☞ আরো পড়ুন : পাতাবাহার তৃতীয় শ্রেণি সূচিপত্র সমাধান
✏ হাতে কলমে :
☞ ১. একটি বাক্যে উত্তর দাওঃ
১.১ তালগাছ কোথায় একলা বাড়ল?
উত্তরঃ তালগাছ চারদিক ধু ধু করা তেপান্তরের মাঠে একলা বাড়ল।
১.২ ঘন নীল ছায়ার মতাে কাদের দেখা যায়?
উত্তরঃ মাঠ-ঘেরা বনের লতাপাতা গলাগলি করে আছে, তাদের দেখা যায়।
১.৩ মাঠের চেয়ে বড়াে কে?
উত্তরঃ মাঠের চেয়ে বড়াে আকাশ।
১.৪ হাওয়ার সঙ্গে কে আসে?
উত্তরঃ হাওয়ার সঙ্গে তার সাথি ফুলের গন্ধ আসে।
১.৫ ঝড়ের সঙ্গে কে কে আসে?
উত্তরঃ ঝড়ের সঙ্গে আসে তার সাথি আঁধি আর বৃষ্টি।
১.৬ শরতের মেঘের সাথি কে?
উত্তরঃ শরতের মেঘের সাথি বলাকা।
১.৭ তালগাছ কেন বৃথা আঁকুপাঁকু করে?
উত্তরঃ তালগাছ সবার সঙ্গে চলতে চেয়ে আঁকুপাঁকু করে।
১.৮ তালগাছের কাছে কারা যাওয়া আসা করতে লাগল?
উত্তরঃ তালগাছের কাছে দুটি বাবুইপাখি যাওয়া-আসা করতে লাগল।
১.৯ বাবুইপাখিরা কোথায় বাসা বাঁধল?
উত্তরঃ বাবুইপাখিরা তালগাছের ডালে বাসা বাঁধল।
১.১০ তালগাছ চুপ করে ভাবে কেন?
উত্তরঃ বাবুইপাখিরা চলে যাওয়াতে তালগাছ আবার একা হয়ে পড়েছিল।
☞ ২. উপযুক্ত শব্দ বেছে নিয়ে শূন্যস্থানে বসাও :
২.১ চারদিকে ধু ধু করছে।
২.২ সেখানে লতাপাতা সব গলাগলি করে আছে।
২.৩ সেখানে তারা সব ঘেঁষাঘেঁষি ঝিলমিল করছে।
২.৪ তারা দুটিতে মিছিমিছি কত কী বকাবকি করে।
২.৫ মাঠের থেকে কুটোকাটা নিয়ে বাসা বাঁধে।
☞ ৩. নীচের শব্দগুলি দিয়ে বাক্য তৈরি করাে:
তেপান্তর, বলাকা, আঁকুপাঁকু, মিছিমিছি, ঝিলমিল
● তেপান্তর— তেপান্তরের মাঠের শেষে বিশাল রাজপ্রাসাদ আছে।
● বলাকা— আকাশ দিয়ে বলাকারা ঝাঁক বেঁধে উড়ে যায়।
● আঁকুপাঁকু— পাখিদের দেখে আমার মনটাও ওড়বার জন্য আঁকুপাঁকু করে।
● মিছিমিছি— মিছিমিছি কাউকে দুঃখ বা আঘাত দিতে নেই।
● ঝিলমিল— জলে সূর্যের আলাে পড়ে ঝিলমিল করছে।
☞৪. একই অর্থের শব্দ পাঠ থেকে খুঁজে নিয়ে লেখাে:
নীড়, ভৎসনা, গগন, প্রান্তর, বিজলি
উত্তরঃ নীড়—বাসা। ভৎসনা—বকাবকি। গগন—আকাশ। প্রান্তর—মাঠ। বিজলি—বিদ্যুল্লতা।
☞ ৫. বিপরীতার্থক শব্দ লেখাে :
ঘন, দূরে, আছে, ছােটো
উত্তরঃ ঘন—হালকা। দূরে—কাছে। আছে—নেই। ছােটো—বড়াে।
☞ ৬. ‘হার’ শব্দটিকে দুটি আলাদা অর্থে ব্যবহৃত করে দুটি বাক্য লেখাে।
উত্তরঃ হার—নবনীতার গলার সােনার হারটা খুব সুন্দর।
উত্তরঃ হার—মিঠুন ক্লাসের কিছুতেই হার মানলো না।
☞ ৭. টীকা লেখাে :
শরতের মেঘ, তালগাছ
উত্তরঃ
শরতের মেঘ : বর্ষার পর শরতের আগমনে বাংলার প্রকৃতি অপরুপ সৌন্দর্যমণ্ডিত হয়ে ওঠে। শরৎকালে মেঘের রং অত্যন্ত সাদা হয়, তার সঙ্গে এই সময়ের মেঘ বেশ ফোলা ফোলা হয়। এই সময়ের মেঘে নানারকম আকৃতি দেখা যায়। বিশেষত এই সময়ের মেঘ অনেকক্ষেত্রেই বরফে ঢাকা পাহাড়ের সাথে সাদৃশ্য রক্ষা করে। এই ঋতুতে বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসবগুলি পালিত হয়।
তালগাছ : তালগাছ এমন একটি গাছ যা সাধারণত সােজা ওপরদিকে ওঠে। এর কোনাে ডালপালা হয় না। কেবলমাত্র বড়াে বড়াে পাতা থাকে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘তালগাছ’ কবিতাটিতে তালগাছ সম্পর্কে খুব সুন্দর বর্ণনা পাওয়া যায়।
☞ ৮ .বর্ণ বিশ্লেষণ করাে :
বিশ্বাস, কুটোকাটা, বলাকা, দুটি
● বিশ্বাস — ব্ + ই + শ্ + ব্ + আ + স্ + অ
● কুটোকাটা — ক্ + উ + ট্ + ও + ক্ + আ + ট্ + আ
● বলাকা — ব্ + অ + ল্ + আ + ক্ + আ
● দুটি — দ্ + উ + ট্ + ই
☞ ৯ .যুক্তাক্ষর রয়েছে এমন পাঁচটি শব্দ পাঠ থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো।
উত্তরঃ সঙ্গে , গন্ধ, সুন্দরী, নিশ্বাস, বিদ্যুল্লতা।
☞ ১০. বাক্য বাড়াও :
১০.১ তার মাঝে একটি তালগাছ। (কোথায় ? কেমন?)
উত্তরঃ তেপান্তরের মাঠের মাঝে একা একটি তালগাছ।
১০.২ ঝড় আসে। (কাকে নিয়ে ?)
উত্তরঃ ঝড় আসে তার সঙ্গে তার সাথি আঁধি আর বৃষ্টি।
১০.৩ তালগাছ কেবলই ডাকে। (কাদের? কীভাবে?)
উত্তরঃ তালগাছ উড়ন্ত বলাকাদের কেবলই তার পাতা নাড়িয়ে ডাকে।
১০. ৪ একলা গাছ বৃথা আঁকুপাকু করে। (কেন ?)
উত্তরঃ তালগাছ বলাকাদের সঙ্গে উড়ে যেতে চায়, কিন্তু পারে না। একলা গাছ তাই বৃথা আঁকুপাঁকু করে।
১০.৫ তারপর একদিন তাদের সুন্দর বাসাটি বেঁধে নেয়। (কারা? কোথায়? কী দিয়ে ?)
উত্তরঃ তারপর বাবুইপাখি দুটি তালগাছের ডালে কুটোকাটা দিয়ে তাদের সুন্দর বাসাটি বেঁধে নেয়।
☞ ১১. শিক্ষিকা/শিক্ষকের সাহায্য নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘তালগাছ’ কবিতাটি এই পাঠের শেষে মিলিয়ে পড়ো।
উত্তরঃ তুমি নিজে করাে।
☞ ১২. তােমার সব থেকে প্রিয় বন্ধু সম্বন্ধে চার-পাঁচটি বাক্য লেখাে।
উত্তরঃ আমার প্রিয় বন্ধু রোহিত । আমরা এক ক্লাসে পড়ি ও এক পাড়ায় থাকি। রােজ আমরা একসঙ্গে পড়তে যাই। বিকেলবেলা একসঙ্গে খেলি। আমরা আমাদের প্রতিটি দুঃখ ও আনন্দ একে অন্যের সঙ্গে ভাগ করে নিই।
☞ ১৩. নীচের ছবি দুটির মধ্যে অন্তত দুটি অমিল খুঁজে বের করাে?
উত্তরঃ ১। বাবুইপাখির বাসার সংখ্যা কম।
২। তালগাছের সংখ্যা কম।
৩ | মেঘের সংখ্যা কম।
৪। পাখির সংখ্যা কম।
৫ | কচুপাতার সংখ্যা কম।
৬ | ঘরের সংখ্যা কম।