উৎপত্তি অনুসারে মাটির শ্রেনিবিভাগ ও বৈশিষ্ট আলোচনা করো


 13) উৎপত্তি অনুসারে মাটির শ্রেনিবিভাগ ও বৈশিষ্ট লেখো ।




 👉 উৎপত্তি অনুসারে পৃথীবীর মাটি সমূহকে প্রধান তিনটি ভাগে ভাগ করা হয় । ক. আঞ্ছলিক মাটি, খ. আঃন্ত আঞ্ছলিক মাটি, গ. অনাঞ্ছলিক মাটি ।

    ক. আঞ্ছলিক মাটি :- 

         কোনো নিদিষ্ট অঞ্ছলের জলবায়ু ও স্বাভাবিক উদ্ভিদের বৈশিষ্টের ওপর ভিত্তি করে যে মাটি গঠিত হয় তাকে আঞ্ছলিক মাটি বলে ।

         উচ্চ অক্ষাংশের তুন্দ্রা মাটি ; মধ্য অক্ষাংশের বেসনার্ড মাটি পডসল মাটি, শুষ্ক অঞ্ছলের শিরোজেন মাটি, নিম্ন অক্ষাংশের ল্যাটেরাইট মাটি, প্রভৃতি হল এই মাটির উদাহরন ।


বৈশিষ্ট্য :-

 ১. আঞ্ছলিক মাটির পরিলেখ স্তর সুষ্পুষ্ট হয় ।‌

 ২. আঞ্ছলিক মাটি সুগভীর হয় ।

 ৩. আঞ্ছলিক মাটি একটি নিদিষ্ট জলবায়ু অঞ্ছলে দেখা যায় ।

৪. আঞ্ছলিক মাটি ৬ টি উপবগ ও ২২ টি উপশ্রেণী আছে ।

 

     খ. আন্ত: আঞ্ছলিক মাটি :-

         এই মাটির মধ্যে যেখানে জলবায়ু ও স্বাভাবিক উদ্ভিদের কোন ভূমিকা ছাড়াই কেবল স্থানীয় কিছু বৈশিষ্টের ওপর ভিত্তি করে যেসব মাটি গঠীত হয় তাদের আন্ত: আঞ্ছলিক মাটি বলে । এই প্রকার মাটি গঠনে মূল শিলার বৈশিষ্ট , জলাভূমি , লবনাক্ততা প্রকৃতির প্রভাব বেশি ।


বৈশিষ্ট :- 

১. আন্ত: আঞ্ছলিক মাটির স্তর সুষ্পষ্ট নয় ।

২. আন্ত: আঞ্ছলিক মাটি প্রায় পরিনত মাটি ।

৩. আন্ত: আঞ্ছলিক মাটি খুব বেশি গভীর নয় ।

৪. আন্ত: আঞ্ছলিক মাটি আদি শীলার সুষ্পষ্ট চিহ্ন থাকে ।

৫. আন্ত: আঞ্ছলিক মাটির ৩ টি উপবগ ও ১২ টি উপশ্রেণী আছে ।

 

    গ. অনাঞ্ছলিক মাটি :- 

         বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তির দ্বারা ক্ষয় ক্রান্ত শিলাচূর্ণ, বৃষ্টিপাত, জলপ্রবাহ, হিমবাহ , বায়ুপ্রবাহ প্রভূতির দ্বারা বাহিত হয়ে কোন নিচু অঞ্ছলে জমা হয়ে যে মাটি গঠীত হয় তাকে অনাঞ্ছলিক মাটি বলে । একে বহিরাঞ্ছলিক মাটিও বলা হয় ।

     পলিমাটি এবং লোয়েস মাটির এবং অনাঞ্ছলিক মাটির অন্যতম উদাহরন ।


বৈশিষ্ট :-

১. অনাঞ্ছলিক মাটি স্তর হীন ।

২. অনাঞ্ছলিক মাটি অপরিনত ও নবীন মাটি ।

৩. অনাঞ্ছলিক মাটি অত্যন্ত অগভীর ।

৪. অনাঞ্ছলিক মাটি অপসৃত মাটি ।

৫. অনাঞ্ছলিক মাটির কোন উপবগ নেই , তবে ৩ টি উপশ্রেণী আছে ।


 14) মৃত্তিকা পরিলেখ কাকে বলে ?

 👉  Next page



Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.