ভাত || মহাশ্বেতা দেবী

 

  "ভাত গল্পের মধ্যেএক দিকে আছে অন্নের প্রাচুর্য্য, অন্য দিকে ক্ষুধার্থ মানুষদের দ-মুঠো অন্নের জন্য আদাড় - বাদাড় খোঁজ" — এই মন্তব্যটি ব্যাখ্যা করো ।

 👉  মহাশ্বেতাদেবীর চচি এই "ভাত" গল্পে, একদিকে অন্নের প্রচুর্য, অন্যদিকে উচ্ছবদের মতো মানুষদের অন্নের খোঁজ ।

        বড়ো বাড়ির বুড়ো কর্তার ১৮ খানা দেবত্র বাড়ি আছে, আর বাদা অঞ্ছলে অসাগর জমি আছে । যেখানে, - ঝিঙেশাল, রামশাল, কনকপানি, পদ্মজালি, চালের পাশাপাশি মোটা সাপটা চালের জন্য চাষ হয় । এত পরিমানে চাল হয়েছে যে বড়ো পিসিমা লুকিয়ে চাল বেচে দায় । বাড়িতে প্রতি দিন পাঁচ রকম চালের ভাত হয় ।

     অন্যদিকে, উচ্ছব নাইয়া এতটাই ক্ষুধার্থ যে, একয়মুঠো কাঁচা চাল পেলে তাই খেয়ে সে জল খেতে চায় । কারন, বহু দিন সে রাধা ভাত খায়নি — "পেটে ভাত নেই বলে উচ্ছবও প্রেত হয়ে আছে । ভাত খেলে সে মানুষ হবে" । তাই উচ্ছব ভাত খাওয়ার জন্য কাজে লেগেছে । নিম্ম শ্রেনির সর্বশান্ত মানুষ যখন ভাতের জন্য পাগল তখন বাড়ির বুড়ো কর্তা মারা যাওয়ায় রান্না করা সব ভাত পথে ফেলে দেওয়ার হুকুম হলে উচ্ছবের মাথার ঠিক থাকে না । তার ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে, কামটের মতো হিংস্র ক্ষুধার্থ সত্ত্বাটি ।

       অশৌচ বাড়ির ভাত খেতে নেই শুনে তার রাগ আরোও বেড়ে যায় । ভাত খেতে খেতে ভাতের মধ্যে হাত ঢুকিয়ে সে সরগের সুখ পায় । ভাত খেতে খেতে সে স্বপ্ন দেখে আসল বাদাটির খোঁজ একদিন সে পেয়ে যাবে । তার মতো দরিদ্র, অভুক্ত মানুষদেরও সন্ধান দেবে । সেই বাদার মানুষদের মতো বেঁচে থাকার জন্য ।


END

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.