১৮. ‘হঠাৎ ভয়ানক একটা উত্তেজনা অনুভব করে তপন ।’ – তপন কেন উত্তেজনা অনুভব করে এবং তা ‘ভয়ানক’ কেন ?
উত্তরঃ– নতুন মেসো তপনের স্বরচিত গল্প ' সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছাপার জন্য নিয়ে গেলে তার গল্প লেখার উৎসাহ আরও বৃদ্ধি পায় । উৎসাহের বশে তিনতলার সিঁড়িতে একান্ত নির্জনে একাসনে বসে তার হোমটাস্কের খাতায় লিখে ফেলে আস্ত আর একটি গল্প । গল্পটি পড়ে নিজেই অবাক হয় । বিশ্বাস জন্মায় নিজের সামর্থ্যের প্রতি । সে যে একজন লেখক হতে চলেছে — এই উত্তেজনা সে অনুভব করে ।
নতুন মেসোকে দেখে তপনের যেমন লেখক সম্বন্ধে জ্ঞানচক্ষু খুলে গিয়েছিল, ঠিক তেমনইভাবে তার গল্প লেখার উৎসাহও বেড়ে গিয়েছিল । লেখক হতে চাওয়ার যে সুপ্ত ইচ্ছা তার মধ্যে ছিল তার পূর্ণতা পাওয়ার দিন যেন সে দেখতে পায় উৎসাহভরে হোমটাস্কের খাতা নিয়ে সিঁড়ি দিয়ে তিনতলায় উঠে একান্তে বসে লিখে ফেলে গোটা একটি গল্প ।
মা যেমন সন্তানকে দেখে খুশি হয় তাঁর নিজের অংশ হিসেবে ভেবে, তপনও তেমনি তার নিজের সৃষ্টিতে আনন্দিত হয়ে ওঠে । নিজের সৃষ্টি আগাগোড়া পড়ে তার শরীরে শিহরণ খেলে যায় । সে ভাবতেই পারে না, এত সুন্দর একটা গল্প সে নিজেই লিখতে পারবে । নিজস্ব ভাব ও ভাবনার বাণী মূর্তিই আলোচ্য অংশে ভায়নক উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে, যা তার গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে ।