ছিলেন ইশপ | Class - III Bengali | অধ্যায়ঃ ভিত্তিক তৃতীয় শ্রেণির বাংলা প্রশ্ন উত্তর দশম পাঠ

 

দশম পাঠঃ তৃতীয় শ্রেণির বাংলা প্রশ্ন উত্তর অধ্যায়ঃ ‘কে ছিলেন ইশপ’

 

📌সংক্ষেপ আলোচনাঃ 

রচনাটিতে ইশপের জীবন সম্পর্কে আলােচনা করা হয়েছে। আঙুরফল ও শেয়ালের গল্প, খরগােশ ও কচ্ছপের গল্প সবই তাঁর রচনা। তিনি ছিলেন প্রাচীন গ্রিসের একন ক্রীতদাস। তিনি প্রতিটি লোককে লক্ষ করতেন তাঁরপর তাঁদের নিয়েই গল্প বানাতেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তাঁর গল্পগুলির চরিত্র থাকত পশুপাখি। একবার রাজা ক্রোসাস তাকে ডেলফিতে পাঠান। সেখানকার লােভী পুরােহিতদের নিয়ে সােনার ডিম পারা হাঁসের গল্পটি বাধেন এবং তাদের নিয়েও দেন। তার গল্পগুলি যেমন মজা দেয় তেমন উপদেশ দেয়। তার গল্পগুলাে সবই নীতিমূলক গল্প।


হাতে কলমে :

☞ ১. একটি বাক্যে উত্তর দাও :

১.১ শেয়াল কিছুতেই কীসের নাগাল পায়নি?

উত্তরঃ শেয়াল কিছুতেই আঙুরগুচ্ছের নাগাল পায়নি।


১.২ শেয়াল শেষে কী বলে চলে গিয়েছিল?

উত্তরঃ শেয়াল শেষে ‘আঙুরফল টক' বলে চলে গিয়েছিল।


১.৩ খরগোশ কেমন ছিল?

উত্তরঃ খরগােশ অহংকারী ছিল।


১.৪ খরগােশ কার কাছে দৌড় প্রতিযােগিতায় হেরে গিয়েছিল?

উত্তরঃ খরগােশ কচ্ছপের কাছে দৌড় প্রতিযােগিতায় হেরে গিয়েছিল।


১.৫ খরগােশ কেন হেরে গিয়েছিল?

উত্তরঃ খরগােশ ছিল অহংকারী আর কচ্ছপ ছিল নিষ্ঠাবান তাই খরগােশ হেরে গিয়েছিল।


১.৬ রাখাল ছেলে কী করত?

উত্তরঃ রাখাল ছেলে মিছিমিছি বাঘ-বাঘ বলে চেঁচাত!


১.৭ ইশপ কোন দেশের মানুষ ছিলেন?

উত্তরঃ  ইশপ গ্রিস দেশের মানুষ ছিলেন।


১.৮ ইশপ কাদের নিয়ে গল্প বানাতেন?

উত্তরঃ পশুপাখিদের নিয়ে গল্প বানাতেন।

১.৯ ইশপের প্রভু কে ছিলেন?

উত্তরঃ ইশপের প্রভু ছিলেন রাজা ক্রোসাস।


১.১০ তিনি ইশপকে কোথায় পাঠিয়েছিলেন?

উত্তরঃ তিনি ইশপকে ডেলফিতে পাঠিয়েছিলেন।


১.১১ সেই জায়গাটি কেন বিখ্যাত ছিল?

উত্তরঃ সেই জায়গাটির পুরােহিতরা ছিল ভবিষ্যৎবাণীর জন্য বিখ্যাত।


১.১২ সেখানকার মানুষ কেমন ছিল?

উত্তরঃ সেখানকার মানুষ খুব লােভী ছিল।


১.১৩ তাদের আচরণ দেখে ইশপ কোন গল্প বাঁধলেন?

উত্তরঃ তাদের আচরণ দেখে ইশপ সােনার ডিম পাড়া হাঁসের গল্প বাঁধলেন।


১.১৪ নীতিগল্প কাকে বলে?

উত্তরঃ যে গল্প থেকে নীতিশিক্ষা পাওয়া যায়।


১.১৫ আমাদের জীবনে কোন গুণগুলি জরুরি?

উত্তরঃ আমাদের জীবনে দয়া, মায়া, ভালােবাসা, সততা, কৃতজ্ঞতা, পরােপকার, শ্রদ্ধা, ভক্তি প্রভৃতি গুণগুলি জরুরি।


১.১৬ অনুবাদ বা তরজমা কাকে বলে?

উত্তরঃ এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় কোনাে কিছু পাল্টানােকে অনুবাদ বা তরজমা বলে।


১.১৭ ইশপের গল্প বিভিন্ন দেশে কেন জনপ্রিয়?

