জোট নিরপেক্ষ নীতির বৈশিষ্ট আলো চনা :-
অধ্যাপক থাউ, ও অধ্যাপক বার্টান প্রভৃতি বিশেষজ্ঞ গন জোট নিরপেক্ষ তার সম্বন্ধে যে ধরনা দিয়েছেন তা বিশ্লেষন করলে আমরা জোট নিরপেক্ষ তার কয়েকটি মোট নীতি বা বৈশিষ্ট্য দেখতে পাই ।
নিরপেক্ষতা :-
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী কালে বিশ্বের দ্বিতীয় প্রধান শক্তি গোষ্টি মার্কিন যুক্তরাষ্ঠে নেতৃত্বাধীন গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সবিয়েত রাশিয়ার নেতৃত্বে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র জোটের বাইরৈ থেকে ভারত নিরপেক্ষতা নীতি অবলম্বন করে চলে ।
শক্তির নীতি :-
ভারতের জোট নিরপেক্ষ পররাষ্ট্র নীতি , সম্পূর্ণ রূপে শান্তির উপর প্রতিষ্ঠিত । ভারত বিশ্বাস করে শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে আন্তর্জাতিক সমস্যার সমাধান সম্ভব , ভারত শান্তির পথ ধরে বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে সামিল বা সচেষ্ট হয়েছে ।
স্বাধীন পররাষ্ট্র নীতি :-
উপযুক্ত সামরিক শক্তির প্রভাব থাকলেও ভারত স্বাধীন ভাবেই তার পররাষ্ট্র নীতি প্রয়োগ করতে সদা সচেষ্ট, অন্য কোনো রাষ্ট্রকে অনুসরণ করে বা অপরের পরামর্শ মেনে, ভারত তার পররাষ্ট্র নীতি পরিচালনা করতে ঙায় না ।
বর্ন বৈষ্যামের বিরোধিতা :-
বর্ণ বৈষ্যাম ও জাতি গত বিদ্দেশের বিরোধ, তাই দক্ষিন আফ্রিকার কৃষ্মাঙ্কদের ওপর শ্বেতাঙ্গদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে ভারতকে প্রতিবাদ জানাতে নেতিবাচক ভূমিকা নিতে দেখা যায় ।
ঔপনিবেশিকতা বাদের বিরোধিতা :-
দক্ষিন আফ্রিকা, ভিয়েতনাম, নামিবিয়া, অ্যাঙ্গেলা প্রভৃতি এক কড়ঙ্গ ঔপনিবেশিক বিরোধ যুদ্ধে ভারত পক্রিয় সমর্থন জানিয়েছে ।
সর্বত্র নিরস্থি করন :-
ভারতে জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের নূন্যতম বৈশিষ্ট্য হল - সর্বত্র নিরস্থি করনের প্রতীক ও অকুণ্ঠও সমর্থক । ভারত মানবিক বোমা তৈরির ক্ষমতা রাখালেও যুদ্ধের কাজে ব্যবহার করতে চায় না ।
উপসংহার :-
ভারত জোট নিরপেক্ষ নীতির সকল প্রয়োগ ঘটিয়ে তৃতীয় বিশ্বের দেশ গুলির মধ্যে শান্তি, সমৃদ্ধি ও পারস্পরিক অবস্থার পরিবেশ গড়ে তুলতে সচেষ্ট ।
জহর লাল নেহরু ভারতে জোট নিরপেক্ষ তার সরলতার সঙ্গে বলেছেন - ভারত বিশ্বাস করে যে, প্রতিবেশি দেশগুলির সঙ্গে শান্তিপূর্ণ বন্ধুত্ব সুলভ আচরণ এবং বিশ্বের সকল দেশের সহযোগিতার মাধ্যমে প্রকৃত শান্তি অর্জন করা সম্ভব পর হবে ।
: Comments :