ছোটোগল্প হিসেবে আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের সার্থকতা বিচার করো ।

১১. ছোটোগল্প হিসেবে আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের সার্থকতা বিচার করো ।


উত্তরঃ–  শুধু আয়তনে ছোটো হলেই কোনো গল্প ছোটোগল্পের পর্যায়ে পড়ে না । ছোটোগল্পের কিছু নিজস্ব বৈশিষ্ট্য থাকে । সেই বৈশিষ্ট্যগুলির সাপেক্ষে 'জ্ঞানচক্ষু' গল্পটিকে বিচার করলে বোঝা যাবে ছোটোগল্প হিসেবে সেটি কতটা সার্থক ।

      শুরু ছোটোগল্প শুরু হয় হঠাৎ করে । ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পতেও এই বৈশিষ্ট্যটি লক্ষ করা যায় । 'কথাটা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল' — এই বাক্যটি দিয়ে আচমকাই গল্পটি শুরু হয় ।

       গল্প লেখাকে কেন্দ্র করে তপনের মোহ এবং সেই মোহভঙ্গের কাহিনিকে ঘিরেই এই গল্প । গল্পে অন্য কোনো উপকাহিনি গড়ে ওঠেনি । তাই গল্পটি তার সংক্ষিপ্ত পরিধির মধ্যে একটি মাত্র বিষয়েই সীমাবদ্ধ ।

     ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে তপন ছাড়াও যে - চরিত্রগুলির ভূমিকা নজর কাড়ে, তাঁরা কম চরিত্রের উপস্থিতি হলেন তপনের ছোটোমাসি এবং মেসো । বাকি চরিত্রগুলি নেহাতই গৌণ । এক্ষেত্রেও ছোটোগল্পের বৈশিষ্ট্য অক্ষুণ্ণ রয়েছে । অতিরিক্ত চরিত্রের ভিড় নেই ।

    ছোটোগল্প যেমন হঠাৎ করে শুরু হয় তেমনই হঠাৎই শেষ হয় । গল্প শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও পাঠকের মনে এক ধরনের অতৃপ্তি থেকে যায় । ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পটিও এর ব্যতিক্রম নয় । ছাপার অক্ষরে নিজের নামের মতোই নিজের লেখাকেও দেখতে চেয়েছিল তপন । তার সেই স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণা নিয়েই গল্পটি শেষ হয় ।

   ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পটির মধ্যে ছোটোগল্পের প্রতিটি বৈশিষ্ট্যই রয়েছে । সুতরাং ছোটোগল্প হিসেবে এটি নিঃসন্দেহে সার্থক ।









পূর্ববর্তী প্রশ্ন


Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.