গান্ধীজির সম্পর্কে আলোচনা || class12

 

  গান্ধীজির সম্পর্কে যা জানো লেখো বা আলোচনা করো ।

👉 

     ভূমিকা :-

          ভারতীয় রাজনীতিতে গান্ধীজির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন । গান্ধীজির আদর্শ ও মানবতা, যা গান্ধীবাদ নামে পরিচিত । প্রকৃত পক্ষে গান্ধীজি ছিলেন একজন


ধর্মপরায়ন আদর্শবাদী নেতা । তাঁর রাজনৈতিক চিন্তা-তষভাবনা গড়ে উঠেছে - ধর্ম চিন্তা, নীতি বোধ ও মানব সেবার মধ্যদিয়ে ।


রাজনৈতিক চিন্তার উৎস :-

           গান্ধীজির রাজনৈতিক চিন্তা-ভাবনা কয়েকটি দেশি বা বিদেশি গ্রন্থের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল । সেই গ্রন্থগুলি হল - রামায়ন, মহাভারত, ও ভগবত গীতা । এছাড়াও বিদেশি দার্শনিক রাস্কিন ও টলস্টয়ের চিন্তা-ভাবনা থেকে অহিংসার মন্ত্রে উজ্জিবাত হয়েছিল ।


  ☀ গান্ধীজির রাজনৈতিক চিন্তা-ভাবনার স্বরূপ ☀

  রাজনীতিতে আহিংসার নীতি  :-

                 গান্ধীজির জীবনের মূল অংশ হল, সত্য ও অহিংসা । গান্ধীজির মতে অহিংসা কিন্তু, কাপুরুষতা নয় । অহিংসা হল বীরের পথ । একমাত্র সাহসী ব্যক্তিরাই কেবল অহিংসার পথে চলতে পারে । ভিতু মানুষ কোনো দিনই অহিংসার পথে চলতে পারে না । শুধু ব্যক্তি জীবনে নয়, রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও অহি়স, নীতিকে একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে থাকে ।

রাষ্ট্রের ক্ষতি কারক প্রতিষ্ঠান :-

              গান্ধীজি রাষ্ট্রকে ক্ষতিকারক প্রতিষ্ঠান বলে মনে করেছেন । কারন, তাঁ মতে রাষ্ট্রে মূল ভিত্তি হল, হি়ংসা ও বল প্রয়োগ । এই বলপ্রয়োগের মাধ্যমে এক শ্রেনি অন্য শ্রেনিকে শোষন করে থাকে । এই শোষন বন্ধ করার জন্য রাষ্ট্রের ক্ষমতা সীমিত হওয়া উচিত ।

  দলহীন গণত্রন্ত্র :-

     গান্ধীজি মনে করেছেন, রাষ্ট্র যেহেতু অহিংসার প্রতিক এবং দল অহিংসার পথ গ্রহন করে, সেহেতু, আদর্শ ব্যবস্থা হবে রাষ্ট্রহীন ও দলহীন গনত্রন্ত্র । এই সমাজে প্রত্যেকেই শাসক । সকলের কল্যানের জন্য শাসন ব্যবস্থা পরীচালিত হবে । যেখানেয়কোনো হিংসা থাকবে না, ও ক্ষমতার প্রতি লোভও থাকবে না ।

ক্ষমতার দ্বিকেন্দ্রি করন :-

     গান্ধীজি রাষ্ট্রের ক্ষমতা, দ্বিকেন্দ্রি করনে বিশ্বাসি । সব ক্ষমতা রাষ্ট্রের হাতে হাতে থাকলে সে শৈলচারি হবে, ব্যক্তির স্বাধীনতা বিপন্ন হবে । তাই সব ক্ষমতা রাষ্ট্রের হাতে না রেখে কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া উচিত । এর জন্য তিনি পঞ্ছায়েত ব্যবস্থাকে গনতন্ত্র প্রচেষ্টার অন্যতম শর্ত বলে মনে করেন । পঞ্ছায়েত ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতিটি গ্রাম হয়ে উঠবে একটি সম্পূর্ন প্রজাতন্ত্র রূপে ।

 সর্বদায় তত্ত্ব :-

    গান্ধীজির রাজনৈতিক চিন্তা সর্বদায় তত্বের একটি গুরুত্বপূর্ন স্থান দখল করে থাকে । সর্বদায় তত্বের অর্থ হল - সকল মানুষের উন্নত বা কল্যান । রাষ্ট্রের কাজ হল, সর্বাধিক মানুষের সর্বাধিক কল্যান করা । গান্ধীজি বলেন যে- আমাদের লক্ষ হওয়া উচিত সর্বাধিক মানুষের উন্নতি ।

   উপসংহার :-

    সমালোচিত হলেও গান্ধীজির রাজনৈতিক চিন্তা-ভাবনার মূল লক্ষ আছে । তিনি রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সত্য ও হিৎসা নীতির প্রয়োজনের কথা বলেন । রাজনীতি থেকে যদি সত্যকে দূরে রাখা যায় তাহলে রাজনীতি কলশিত হবে । তবে গান্ধীজির আদর্শকে বাস্তবে রূপ দিতে পঞ্ছায়েতি ব্যবস্থা চালু করা উচিত । সবচেয়ে বড়ো কথা হলো - গান্ধীজির অহিংসা নীতি বিশ্বরাজনীতিতে গভীর ভাবে প্রভবিত করেছে ।



   Comments :

  Your Name :


  Your Email: (required)


  Your Message: (required)

                                           


Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.