উত্তরঃ ইশপের গল্পগুলি মজার ছলে আমাদের নীতিশিক্ষা দেয় তাই জনপ্রিয়।


১.১৮ ইশপকে কেন মানবজাতির সবচেয়ে বড়াে শিক্ষকদের একজন’ বলা হয়েছে?

উত্তরঃ ইশপ গল্পের মধ্য দিয়ে মানবজাতিকে শিক্ষা দিয়েছেন তাই।



২. 'ক' স্তম্ভের সঙ্গে 'খ' স্তম্ভ মেলাও :

উত্তরঃ

"ক" -স্তম্ভ "খ" -স্তম্ভ
শেয়াল আঙ্গুর গুচ্ছ
রাখাল ছেলে বাঘ
ডেলফি  ভবিষ্যৎবানী
খরগোশ দৌড় প্রতিযোগিতা
হাঁস সোনার ডিম


☞ ৩. ঠিক শব্দটি বেছে নিয়ে নীচের শূন্যস্থান পূরণ করাে :

৩.১ ইশপ ছিলেন একজন ― (রাজা/পুরােহিত/ক্রীতদাস।)

উত্তরঃ ইশপ ছিলেন একজন ক্রীতদাস।


৩.২ ইশপের প্রভু ছিলেন রাজা ― (ক্রোসাস/অলিম্পাস/জুলিয়াস)।

উত্তরঃ ইশপের প্রভু ছিলেন রাজা ক্রোসাস।


৩.৩ ইশপ ছিলেন ― (চিন/গ্রিস/মিশর) দেশের লােক।

উত্তরঃ ইশপ ছিলেন গ্রিস দেশের লােক।


৩.৪ ইশপের প্রভু ইশপকে ― (এথেন্স/পার্টা/ ডেলফি) নগরে পাঠিয়েছিলেন।

উত্তরঃ ইশপের প্রভু ইশপকে ডেলফি নগরে পাঠিয়েছিলেন।


৩.৫ ডেলফি শহরটি বিখ্যাত ছিল ― (মসলিন কাপড়/ভবিষ্যৎবাণী/যুদ্ধবিগ্রহ)-এর জন্য।

উত্তরঃ ডেলফি শহরটি বিখ্যাত ছিল ভবিষ্যৎবাণী-এর জন্য।



☞ ৪. নীচের শব্দৰুড়ি থেকে ঠিক শব্দ বেছে ঠিক জায়গায় বসাও।

(শব্দঝুড়ি)

অনুবাদ, উপহাস, নিষ্ঠা,

নীতিগল্প, সােনার ডিম

৪.১ কচ্ছপের ছিল জেদ আর নিষ্ঠা

৪.২ একটা হাঁস সােনার ডিম পাড়ত।

৪.৩ চেহারা নিয়ে ইশপকে উপহাস শুনতে হত।

৪.৪ ইশপের রচনাগুলি নীতিগল্প

৪.৫ ইশপের গল্পের অনুবাদ হয়েছে পৃথিবীর নানা দেশে নানা ভাষায়।


☞ ৫. এই গদ্যে বলা নেই, তােমার জানা ইশপের এমন কোনাে গল্প নিজের ভাষায় লেখো।

উত্তরঃ এক বুড়ি একা থাকত! তার ভারি কষ্ট। সে একদিন জঙ্গল থেকে কাঠ মাথায় করে নিয়ে আসছে। গরমকাল চারদিকে সবকিছু তেতে আছে। বুড়ির খুব কষ্ট হচ্ছিল। সে একটা গাছের ছায়ায় তার মাথা থেকে কাঠের বােঝা নামিয়ে বসল। সেখানে বসে সে এই সংসারের প্রতি সব ক্ষোভ মনে মনে বলতে থাকে। এমনকি সে মনের উদ্দেশ্যে ও বলতে থাকে আর পারি না। বেঁচে থাকতে ইচ্ছা হয় না। মরণও আসে না। হতচ্ছাড়া মুখপােড়া যম, এত লােকে নিস আমায় নিতে পারিস না। বুড়ির এই সব কথা শুনে যম সেখানে এসে হাজির। যমের চেহারা দেখেই তাে বুড়ি জ্ঞান হারানাের মতো অবস্থা।

    বুড়ি বলে—কে বাবা তুমি? যম বলে, ঠাকুমা আমি যম। তুমি একটু আগে আমায় ডাকছিলে, তাই এসেছি। বলাে, আমি তােমায় কীভাবে সাহায্য করতে পারি। এই কথা শুনেই তাে বুড়ি হয়ে গেল সে কোনওক্রমে বলল বাবা তুমি এসে ভালােই করেছ, এখন এই কাঠের বােঝাটা যদি আমার মাথায় তুলে দাও, তাে আমি বাড়ি যেতে পারি। যম তাই করল। বুড়িও তার বাড়ি ফিরে গেল। (এই সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে কেউ যেতে চায় না।)






Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.