ভাত গল্পে উচ্ছব নাইয়ার চারিত্রিক বৈশিষ্ট || খুব গুরুত্বপূর্ন প্রশ্ন

 

 ☀ মহাশ্বেতি দেবীর রচিত ভাত গল্প অবলম্বনে উচ্ছব নাইয়ার চারিত্রিক বৈশিষ্ট বিশ্লেষন করো ।

  👉 মহাশ্বেতা দেবী তাঁ অধিকাংশ গল্পের মতোই "ভাত" গল্পেও নিম্ম শ্রেনির এক মানুষকে প্রধান চরিত্রের মর্যাদা প্রদান করেছেন । এবং সেই চরিত্রের নাম হলো - উচ্ছব নাইয়া । 

          উচ্ছব সুন্দর বনের বাদা অঞ্ছলের বাসিন্দা । তার পিতা হরিচরন নাইয়া । স্ত্রী - পুত্র - কন্যা সহ মাতলা নদীর তীরে বসবাস করত ।

জীবনের প্রথম পর্ব :

    নিভুই চাষি :- 

                        উচ্ছব একজন চাষাজমি হীন চাষি ।মাতলার বাদা অঞ্ছলে শতীশ বাবুর জমিতে উচ্ছব ধান চাষ করত । কিন্তু কর্তিকের মড়ক লেগে প্রায় সমস্ত ধান শুকিয়ে গেছে । তাই সারা বছরের অন্নের চিন্তায় সে চিন্তিত ।

      সারল্য বা সরলতা :-

                        উচ্ছব শতীশ বাবুর জমিতে চাষা কার্যের ফলে কিছু অন্ন খেতে টায় । কিন্তু তার সারা বছরের দুশ্চিন্তা আর ঘোচে না । এর জন্য শতীশবাবুর জমির ফসল ভালো না হওয়ায় উচ্ছব কেঁদে মরে । এর থেকে বোঝা যায় উচ্ছভের মধ্যে এক গ্রামীন সারলতা বিরাজমান ছিল ।

 দৈবতাড়িত অসহায় চরিত্র :-

                          বাদার হিঞ্ছে, শুশনো শাক, গেঁড়ি গুগলি শেদ্ধ খেয়েই তাকে বাঁচার সংগ্রাম চালাতে হতো । কিন্তু তবু স্ত্রী - পুত্র - কন্যা নিয়ে তার সংসার ছিল পরিপূর্ন । হঠাৎ মাতলার এক দুর্যোগের রাতে তার ঘর-সংসার ভেসে যায় । উচ্ছব সবাইকে প্রানপনে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল কিন্তু কাউকেই সে খুঁজে পায়নি ।

 জীবনের দ্বিতীয় পর্ব :

     বড়ো বাড়িতে কাজে লাগা :-

                        সর্বশান্ত উচ্ছব নিজের বাঁচাতে তার গ্রামের সম্পর্কিত এক বোনের সাথে কোলকাতায় তার মনিবের বাড়িতে এসে কাজে লাগে । শর্ত, "ভাত খাবে কাজ করবে"। দু-মুঠো ভাতের আকাঙ্খাতে উচ্ছব দুর্বল শরীরেও, বড়ো পিসিমার আদেশ মতো আড়াই মোন কাঠ কেটে চলে । খিদের যন্ত্রনায় সে কাতর হলেও কাজের প্রতি কোনো রকম গাফিলতি দেখায় না ।

   কর্তব্য নিষ্ঠ ও অনুগত :- 

                    উচ্ছবকে যা কাজ দেওয়া হয়, কষ্ট হলেও সে কাজ করে চলে । এর থেকে বোঝা যায় যে উচ্ছব কর্তব্য নিষ্ঠ ও অনুগত ।

   দুর্ভাগ্য পিড়িত এবং জৈবিক প্রযুক্তি মুখি :-

                     উচ্ছবের জীবনে ভাগ্য বিলম্বনা নিত্য সঙ্গি, তাই কাঠ কাটা হলেও তার আর ভাত খাওয়া হয়ে ওঠে না । বড়ো বাড়ির বুড়ো কর্তার মত্যু হলে, রান্না ভাত ফেলে দেওয়ার হুকুম হলে ক্ষুধার্থ উচ্ছব ভাতের বড়ো ডেকচি নিয়ে পালায়, এবং স্টেশনে বসে ভাত খেয়ে ডেকচিতে মাথা ঠেকিয়ে সে ঘুমিয়ে পড়ে । পরের দিন ডেকচি চুরির অপরাধে পুলিশ তাকে মারতে মারতে থানায় নিয়ে যায় । যা তার দর্ভাগ্য এবং জৈবিক প্রবৃত্তির স্বাভাবিক প্রবনতার পরিচয় ।


END


   More question 👇

   Comments :

  Your Name :


  Your Email: (required)


  Your Message: (required)

                                       


Post a Comment

1 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Thanks for your comment.