লকডাউনের বিষণ্ণতা সম্বন্ধে প্রবন্ধ –
ভূমিকা :
২০১৯ সালে চীনের উহান প্রদেশে একটি নতুন করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সনাক্ত করা হয়েছিল। এটি একটি নতুন করোনা ভাইরাস যা আগে কখনো মানুষের মধ্যে দেখা যায়নি।
এই কোর্সটিতে কোভিড-১৯ এবং নবআবির্ভূত শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাসের সাধারণ পরিচিতি দেয়া হয়েছে এবং এটি জনস্বাস্থ্য কর্মী, ইনসিডেন্ট ম্যানেজার এবং জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং এনজিওগুলিতে কর্মরত কর্মীদের জন্য রচনা করা হয়েছে।
লকডাউন হওয়ার কারন :
অর্থনীতিবিদ দীপঙ্কর দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘এমনিতেই আর্থিক অবস্থা ভালো নয়৷ বন্ধের ফলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে, যদিও এছাড়া করোনা রোখার উপায় নেই৷ তবে এই স্তব্ধতার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়তে পারে দেশে৷ কত দিন, কত মাস তার প্রভাব থাকবে, সেটা এখনই বলা সম্ভব নয়৷’’ মোটের উপর অর্থনীতির হাল খারাপ হলেও বিভিন্ন রাজ্যের নিজস্ব চরিত্র অনুযায়ী লকডাউনের প্রভাব হবে আলাদা আলাদা৷ দীপঙ্কর দাশগুপ্তর মতে, ‘‘আমাদের রাজ্যে মহারাষ্ট্রের মতো শিল্পের বিকাশ হয়নি৷ তাই মহারাষ্ট্র যতটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, আমাদের ক্ষতি হবে কম৷ কিন্তু আমাদের যেটুকু আছে, সেটাও শেষ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হবে৷ অর্থাৎ, পশ্চিমবঙ্গ ততটা উন্নত নয় বলে ক্ষতি কম হবে, এই ভাবনার জায়গা নেই৷’’
দেশের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা ভালো সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে না৷ এই করোনা প্রভাবে লকডাউন চলাকালীন সব ব্যাঙ্কেই লেনদেন প্রায় সীমীত ৷ যদিও লম্বা লাইন দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন সরকারী এবং বেসরকারি শাখায়৷ তবে লকডাউনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন ভারতের অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক ও কর্মচারীরা ৷ তাঁরা নির্দিষ্ট কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠানের বেতনভুক কর্মী নন, কার্যত কাজের অনুপাতে পারিশ্রমিক পান৷ তাই তাঁরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়বেন, এমনটাই মত অর্থনীতিবিদদের৷
সামিজিক দূরত্ব :
চিন থেকে আসা এই সংক্রামনের ফলে মানুষ তার প্রান হারাচ্ছে । এই রোগটি ছড়াচ্ছে সাধারনত মানুষ-মানুষের সংস্পর্শে আসার ফলে । এই জন্য সরকার নিয়ম জারি করে যে প্রতিটি মানুষের মুখে মাক্স এবং ঘন ঘন স্যানেটাইজার এর ব্যবহার করা এবং 1 থেকে 3 মিটারের দূরত্ব বজায় রাখার জন্য সবধরনের খবর মারফতের সাহায্যে সাধারন মানুষের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয় । এই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য স্কুল-কলেজ, কারখানা, এবং এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় গমন করার ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয় । এর ফলে মানুষের দ্দ্বারা সৃষ্ট সামাজি দূরত্বের সৃষ্টি হয় ।
জীবনের নতুন রূপ :
Covid - 19 এর ফলে সারা দেশে এই স্থগিত করনের ফলে মানুষ গৃহ হয়ে থাকতে থাকতে মানুষের আর্থিক সংকটের সৃষ্টি হয়, যার প্রভাব পড়ে সমগ্র দেশ জুড়ে । সরকার থেকে খাদ্যের সামগ্রী বিতরন করা হয় । বিশেষ করে পশ্চিম বঙ্গের আর্কিক অবস্থা পূর্বে ভালো না থাকার কারন, বর্তমান অবস্থা আরোও খারাপ হয়ে পড়ে । এই কোভেড- 19 যখন সমগ্র ভারত থেকে চলে যাবে তখন মানুষ আবার নিজের দৈনন্দিন কাজে উপনিত হতে পারব, এবং এক নতুন জীবন ধারার সৃষ্টি হবে ।
উপসংহার :-
এই সংক্রামক মহামারির প্রকোপ থেকে বাঁচার আমাদের দেশের বিজ্ঞানীরা এই covid - 19 এর প্রতিশোধক আবিস্কার করেছে। এবং এই প্রতি শোধক কার্যকারী হবে কিনা তাই কিছু বয়স্কদের এই প্রতিশোধক ব্যবহার করা হয় । এবং এটি কার্যকর হয়, ক্রমে ক্রমে এই প্রতিশোধক সমগ্র দেশের মানুষের দাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করে সরকার । এই ভাইরাসের প্রতিশোধক সমস্ত মানুষের গ্রহন করা উচিত, যার প্রভাব থেকে মানুষ আবার নতুন জীবনের শুরু করতে পারে ।
আরোও পড়ুন :-