এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার পক্ষে ও বিপক্ষে যুক্তি দাও ।

📌 এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার পক্ষে ও বিপক্ষে যুক্তি দাও ।

👉🏼 একটি পরিষদ বাক্য বা পক্ষ নিয়ে গঠিত হয় আইনসভা । এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা একটিমাত্র পদের মাধ্যমে, জনগণের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধিরা আইনসভার যাবতীয় কাজ কর্ম পরিচালনা করে থাকে । বাংলাদেশ ও তুরস্ক প্রভৃতি দেশের আইনসভা এককক্ষ বিশিষ্ট ।

 আইন সভার পক্ষে যুক্তি :-
        ১. গনতান্ত্রিক সম্মতি :-
                     এক কক্ষ আইন সভিয় সম্মত হওয়া জনগণের সংখ্যা অধিক প্রধান্য প্রতিফলিত হয় । কারন, এই রুপ আইন সভায় ব্যক্তগত বা শ্রেণিগত স্বার্থ অপেক্ষা জনসার্থকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় ।

      ২. জনমতের প্রতিফলন :-
                  জনগনের সম্মতি হল আইন, জনঘন কখনও একই বিষয়ের উপর, একই সময়ে দুই রকম মতামত দিতে পারেনা । তাই এক কক্ষ বিশিষ্ট আইন সভায় জনমতের সুষ্পষ্ট প্রতিফলন ঘটে ।

     ৩. আইন প্রনয়নের সরলিপি করন :-
                      এক কক্ষ বিশিষ্ট আইন সভায় সুষ্ঠ পদ্ধতিতে আইন প্রনয়ন সম্ভব । কোনো রকম জটীলতা দেখা যায় না ।

      ৪. দ্রুত আইন প্রনয়ন :-
                    এক কক্ষ বিশিষ্ট আইন সভায় দ্রুত আইন প্রনয়নের পক্ষে সহায়ক বলে আনেকে মনে করে । জরুরি প্রয়োজনে দ্রুত আইন প্রনয়নে একমাত্র এক কক্ষ বিশিষ্ট আইন সভাই সম্ভব ।

      ৫. স্বল্প ব্যয় :-
             আইন সভায় দুটি কক্ষ থাকলে সদস্যদের বেতন ও অন্যান্য সুযোগ - সুবিধার জন্য অর্ধেক অপচয় ধটে । সেক্ষেত্রে এক কক্ষ বিশিষ্ট আইন সভার ব্যয় বহুল কম ।


 আইন সভার বিপক্ষে যুক্তি :-
      ১. সুনিশ্চিত আইন প্রনয়ন :-
                এক কক্ষ বিশিষ্ট আইন সভা কখনও সুনিশ্চিত আইন প্রনয়ন করতে পারেনা । যথেষ্ট বিচার বিশ্লেষনের পর আইন প্রনয়ন করতে এক কক্ষ বিশিষ্ট আইন সভা দেখা যায় না ।

      ২. যুক্ত রাষ্ট্রিয় ব্যবস্থার পক্ষে প্রতিকূল :-
                         এক কক্ষ বিশিষ্ট আইন সভা যুক্ত রাষ্ট্রিয় ব্যবস্থার পক্ষে প্রতিকূল নয় । কারন, আঈন সভায় একটি মাত্র কক্ষ থাকলে জাতীয় ও আঞ্ছলিক স্বার্থের সামগ্রিক প্রতিনিধিত্ব সম্ভবপর হয়ে উঠেছে ।

     ৩. শৈরাচারী প্রবনতার আশঙ্কা :-
                   একটি মাত্র কক্ষ নিয়ে আইন সভা গঠিত হলে শৈরাচারী বা প্রবনতা থাকে । কেননা, হেক্ষেত্রে কোনো নিয়ন্ত্রক থাকে না ।

     ৪. জ্ঞানীগুনি মানুষের উপস্থিতি :-
                      এক কক্ষ বিশিষ্ট আইন সভায় জ্ঞানীগুনিও অবিজ্ঞ ব্যক্তিদের উপস্থিতি দেখা যায় না ।কারন, সমাজের এই শ্রেণির ব্যক্তিরা নির্বাচনের ক্লেশ এড়িয়ে চলতে চায় ।

     ৫. সংখ্যা লঘুর স্বার্থ উপেক্ষিত :-
                   এক কক্ষ বিশিষ্ট আইন সভায় সংখ্যা লঘু শ্রেণির উপস্থিতি দেখা যায় না । যার ফলে সংখ্যা লঘুর স্বার্থ উপেক্ষিত হয় ।

 মূল্য্যায়ন :-
      পরিশেষে বলতে পারি, এক কক্ষ বিশিষ্ট বৈধতা সংগতি পূর্ণ নয় । তাই বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলিতেও জনপ্রিয় হয়নি ।


Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.