Class -Xi, Political scienc সংবিধানের সংজ্ঞা ও শ্রেনিবিভাগ ।

                                      Xi political scienc

        সংবিধানের শ্রেণিবিভাজন করো , With PDF



            সংবিধান কাকে বলে ? সংবিধানের শ্রেণিবিভাজন

 ☀প্রশ্নঃ- সংবিধান কাকে বলে ? সংবিধানের শ্রেণিবিভাজন করো।

উঃ-সংবিধানের সংজ্ঞাঃ- সাধারণভাবে সংবিধান বলতে রাষ্ট্র পরিচালনার নিয়মকানুনকে বোঝায়।

যে কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনকে সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করতে গেলে যেমন কতকগুলি সাধারণ নিয়মকানুনের প্রয়োজন হয় রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে তা দেখা যায়।

রাষ্ট্রের পরিচালনার জন্য একান্ত আবশ্যক এই নিয়মকানুনগুলি হল সংবিধান।


সংবিধানের শ্রেণিবিভাজনঃ- সংবিধানের শ্রেণিবিভাজন নিয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মধ্যে মতর্পাথক্য থাকলেও সাধারণভাবে দুটি প্রধান শ্রেণিতে সংবিধানকে ভাগ করার ব্যাপারে অনেকে সহমত পোষণ করেছেন।

এই দুটি শ্রেণি হল যথাক্রমে ১)সুপারির্বতনীয় ও দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধান এবং ২)লিখিত ও অলিখিত সংবিধান।

ক)  সুপরিবর্তনীয় ও দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধানঃ- সংবিধান সুপরিবর্তনীয় ও দুষ্পরিবর্তনীয় দুরকমই হতে পারে।

সংবিধান সংশোধন বা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে প্রকৃতিগতভাবে যে পাথর্ক্য রয়েছে তারই ভিত্তিতে সুপরিবর্তনীয় ও দুষ্পরিবর্তনীয় আখ্যা দেওয়া হয়ে থাকে।

১)  সুপরিবর্তনীয় সংবিধানঃ যে পদ্ধতিতে আইনসভা দেশের সাধারণ আইন পাস করে বা তার রদবদল করে সেই পদ্ধতিতে সংবিধানের সংশোধন বা পরিবর্তন করা হলে তাকে সুপরিবর্তনীয় সংবিধান বলে।

এজন্য কোনো বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বনের দরকার পড়ে না ।

আইনসভার সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটেই সংবিধান সংশোধন বা পরিবর্তন করা যায়।

সুপরিবর্তনীয় সংবিধানের উদাহরণ হল বিট্রেন নিউজিল্যান্ড প্রভৃতি।

২)  দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধানঃ- আইনসভায় সাধারণ আইন পাসের পদ্ধতিতে যে সংবিধানকে সংসোধন বা পরিবর্তন করা যায় না।

যে সংবিধান সংশোধন বা পরিবর্তন করতে গেলে বিষেশ পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয় তাকে দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধান বলা হয়।

দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধানের দৃষ্টান্ত হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাপান প্রভৃতি দেশের সংবিধানের কথা উল্লেখ করা যায়।

খ)  লিখিত ও অলিখিত সংবিধানঃ- সংবিধানের মৌলিক নীতিগুলি লিখিত বা অলিখিত দুই-ই হতে পারে।

এই কারণেও সংবিধানের শ্রেণিবিভাজন করা হয়ে থাকে।

১)  লিখিত সংবিধানঃ- দেশের শাসনব্যবস্থার মৌলিক নীতিগুলি যেক্ষেত্রে একটি দলিলের আকারে লিপিবদ্ধ করা হয় তাকে লিখিত সংবিধান বলে।

সাধারণ একটি সংবিধান পরিষদ বা কনভেনশন এসব সাংবিধানিক মৌলিক নীতিগুলিকে লিপিবদ্ধ করার কাজ করে থাকে।

বিশ্বের প্রাচীনতম লিখিত সংবিধান হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান।

সুইটজারল্যান্ড ভারত রাশিয়া প্রভৃতি দেশের সংবিধান লিখিত সংবিধানের অন্যতম উদাহরণ।

২)  অলিখিত সংবিধানঃ- দেশের শাসনব্যবস্থার মৌলিক নীতিগুলি যখন প্রথা আচার-ব্যবহার রীতিনীতি ও বিচারালয়ের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে গড়ে ওঠে তখন তাকে অলিখিত সংবিধান বলে আখ্যা দেওয়া হয়।

কোনো সংবিধান পরিষদ বা কনভেনশন অলিখিত সংবিধানের শাসন সম্পর্কিত মৌলিক নীতি প্রণয়নের কাজ করে না।

অলিখিত সংবিধানের একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ হল - গ্রেট ব্রিটেনের সংবিধান ।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.