☀ ভারতে রেলপথ প্রবর্তনের উদ্দেশ্য ও প্রভাব সম্পর্কিত আলোচনা করো ।
👉 লর্ড ডালহৌসির উদ্দোগে 1853 সালে ভারতে সর্বপ্রথম, বম্বে থেকে থানে পর্যন্ত রেলপথ যোগাযোগ স্থাপিত হয় । রেল পথ স্থাপনের পশ্চাতে সরকারের কিছু উদ্দেশ্য ছিল । উদ্দেশ্য গুলি হল —
উদ্দেশ্য :-
- সুদক্ষ ব্রিটিশ শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্টা করা ।
- বিদ্রহ দমনে ইংরেজ সেনা বাহীনিকে দ্রুত পৌঁছে দেওয়া ।
- যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটিয়ে ব্রিটিশ পুঁজি ভারতে বিনিয়োগ করা ।
- বানিজ্যিক সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা ।
- শিল্পের প্রয়োজনীয় কাঁচা মাল বন্দর গুলিতে পৌঁছে দেওয়া ।
- শিল্পে উৎপাদিত দ্রব্য রেলপথের মাধ্যমে সারা ভারতবর্ষে ছড়িয়ে দেওয়া ।
ভারতের রেলপথ বিস্তারে সুফলের পাশাপাশি কুফলও লক্ষ করা যায় ।
সুফল :-
যোগাযোগ ব্যবস্তার আধুনিকরন :-
রেলপথ স্থাপনে আধুনিক ও দ্রুতগামি পরিবহনের সৃষ্টি হয় । এবং পরিবহন ব্যায়ও হ্রাস পায় ।
বানিজ্যিক উন্নতি :-
রেলপথ বিস্তারের ফলে দেশিয় শিল্পের উৎপাদিত দ্রব্য সারা ভারতে পড়ে এবং অভ্যন্তরিন বানিজ্য বৃদ্ধি পায় ।
কর্মসংস্থান :-
ভারতে রেলপথের প্রসার শুরু হলে, রেলপথ নির্মান করি কারখানা গুলিতে বিপুল পরিমানে কর্ম সংস্থানের সুযোগ হয় ।
জাতি ঐক্য :-
রেলপথ ভারতের বিভিন্ন অঞ্ছলের জনগোষ্টির মধ্যে যোগাযোগ সূত্র স্থাপনের ফলে জাতির ঐক্য বৃদ্ধি পায় ।
কুফল :-
সম্পদের বহিরগমন :-
রেলপথ নিরগমনের ফলে প্রতি বছর প্রচুর অর্থ ভারত থেকে ইংল্যান্ডে চলে যেতে থাকে ।
দেশিয় শিল্পের ধ্বংস :-
রেলপথের মাধ্যমে সারা ভারতে বিলাতি পন্য সামগ্রি ছড়িয়ে পড়লে দেশিয়ে শিল্প বানিজ্য মার খায় ।
বর্ন বৈষাম্য :-
রেল ব্যবস্থায় ভারতীয়দের প্রতি শ্বেতাঙ্গরা বৈষ্যাম্য মূলক আচরন করত ।
ভারি শিল্প ব্যহত :-
রেল ইঞ্জিন ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি গুলি ইংল্যান্ড থেকে ভারতে আমদানি করে এদেশের রেলপথ নির্মিত হয় ।
উপসংহার :-
সার্বিক বিচারে, রেলপথের প্রসারের ফলে ভারতীয়রা উপেক্ষিত হয় । ভারতের কৃষি ও শিল্পের বিকাশ, রেলের মাধ্যমে সম্ভব হয় ।
: Comments :