১৯. ‘এ যে সত্যিই হুবহু গল্পের মতোই লাগছে !’ — কার মনে কেন এই অনুভূতি জেগে ওঠে ? অনুভূতির প্রতিক্রিয়ায় বক্তা কী করেছিল ?
উত্তরঃ– নতুন মেসো তপনের স্বরচিত গল্প ' সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছাপার জন্য নিয়ে গেলে তার গল্প লেখার উৎসাহ আরও বৃদ্ধি পায় । উৎসাহের বশে তিনতলার সিঁড়িতে একান্ত নির্জনে একাসনে বসে তার হোমটাস্কের খাতায় লিখে ফেলে আস্ত আর একটি গল্প । গল্পটি পড়ে নিজেই অবাক হয় । বিশ্বাস জন্মায় নিজের সামর্থ্যের প্রতি । সে যে একজন লেখক হতে চলেছে — এই উত্তেজনা সে অনুভব করে ।
সদ্য লেখা গল্পটির ভয়ানক উত্তেজনা অনুভব করে তপন দুদ্দাড়িয়ে তিনতলার সিঁড়ি থেকে নেমে এসে তার চিরকালের বন্ধুসম ছোটোমাসিকে বলে, ‘ছোটোমাসি একটা গল্প লিখেছি ।’ বয়সে বছর আষ্টেকের বড়ো হলেও সমবয়সি মনোভাবাপন্ন ছোটোমাসি গল্পটি একটু - আধটু চোখ বুলিয়ে নিয়ে তার পিঠ চাপড়ে বাহবা দেওয়ার পাশাপাশি কোথাও থেকে তপন টুকলিফাই করেছে কিনা, এই সংশয় প্রকাশের মধ্যস্থতায় তার সঙ্গে খুনসটি করে । খুনসুটিতে একটু রাগ হলেও তপন অনুভব করে তার বাড়ির সকলের ও ছোটোমাসির তার লেখার প্রতি উয় সমর্থন ।
ফলত সে আরও দু - তিনটে গল্প লিখে ফেলে । ফল স্বরূপ গ্রীষ্মের ছুটি ফুরিয়ে এলেও তার ছুটির হোমটাস্ক সম্পূর্ণ হয়ে ওঠে না ।